অরিত্রিকে নিয়ে সবাই লিখছে দেখেও বুঝতে পারছিলামনা সবাই কেনো দায়টা শুধু অন্যের উপরেই চাপিয়ে বাচতে চাইছে? প্রদীপের নিচেই অন্ধকারটা বেশি থাকে ।এই উপলব্দী হলো আবার নতুন করে।
আমি, আপনি প্রতিদিনই কি হত্যা করছিনা ,আমাদের অরিত্রিদেরকে !আমরাইতো আমাদের ব্যার্থতার গ্লানি থেকে মুক্তি পেতে তাদেরকে ঠেলে দিচ্ছি আত্মহণনের পথে।যদি তা না হতো তাহলে আমাদের তির্যক দৃষ্টি থাকতো শিক্ষার নামে প্রতিষ্ঠিত এসকল বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গুলোর দিকে।আমরা আসলে নির্লজ্জ বেহায়াতে পরিনত হয়েছি।যে প্রতিষ্ঠানে আমাদের কণ্যা,বোনেরা ধর্ষিতা হয় শিক্ষা গ্রহণ করতে যেয়ে।সেই প্রতিষ্ঠানকে কি আমরা জবাবদিহিতার আওতায় আনতে পেরেছি।রেখেছী কি শ্যাণ দৃষ্টি তাদের উপরে।একটি দু'টি ঘটনার বিস্ফোরনে আমরা হঠাৎ করে জেগে উঠি রুপকথার সেই রাজকণ্যার মত ।একটু থিতিয়ে এলেই আবার শীতনিদ্রায় চলে যাই।এভাবে পৃথিবির আর কোথাও চলেনা,চলছেনা।চলছে শুধু আমার অভাগা প্রিয় মাতৃভুমিতেই।অথচ কি গৌরবের ইতিহাস আমাদের।পৃথিবিতে আর কয়টা জাতি আছে এমন যুদ্ধ করে রক্তের মুল্যে অর্জন করেছে স্বাধিনতা।
আর কোন কম্প্রোমাইজ নয় ,এখন এই মুহুর্ত থেকে জবাব দিহিতার আওতায় আনতে হবে বিদ্যালয় নামক প্রতিটি বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে।এরপরও যদি ভাবি চোখ বন্ধ করে রাখলেই প্রলয় হবেনা ।তাহলে এত চিৎকার চেচামেচি করার কোন অর্থ আমি অন্তত দেখিনা। আমাদেরকে ,আমাদের পাওনা কড়ায় গন্ডায় আদায় করে নিতে হবে।কারন ঐ সকল বানিজ্যের পণ্য না হয়ে.। যে জন্য প্রেরণ করি আমাদের সন্তান,ও ভাই ,বোনদের তার পুরোটা আদায় করে নিতে হবে।ব্যাবসার উপরে আবার ডাবল ব্যাবসা কোচিং সেন্টার ও প্রাইভেট ব্যাচে পড়ানো বন্ধ করতে হবে।ক্লাসের পড়া শ্রেনি শিক্ষককেই পড়িয়ে দিতে হবে।ছাত্র,ছাত্রীদের শিক্ষাদানের পুর্বে নিজেদের পরিপুর্ণরুপে শিক্ষক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।আমরা কোন দাড়োয়ান বা কসাইয়ের কাছে দিতে পারিনা আমাদের কোমলমতি শিশু কিশোরদের দায়িত্ব।আসুন আমরা প্রতিজ্ঞা করি আমরা আমাদের শিশুদের অসুস্থ প্রতিযোগিতায় ছেড়ে দিবোনা।নাইবা হলো প্রথম,দ্বিতিয় বা তৃতীয়।আমরা চাই তারা হোক সু শিক্ষায় শিক্ষিত।সত্যিকারের আদর্শ মানব সন্তান।যার যেরকম মেধা সে সেরকমই পড়বে।প্রত্যেকেরই এক রকম মেধা থাকেনা।সবাইকে ডাক্তার, ইন্জিনিয়ার হতে হবে এমন কোন কথা নেই।আমি মনে করি যে শিক্ষা পরবর্তি কর্ম জিবনে কোন কাজে আসবেনা সেরকম শিক্ষার দরকারইবা কি !এখন থেকেই শুরু হোক প্যারেন্টস /টিচার সংযোগ।আমরা সময় করে কেনো জানতে চাইনা আমাদের শিশু ,কিশোররা কেমন করছে তাদের একাডেমিক শিক্ষা সহ কারিক্যুলামে । একটা দেশ শুধু ডাক্তার/ইন্জিনিয়ার বা বৈজ্ঞানিক দিয়ে চলেনা ।সবার আগে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠার শিক্ষা নিতে হয়।তারপর জিবিকার প্রয়োজনে বেছে নিতে হয় প্রফেশনাল শিক্ষা।
যে কোন কাজ শুরু করার পুর্বেই ভাবতে হয় তার সুন্দর ও সফল পরিসমাপ্তীর কথা।অসম্পুর্ণ প্ল্যানে সবকিছুই হবে হযবরল। শিক্ষা ,চিকিৎসা ,বাসস্থান,অন্ন ও বস্ত্র এসকলের জন্য একটি জাতিয় নীতিমালা অতি আবশ্যক।কোন অবৈধ প্রতিষ্ঠানকে আমরা বৈধতা দেবোনা।আমরা যদি সবাই মিলে অবৈধ কোচিং বানিজ্যের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াই তাহলে তারা আর এমন অনৈতিক কাজে নিয়োজিত হবেনা।বৈশম্য নয় শিক্ষা সবার অধিকার ।এর সুযোগ সুবিধা অবারিত হতেই হবে।এমন শিক্ষা চাই যে শিক্ষা আমাদের জিবনের প্রতিটি পরবে কাজে আসবে।প্রতিটি ধাপে আমরা আমাদের শিক্ষার সাহায্য নিয়ে পথ চলতে পারবো এমন শিক্ষাই কাম্য হোক সকলের জন্য।সকল প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করার মত শিক্ষাই আমাদের চাওয়া হোক।অসুস্থ প্রযোগিতার বলী যেনো না হোতে হয় ভবিষ্যত অরিত্রিদের।গ্লানির অতলে তলিয়ে যেতে দেবোনা আমরা আমাদের আর কোন অরিত্রিকে।
ধন্যবাদ,
এই ছবির মত সুন্দর হোক অরিত্রিদের অনাগত জিবন।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২৫