নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামী শরীয়া মোতাবেক সংক্ষেপে তালাক দেওয়ার সঠিক পদ্ধতি

১৪ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:২০

ইসলামী শরীয়া মোতাবেক সংক্ষেপে তালাক দেওয়ার সঠিক পদ্ধতি

ছবি: অন্তর্জাল থেকে সংগৃহিত।

তালাক হচ্ছে সবচেয়ে ঘৃণিত হালাল কাজগুলোর একটি। পারিবারিক জীবনে বিশেষ অবস্থায় কখনও কখনও তালাকের প্রয়োজনীয়তা এড়ানো যায় না বিধায়ই এই বিধান রেখেছে ইসলামী শরীয়া। ইসলামী শরীয়া মোতাবেক তালাক দেওয়ার সঠিক পদ্ধতি সম্মন্ধে অনেকেরই জানার আগ্রহ। অন্যদিকে তালাক সম্মন্ধে সঠিক জ্ঞান না থাকার কারণে পারিবারিক জীবনে অনাকাঙ্খিত ঘটনার সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়। এক কথা দু'কথায় তালাক দিয়ে পরে আফসোস করার ঘটনা অহরহই চোখে পড়ে। কেউ কেউ একইসাথে ৩ তালাকও দিয়ে বসেন। যদিও তাতে তালাক হয়ে যাবে কিন্তু এটা উত্তম পদ্ধতি নয়। যা হোক, তালাকের মত অতি স্পর্শকাতর এবং খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রত্যেকেরই প্রাথমিক ধারণা রাখা ভালো। চলুন, বিষয়টি সংক্ষেপে দেখে নিই:

১. তালাকের প্রকারভেদ

ইসলামে তালাক প্রধানত দুই প্রকার:
- (ক) তালাকে সুন্নত (নবী করিম ﷺ-এর দেখানো পদ্ধতি)
- (খ) তালাকে বিদআত (নব-সৃষ্ট পদ্ধতি, যা শরীয়তসম্মত নয় কিন্তু কার্যত গ্রহণযোগ্য)

২. তালাকে সুন্নতের পদ্ধতি

(ক) আহসান পদ্ধতি (সর্বোত্তম):
- স্বামী স্ত্রীকে ১টি তালাক দেয়, তবে তা এমন সময়ে যখন স্ত্রী হায়েয বা ঋতুস্রাব থেকে পবিত্র থাকে এবং ঐ পবিত্র অবস্থায় সহবাস করেনি।
- এরপর ইদ্দত (প্রতীক্ষা কাল) শুরু হয় (৩ মাসিক চক্র বা গর্ভাবস্থা পর্যন্ত)।
- ইদ্দতের মধ্যে স্বামী-স্ত্রী রুজু (পুনর্মিলন) করতে পারবে (কোনো নতুন আক্দ বা মোহরানা ছাড়াই)।
- ইদ্দত শেষে তালাক চূড়ান্ত হয়।

(খ) হাসান পদ্ধতি (উত্তম):
- স্বামী স্ত্রীকে ৩টি তালাক পৃথক তিনটি পবিত্র সময়ে দেয় (প্রতি পবিত্র সময়ে ১টি করে তালাক, যেকোনো একটির মাধ্যমেই তালাক সম্পন্ন হয়)।
- প্রতিবার তালাক দেওয়ার পর ইদ্দত শুরু হয়।
- তিন তালাক দেওয়ার পর চূড়ান্তভাবে বিবাহবন্ধন ছিন্ন হয়।

৩. তালাকে বিদআত (অপছন্দনীয় পদ্ধতি):
- একই বৈঠকে বা একই বাক্যে ৩ তালাক দেওয়া (যেমন: "তোমাকে তিন তালাক")।
- এ পদ্ধতিটি গুনাহের কাজ তবে অধিকাংশ ফিকহি মাজহাব মোতাবেক কার্যকর হয় (যদিও এটি শরীয়তের উদ্দেশ্যবিরোধী)।
- অনেক আধুনিক মুসলিম দেশে (যেমন: ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান) এ পদ্ধতি বাতিল করা হয়েছে।

