হজরত উম্মে সালমা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) মৃত্যুশয্যায় যে অসিয়ত করে যান তা ছিল—‘সাবধান থাকবে নামাজ ও তোমাদের অধীনস্থদের বিষয়ে। ’ (ইবনে মাজাহ : ১/৫১৯)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা বলেছেন, আমি কিয়ামতের দিন তিন শ্রেণির মানুষের প্রতিপক্ষ। আর আমি যার প্রতিপক্ষ, তাকে পরাজিত করবই। তন্মধ্যে এক শ্রেণি হলো, যে কোনো শ্রমিক নিয়োগ করে, অতঃপর তার থেকে পুরো কাজ আদায় করে নেয় কিন্তু তার পারিশ্রমিক প্রদান করে না। ’ (বুখারি : ২/৭৭৬) শ্রমিকের পাওনা যথাসময়ে পরিশোধের ব্যাপারে মহানবী (সা.)-এর মতো এত কঠোর হুঁশিয়ারি আর কেউ উচ্চারণ করেননি। অনতিবিলম্বে মজুরি প্রদান করার ব্যাপারেও তিনি ছিলেন সবচেয়ে আন্তরিক। মজুরির প্রশ্নে মানবসভ্যতার ইতিহাসে শীর্ষে অবস্থান করছে তাঁর বাণী। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘শ্রমিকের ঘাম শুকানোর আগেই তার পারিশ্রমিক পরিশোধ করে দাও। ’ (ইবনে মাজাহ : ২/৮১৭)
এই মহান “মে দিবস” এ বাংলাদেশ সহ বিশ্বের সকল মেহনতি মানুষের প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা ও আন্তরিক শুভেচ্ছা। সেই সাথে বিভিন্ন সময়ে দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকদের রূহের মাগফিরাত কামনা করি।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মে, ২০১৭ সকাল ৮:৫৪