Reality is bitter....
এখনও রাব্বিকে মারার কথা আমাদের মনে যে ক্রোধের সৃস্টি করেছে তা থেকে বেরিয়ে আসতে পারিনি।তার পুর্বেই বিকাশ'কে হাসপাতালে পাঠিয়ে দিলো পুলিশ।বীর পুঙ্গব একেক জন মনে হয় বাংলাদেশ'কে অপরাধ মুক্ত করে ছাড়বে।নিরপরাধীকে পিটিয়ে সায়েস্তা করে।না এগুলো কোন বিচ্ছিন্ন ঘটণা নয়।এগুলো এখন ধারাবাহিক নিয়মিত ঘটণা।আমরা সব সময় পত্রিকার পাতায় দেখি ক্লোজড/প্রত্যাহার ও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে অপরাধী পুলিশকে।তারপরে তাদের বিরুদ্ধে ইনভেস্টিগেশন করে রিপোর্ট জমা দেন তাদেরই সহকর্মিরা।সেই তদন্তে সব কিছু সাজানো থাকে তাদের ইচ্ছামত ।যদি কোন শক্তশালী প্রতিপক্ষ না থাকে।বেশিরভাগ ভুক্তভোগিরা আরো ব্যাপক হয়রানি থেকে বাচার জন্য কোন অভিযোগই করার সাহস করেননা।আর এটাকেই আমাদের সাধারণ মানুষের দুর্বলতা ভেবে তারা আবারও নতুন নতুন অন্যায় আচরণ করে আমাদের বিরুদ্ধে।আমাদের ট্যাক্সের টাকায় তাদের বেতন ভাতা সহ সব সুযোগ সুবিদা নিয়ে আমাদেরকে সায়েস্তা করে যাচ্ছে দিনের পর দিন।
শুধু ১দিনের জন্য যদি মানুষকে নির্ভয়ে পুলিশের অন্যায় অনাচারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে বলা হয়.। আমার মনে হয় অভিযোগে সংখ্যা লক্ষাধিক ছাড়িয়ে যাবে।তাহোলে সেই প্রবচনটি মনে হয় শতভাগ সত্যি বাংলাদেশের পুলিশের বেলায়।এক প্লেটে ভাত খেয়েও পরক্ষনেই চোখ উল্টে ফেলতে খুবই পটু তারা।অথচ এরকম হওয়ার কি কথা ছিলো ! যে পুলিশ বীরত্বের সাথে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলো সেই ৭১-এর কালরাত্রে।কোথায় আমাদের সেই পুলিশ ভাইয়েরা? বাংলাদেশের সব মানুষতো অপরাধী নয়।অধিকাংস মানুষ আইনকে শ্রদ্ধা করে বা করতে চায়।কিন্ত আইনের প্রতি বিতস্রদ্ধ হয়ে এখন মানুষ আইনকে বা আইনের মানুষদের পাশ কাটিয়ে চলতে চায়।শত বিপদে থাকলেও পুলিশকে বিশ্বাস করতে পারেনা।পারেনা তাদের উপর নির্ভর করতে।পয়সার বিনিময়ে অপরাধীরা অপরাধ করে সেটা আমরা জানি।কিন্তু আজকের পুলিশ সহ আরো অনেক বাহিনীকেই ভাড়া করা যায়।অর্থাৎ অপরাধ নির্মূল করার দায়িত্ব যাদের তারাই উল্টো অপরাধ করছে। এবং পয়সার বিনিময়ে তারা যে কোন কাজ করতেই প্রস্তুত।
তাহোলে আমাদের কি সেই আদিম যুগেই ফিরে যাওয়া উচিত।আমরা কি আমাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিজেদের হাতে তুলে নেবো।বাংলাদেশ সরকার কি তাহোলে সাধারন মানুষকে নিরাপত্তার জন্য অ্স্রের লাইসেন্স দিয়ে বাধিত করিবেন?নিরাপত্তা দিতে না পারলেও নিরাপত্তা হরণ করার ব্যাপারে অগ্রনী ভুমিকা রাখছে আমাদের পুলিশ।আমরা দেখেছি তারা চাপাতি'র বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহণ না করে ব্লগারদের উপদেশ দেন লেখার ভাষা পরিবর্তন করার জন্য।ফলাও করে প্রচার করেন অস্র উদ্ধার নাটকের।আর তথাকথিত ক্রশফায়ার গল্পের কথা এখন একটা শিশুও জানে।পুরো বাংলাদেশ তোলপাড় করা হত্যা ,সন্ত্রাস ও ধ্বংসের সমাধান তাদের দিয়ে হয়না।কিন্তু আমার ,আপনার মত বিকাশ/রাববি/কাদের।লিমনদের উপর একেক জন বীর বাহাদুরের মত ঝাপিয়ে পড়তে পারে।সাধারণ মানুষ অপরাধীদের পাকরাও করে পুলিশের হাতে দিলে সেখান থেকে তারা তাদের বানিজ্য করে নেয়। যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহণ না করে।সরকারের দায়িত্ববান ও যথাযথ কতৃপক্ষ কি এখনও ঘুমিয়ে কাটাবেন নাকি সাধারণ মানুষের দৃষ্টিকোন থেকে যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহণ করবেন?
আর এমন কথা আমরা শুনতে চাইনা এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটণা বা বাক্তিগত অপরাধের দ্বায় কোন বাহিনি বা কতৃপক্ষ নিবেনা।যে যেখানে আছেন দ্বায়টা তাদের অবশ্যই নিতে হবে ।তা নাহোলে আমরাও বলবো আপনার অপারগতা নিয়ে সরে দাড়ান।যে পারবে তাকেই এনে দায়িত্ব দেওয়া হোক।আমার মনে হয়না আমাদের সকল বাহিনীর সকল সদস্য পচে গলে নষ্ট হয়ে গেছে।এটা আমরা -আমাদের স্বপ্নেও ভাবতে চাইনা।ছোট হোক বড় হোক শুরুটা করুন দেখবেন লাইনটা দীর্ঘ হতে খুব বেশি সময় লাগবেনা।আমরা সকল বিপদে সবার আগে পুলিশকে স্বরণ করতে চাই বিশ্বের অনেক দেশের মত।ওরা পারলে আমরাও পারবো।আমরা যুদ্ধ করে বিজয়ি জাতি ।আমাদের অভিধানে অসম্ভব বলে কোন কিছুই থাকতে পারেনা।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৩৩