৪. অন্যান্য পদ্ধতি:
- খুলা: স্ত্রী স্বামীর কাছ থেকে বিচ্ছেদ চাইলে মোহরানা বা সম্পত্তি ফেরত দিয়ে সম্মতির ভিত্তিতে তালাক নেওয়া।
- তাফবীজে তালাক: স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার অধিকার অর্পণ করে, তবে স্ত্রী নিজেই তা প্রয়োগ করতে পারে।
- কোর্টের মাধ্যমে তালাক: ইসলামিক আইনে বৈধ কারণ (যেমন: নির্যাতন, অবহেলা) থাকলে আদালত হুকুমনামা জারি করে।

৫. ইদ্দত (প্রতীক্ষা কাল):
- মাসিক ঋতুবতী নারী: ৩টি পূর্ণ মাসিক চক্র।
- যে নারীর মাসিক বন্ধ: ৩ মাস।
- গর্ভবতী নারী: প্রসব পর্যন্ত।
- এই সময়ে স্ত্রীকে স্বামীর ঘরে থাকতে হবে এবং তাঁর ভরণপোষণ দেওয়া বাধ্যতামূলক।

৬. পুনর্মিলন (রুজু):
- প্রথম বা দ্বিতীয় তালাকের পর ইদ্দতের মধ্যে স্বামী মুখে বা কাজে (যেমন: সহবাস) রুজু করতে পারেন।
- তৃতীয় তালাকের পর পুনরায় বিবাহ শুধুমাত্র হালালা-র মাধ্যমে সম্ভব (স্ত্রী অন্য স্বামী বিবাহ করে তালাকপ্রাপ্ত হলে)।

৭. গুরুত্বপূর্ণ শরয়ি শর্তাবলি:
- স্বামী প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ মস্তিষ্কের, এবং ইচ্ছাকৃতভাবে তালাক দিচ্ছেন (জবরদস্তি নয়)।
- তালাকের সময় সাক্ষীর উপস্থিতি শাফিঈ মাযহাবে এবং শিয়াদের মতে আবশ্যক, হানাফি মাযহাবে ঐচ্ছিক।
- ঋতুকালে বা সহবাসের পর তালাক দেওয়া নিষেধ (সুন্নতের লঙ্ঘন)।

৮. আধুনিক প্রাসঙ্গিকতা:
- তিন তালাক সমস্যা: অনেক দেশে একসঙ্গে তিন তালাক দেওয়াকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে (যেমন: ভারত, ২০১৯)।
- ইসলামিক স্কলারদের পরামর্শ: সুন্নত পদ্ধতি অনুসরণ করে ধৈর্য ও ন্যায়পরায়ণতার সাথে তালাক দেওয়া।

৯. নৈতিক দিক:
- তালাক ইসলামে নিকৃষ্ট হালাল কাজ। নবীজি ﷺ বলেছেন, "আল্লাহর নিকট সবচেয়ে ঘৃণিত হালাল কাজ হলো তালাক" (আবু দাউদ)।
- পারিবারিক সমস্যায় মধ্যস্থতাকে (পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠ বা ইসলামিক কাউন্সিলিং) সবসময় অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।

প্রত্যেক ক্ষেত্রে স্থানীয় ইসলামিক স্কলার বা কাযির সাথে পরামর্শ করে শরীয়তের বিস্তারিত জানা জরুরি।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:১২

এইচ এন নার্গিস বলেছেন: খুব গুরুত্ব পুর্ন তথ্য ।

১৬ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৮:০১

নতুন নকিব বলেছেন:



লেখাটা আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হওয়ায় অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১:৫৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমার এক বন্ধু গত ১০ বৎসর যাবৎ ইওরোপের একটা দেশে থাকে। তার বউ থাকে আম্রিকাতে। এর মধ্যে তাদের কোন দেখা-সাক্ষাৎ, কথা-বার্তা কিছুই হয় নাই। অথচ কেউ কাউকে ফর্মাল তালাকও দেয় না। আমরা বলি, তোমাদের এক হওয়ার যেহেতু ইচ্ছা বা সম্ভাবনা কোনটাই নাই, তাহলে তালাক দিয়ে দাও। কিন্তু দুইজনই বলে, আমি দিবো না, সে দিক। এই গো'য়ের কারনে সম্পর্কটা ঝুলে আছে। আমার ধারনা, কেয়ামত পর্যন্ত ঝুলেই থাকবে। :)

ইসলামে অটো-তালাকের কোন ব্যবস্থা নাই?

১৬ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৮:১১

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার প্রশ্নের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। প্রশ্নটা আপনার বন্ধুর প্রতি সহৃদয়তা এবং আন্তরিকতা নিয়েই করেছেন, বুঝাই যায়। এমন সম্পর্ক আমাদের সমাজে অনেক জায়গাতেই দেখা যায়—যেখানে না ভালোবাসা আছে, না যোগাযোগ, না ভবিষ্যতের কোনো পরিকল্পনা, তবু সম্পর্কটা আইনের পাতায় ঝুলে থাকে, একটা অলিখিত অবহেলায়।

ইসলামে “অটো-তালাক” বলে কিছু নেই। অর্থাৎ, স্বামী বা স্ত্রী যদি নিজে তালাক না দেন বা কোনো ইসলামি আদালতের মাধ্যমে বিচ্ছেদ না হয়, তাহলে স্বাভাবিকভাবে সম্পর্ক টিকে থাকে—even if it’s only on paper. তবে ইসলামিক স্কলাররা বলেন, যদি এক ছাদের নিচে থাকা, বৈবাহিক সম্পর্ক পালন করা, পারস্পরিক অধিকার আদান-প্রদান—এসবই দীর্ঘদিন ধরে অনুপস্থিত থাকে, এবং কেউই সম্পর্ক ঠিক করতে না চায়, তখন স্ত্রী চাইলে ‘ফাসখ’ (বিচ্ছেদ) এর আবেদন করতে পারে কোর্ট বা ইসলামি শরিয়া বোর্ডে।

আপনার বন্ধুর ক্ষেত্রে, স্বামী-স্ত্রী কেউই তালাক দিতে চাচ্ছে না, কারণ হয়তো "বড়ত্ব ধরে রাখা", "প্রতিশোধের অনুভব", কিংবা "আমার থেকে সে আগে সরে যাক" এই মানসিকতার জন্য। এটা শুধু সম্পর্ককে ঝুলিয়ে রাখে, মানুষকে মুক্তি দেয় না।

ইসলাম স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছে—যেখানে শান্তি নাই, সেখানে সম্পর্ক ধরে রাখা অনুচিত। কারণ বিয়ে শুধু সামাজিক চুক্তি না, এটা দুইটি আত্মার শান্তিপূর্ণ বসবাসের এক সম্পর্ক। সেটা যদি দীর্ঘদিন ধরে অবহেলা আর দূরত্বে কেবল "নামমাত্র" টিকে থাকে, তাহলে সেটাকে ইসলামের চোখেও "পূর্ণাঙ্গ" সম্পর্ক বলা যায় না।

তাদের জন্য দোয়া করি, আল্লাহ যেন উভয়কে পরিপক্বতা, সাহস, ও স্পষ্ট সিদ্ধান্ত নেওয়ার মানসিকতা দেন। সম্পর্কটা যেন ঝুলে না থাকে, বরং একটাই হোক—চূড়ান্ত বন্ধন, নয়তো সম্মানজনক মুক্তি।

৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৩:৩১

লুধুয়া বলেছেন: দুনিয়া চ্যাট জিপিটি/ deep সিক/ AI নিয়ে ব্যস্ত । আর মুসলমান মোল্লারা পড়ে আছে ১৪০০ সাল পুরানা শরিয়া নীতি নিয়ে ।

১৬ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৮:২০

নতুন নকিব বলেছেন:



শরিয়া নীতি ১৪০০ বছরের পুরনো বলেই যদি বাতিল হয়, তাহলে তো গণিত, দর্শন, এমনকি ন্যাচারাল লজিকও বাতিল হয়ে যায়—কারণ এগুলোর জন্ম তো আরও হাজার বছর আগের। সময় পুরনো হতে পারে, কিন্তু সত্য ও শুদ্ধতা যদি কালোত্তীর্ণ হয়, তবে সেটাই তো তার মহিমা। AI নতুন, কিন্তু মানুষকে মানুষ করার যে নীতি, তা প্রাচীন বলেই ধ্রুব। ইসলাম শুধু সময়ের নয়, চেতনারও আলো।

আপনার বক্তব্যের পেছনে যে বিদ্বেষ নয়, বরং বিভ্রান্তি কাজ করেছে, আশা করি এ উত্তরে সেটা কিছুটা হলেও স্পষ্ট হবে। ধন্যবাদ।

৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:৪০

মিরোরডডল বলেছেন:





ভুয়া মফিজ বলেছেন: অথচ কেউ কাউকে ফর্মাল তালাকও দেয় না। আমরা বলি, তোমাদের এক হওয়ার যেহেতু ইচ্ছা বা সম্ভাবনা কোনটাই নাই, তাহলে তালাক দিয়ে দাও। কিন্তু দুইজনই বলে, আমি দিবো না, সে দিক। এই গো'য়ের কারনে সম্পর্কটা ঝুলে আছে। আমার ধারনা, কেয়ামত পর্যন্ত ঝুলেই থাকবে। :)

ইসলামে অটো-তালাকের কোন ব্যবস্থা নাই?


তারা যখন তালাক দিচ্ছে না, তারমানে তাদের মাঝে কোথাও একটা ফিলিংস আছে। আরও অনেক কারণ থাকতে পারে, যা একমাত্র তারাই জানে। কেয়ামত পর্যন্ত কেনো, পরকালেও ঝুলে থাক দুজন। কিন্তু ভুমের সমস্যা কোথায়, অটো-তালাকের খোঁজ নিচ্ছে কেনো??? #:-S

কি ভুম, বন্ধুপত্নিকে মনে ধরেছে??? :)
কিছুদিন আগেইতো মনে হয় ভুম ইউএসতে ঘুরে আসলো, তাই নাহ???

তার সাথে দেখা হয়েছিলো তো?
হওয়া উচিত, আফটার অল বন্ধুর বউয়ের প্রতি একটা দায়িত্ব আছে নাহ! :)
বন্ধু না হয় দূরে থাকে, ভুমতো কাছে যেতেই পারে :P

@নকিব, অটো-তালাক না থাকলেও একটা মাসআলা দেয়া হোক।
ভুমের নেক্সট স্টেপটা দেখতে চাই :)


১৬ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৮:৩২

নতুন নকিব বলেছেন:



মিরোরডডল ভাই, আপনি তো দেখি পুরো কাহিনি বানিয়ে দিলেন রীতিমতো Netflix Original! :)
ভুয়া মফিজ ভাইয়ের ‘অটো-তালাক’ জিজ্ঞাসাটা আসলে এক রকমের সামাজিক বাস্তবতার প্রতিবিম্ব। অনেক সময় সম্পর্কগুলো আইনি না হলেও বাস্তবে মৃতপ্রায় হয়ে পড়ে, অথচ সেটাকে ‘কাগজে কলমে’ স্বীকৃতি না দেওয়ার কারণে—উভয়ের জীবন ঝুলে থাকে, মুক্তি মেলে না।

তবে হ্যাঁ, আপনি যেভাবে ব্যাখ্যা করলেন—“ভুম” তো এখন ব্যাখ্যার চেয়েও ব্যঙ্গের শিকার ;)
বন্ধুপত্নি প্রসঙ্গ তুলে আপনি যে তামাশার মোড়কে একটা গুরুত্বপুর্ণ বিষয়ে আলো ফেলেছেন, এটা আপনার স্টাইল বুঝেই বলছি—তবে সিরিয়াসলি বললে, ইসলামি শরিয়াহে এ ধরনের অচল অবস্থার জন্য ‘ফাসখ’ বা বিচ্ছিন্নতা চেয়ে কাজি বা আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার সুযোগ রয়েছে—একপাক্ষিকভাবেও। মানে ‘অটো-তালাক’ হয়তো নাই, কিন্তু ‘ডিফল্ট ডিভোর্স’-এর মতো বিকল্প পথ আছে, যদি নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ হয়।

যাই হোক, ভুয়া মফিজ ভাই ইতোমধ্যেই আপনার এই মন্তব্যের পরে ব্যাখ্যামূলক আরেকটি মন্তব্য করে আপনাকে উত্তর প্রদান করেছেন। ধন্যবাদ।

৫| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: @মিরোরডডলঃ আমার বিভিন্ন রকমের দোষ আছে জানি, তবে এখন পর্যন্ত পটেটো ফল্ট বা আলুর দোষের কথা কেউ বলে নাই। স্বপ্নে দেখা ছাড়া অস্ট্রেলিয়া থেকে প্রায় দশ হাজার মাইল দুরের ইংল্যান্ডে একজন সম্পর্কে এই ধরনের ধারনা করলে বলতেই হয়.........মুরুব্বী! উহু উহু!!!! :P

এই বিষয়টা নিয়ে যে আমি খুব চিন্তিত, তা না। চোখের সামনে পোষ্টটা পড়লো; ভাবলাম তালাক বিশেষজ্ঞকে জিজ্ঞেস করেই ফেলি। বরং আমার বউ খানিকটা চিন্তিত। তার কথা হলো, বুড়া বয়সে একা থাকে, কখন কার বাগানে মুখ ঢুকিয়ে দেয় কোন ঠিক ঠিকানা নাই। তাই এদের জন্মের মতো অফিসিয়ালী আলাদা করে দেয়া হোক। তাছাড়া মিউচ্যুয়াল সাপোর্টও দরকার এই বয়সে।

আমার বন্ধুপত্নী থাকে ক্যালিফোর্নিয়ায়, আর আমি গিয়েছিলাম বোস্টনে। কাজেই কোন সুযোগ নাই, আর আমার এতো তেলও নাই। হুমায়ূন আহমেদের কোন এক নাটকে ডায়লগ ছিল, ''গান্জা খায়াই কূল পাই না, লেহাপড়া করমু কখন?'' তেমনি আমার ডায়লগ.......নিজের বউ সামলায়াই কূল পাই না, বন্ধুর বউরে দেখমু কখন? B:-/

আশা করি, বিষয়টা মিডের কাছে পরিস্কার করতে পারলাম। :-B

১৬ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১০:১৮

নতুন নকিব বলেছেন:



"গাঁজা খাইয়া কূল পাই না, লেখাপড়া করমু কখন’’ – এই ডায়লগটাই আসলে পুরো পরিস্থিতির সারমর্ম!

আপনার বউয়ের দূরদর্শী দৃষ্টিভঙ্গির প্রশংসা না করে পারছি না। “বুড়ো বয়সে কে কার বাগানে কখন মুখ ঢুকায়া দেয়” – কথাটা যেমন বাস্তব, তেমনি সাহিত্যিক! :)

তালাক বিশেষজ্ঞ না হলেও একথা বলা যায়—আইনি কাগজে নয়, মনের দেয়ালে যখন সম্পর্ক ঝুলে থাকে, তখনই বোঝা যায়, ‘ভবিষ্যতের কোনো চ্যাপ্টার আর লেখা হবে না’।

আপনার পক্ষ থেকে মিডের কাছে বিষয়টা একেবারে পানির মতো পরিস্কার হয়েছে। বোস্টনের বাতাসেও যদি ক্যালিফোর্নিয়ার গন্ধ না আসে, তাহলে আমরা নিশ্চিত—“আলুর দোষে” নয়, একেবারে পরিপক্ব মনের পরিচয় দিয়েছেন।

এভাবেই থাকুন, লিখতে থাকুন, আর আমরা মজা পাই! ;)

৬| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:২১

কামাল১৮ বলেছেন: অর্থের বিনিময়ে বিয়ে।অর্থ পরিশোধ করে তিন তালাক বললেই সঠিক তালাক হয়ে যায়।ইসলামের মতো এমন বিচিত্র বিয়ে আর পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি নাই।এমন তালাকও নাই।

১৬ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১০:২০

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার বক্তব্যে যে ‘অর্থের বিনিময়ে বিয়ে’ বা ‘তিন তালাক বললেই হয়ে যায়’—এসব কথা বলা হয়েছে, তা ইসলামি বিয়ের প্রকৃতি ও তালাকপ্রক্রিয়া সম্পর্কে সীমিত বা ভ্রান্ত ধারণা থেকে উদ্ভূত।

ইসলামে বিয়ে কোনো "লেনদেনমূলক চুক্তি" নয়, বরং এটি একটি নৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় বন্ধন—যা পারস্পরিক সম্মতি, দায়িত্ববোধ ও মর্যাদার ভিত্তিতে গঠিত হয়। ‘মোহর’ অর্থ নয়, এটি বরপক্ষের পক্ষ থেকে কনের প্রতি একধরনের সম্মানসূচক অধিকার—যা কেবল অর্থমূল্য নয়, বরং দায়িত্বের প্রতীক।

আর ‘তিন তালাক একসঙ্গে’ বলা যে ইসলাম অনুমোদন করে—এটিও ভুল ধারণা। ইসলামে তালাক একটি সংবেদনশীল ও ধাপে ধাপে সম্পন্ন হওয়ার বিষয়। তিন মাসের সময়কাল, সমঝোতার সুযোগ এবং পরিবারের মধ্যস্থতা—এসবের মাধ্যমে তালাকপ্রক্রিয়া পরিচালিত হওয়ার কথা বলা হয়েছে। হঠাৎ তিন তালাক উচ্চারণ করে বিচ্ছেদ করাকে নিন্দনীয় ও গোনাহ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

তাই ইসলামকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন না করে, মূল উৎস থেকে নিরপেক্ষভাবে জানার চেষ্টা করুন। ধর্ম নিয়ে কটাক্ষ নয়, বরং উপলব্ধিই পারে আলোচনাকে সমৃদ্ধ করতে।

ধন্যবাদ।

৭| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:২৯

কামাল১৮ বলেছেন: তালাকের পর ঐ নির্ধারিত টাকা ছাড়া কিছুই পায় না।ইসলামের কি ব্চিিত্র নিয়ম।অমানবিক নিয়ম।

১৬ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১০:২২

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনি বলছেন, "তালাকের পর নির্ধারিত টাকা ছাড়া কিছুই পায় না" — এই মন্তব্যটি ইসলামি শরিয়তের গভীরতা ও ন্যায়নীতি না বুঝেই দেওয়া হয়েছে।

ইসলামে স্ত্রী তালাকপ্রাপ্ত হওয়ার পর মোহর তো রয়েইছে — তা হল তার অধিকার, যা কখনোই অস্বীকার করা যায় না। এর বাইরে, তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর জন্য ইদ্দতকালের খরচ, বাসস্থান, যদি সন্তান থাকে তাহলে সন্তানের ভরণপোষণ, এবং প্রয়োজন বুঝে আরও সহযোগিতা দেওয়ার নির্দেশ রয়েছে।

পবিত্র কুরআনেও বলা হয়েছে:

“তোমরা তাদেরকে সামর্থ্য অনুযায়ী উপঢৌকন দেবে। এটি সৎলোকদের ওপর এক কর্তব্য।” -সূরা আল-বাকারা: 236

তালাককে ইসলামে উৎসাহিত করা হয়নি — বরং এটিকে সবচেয়ে অপছন্দনীয় বৈধ কাজ বলা হয়েছে। ইসলাম চেষ্টা করে সম্পর্ক রক্ষা করতে, এবং বিচ্ছেদ হয়ে গেলে তা যেন সম্মান ও ন্যায়বিচারসহকারে হয় — সেটিই নির্দেশনা।

অমানবিক তো তখনই হতো, যদি নারীর কোনো অধিকারই না থাকত। কিন্তু ইসলাম নারীর অধিকার, নিরাপত্তা ও মর্যাদাকে সুনিশ্চিত করেছে সেই সময় থেকেই, যখন দুনিয়াজুড়ে নারীরা সম্পত্তির মালিক হওয়া তো দূরে থাক, মানুষ বলেও বিবেচিত হতো না।

তাই ইসলামকে বুঝতে হলে বিদ্বেষ নয়, দরকার নিরপেক্ষভাবে জানা ও অনুধাবন।

ধন্যবাদ।

৮| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: হা হা হা--

ভালো ভালো। খুব ভালো।

১৬ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১০:২৫

নতুন নকিব বলেছেন:



তালাককে ইস্যু বানিয়ে ইসলামকে দোষ দেওয়া মানে নিজের অজ্ঞতা নিজেই ফাঁস করা। ইসলাম নারীকে মোহর দেয়, দায়িত্ব দেয়, অপমান নয়। বিদ্বেষ নয়, জ্ঞান অর্জন করুন।

ধন্যবাদ।

৯| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১১:২০

আরোগ্য বলেছেন: নারীদের খুলা সম্পর্কে কোরআনে আছে কিন্তু বাকি দুই পদ্ধতি কোরআনে আছে বলে আমার মনে পড়ছে না।

মন্তব্যে অটো তালাক নিয়ে বেশ সরগোল। ওয়াজ মাহফিলে শোনা যায় অনেক আলেম বলে ওমুক কাজ করে ওর বউ অটো তালাক। সে যা ই হোক আমি যতদুর জানি জামাই/বউ ধর্মান্তরিত করলে অটোতালাক তবে বউ ইহুদি খ্রীস্টান হলে সমস্যা নাই তবে পৌত্তলিক হলে বাদ, সে হিসেবে তো মাজার পূজারিও অটো তালাক। জানি না, আল্লাহ মালুম।

১৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৮:০৩

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার মন্তব্যে যেহেতু আপনি কোরআন ও শরিয়তের আলোকে তালাক এবং খুলা প্রসঙ্গে কিছু প্রশ্ন ও পর্যবেক্ষণ রেখেছেন, তাই সংক্ষেপে কিছু বিষয় পরিষ্কার করার চেষ্টা করছি।

প্রথমত:
তালাকের পদ্ধতি মূলত তিনটি—
১. তালাক (স্বামীর পক্ষ থেকে বিচ্ছেদ)
২. খুলা (স্ত্রীর অনুরোধে বিচ্ছেদ এবং স্বামীর সম্মতিতে)
৩. তাফরীক বা আদালতের মাধ্যমে বিচ্ছেদ (যেখানে বিচারক বৈধ কারণ দেখলে স্বামীকে বাধ্যতামূলক বিচ্ছেদে বাধ্য করতে পারেন)

খুলা প্রসঙ্গে কুরআনের সুরা বাকারা, আয়াত ২২৯-এ নির্দেশনা আছে:
“... যদি তোমরা আশঙ্কা করো যে তারা আল্লাহর সীমা অতিক্রম করবে, তবে স্ত্রী মুক্তি পাওয়ার জন্য কিছু ফিরিয়ে দিলে তাতে কোনো দোষ নেই...”

দ্বিতীয়ত: ধর্মান্তর ও ‘অটো তালাক’ প্রসঙ্গে: যদি কেউ ইসলাম ত্যাগ করে (নাউজুবিল্লাহ), তাহলে তার মুসলিম স্ত্রীর সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক আর টিকে না—এটাই শরিয়তের বিধান। তবে এর জন্য আদালত বা শরিয়তের কোনো স্বীকৃত কাঠামোর রায় থাকা জরুরি। কিন্তু কেউ মাজারে গেলে বা সমাজে প্রচলিত কিছু বিদআতি কাজ করলেই তাকে “মুশরিক” বা “অটোমেটিক তালাকপ্রাপ্ত” বলে দেওয়া শরিয়তের দৃষ্টিতে সঠিক নয়, বরং এটি চরম দায়িত্বহীন ও ভয়াবহ ভুল ফতোয়া হয়ে দাঁড়ায়।

তৃতীয়ত: শুধু ওয়াজে কোনো আলেমের মুখে শোনা ‘অটো তালাক’ বা ‘অটো ফতোয়া’ গ্রহণযোগ্য নয় যদি না তা কোরআন-সুন্নাহর প্রমাণ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়। ইসলামে তালাক একটি অত্যন্ত গুরুতর বিষয়, একে নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে পরিচালনার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

শেষ কথা: ধর্মীয় বিষয়ে আমাদের মতামত ও বিশ্লেষণ অবশ্যই যথাযথ দলিল ভিত্তিক এবং যতটা সম্ভব জ্ঞান, দয়া ও সতর্কতার সঙ্গে হওয়া উচিত। আপনি যেভাবে "আল্লাহ মালুম" বলে সতর্ক অবস্থান নিয়েছেন, সেটা প্রশংসনীয়। জাজাকুমুল্লাহ।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক বুঝ ও হিকমতের সঙ্গে দ্বীন পালনের তাওফিক দিন। آمين।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.