ভারতের পাঞ্জাব, বিহার ও মহারাষ্ট্রে বিবাহিত জীবন টেকে বেশি। এসব এলাকায় ৪০ বছর ধরে দম্পতিরা একে অন্যের হাত ধরে জীবন কাটায়। ২০১১ সালের আদমশুমারি বলছে, দীর্ঘদিন ধরে বিবাহিত জীবনযাপন করছে—এমন দম্পতির হার সেখানে ১১ থেকে ১২ শতাংশ।
তবে ভারতের উত্তরাঞ্চলে এই হার ৭ শতাংশ। মেঘালয়ে ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে বিবাহিত জীবনযাপন করছে—এমন দম্পতির সংখ্যা ৪ দশমিক ১ শতাংশ।
পুরো ভারতে ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে বিবাহিত দম্পতিদের হার ১০ শতাংশ।
সমাজবিজ্ঞানীরা বলছেন, ভারতে বিভিন্ন অঞ্চলে বিবাহিত জীবনের স্থায়িত্বের এই তারতম্য কয়েকটি বিষয়ের ওপর নির্ভরশীল। এগুলো যতটা না বিশ্বস্ততা ও ভালোবাসার ওপর নির্ভর করে, এর চেয়ে অনেক বেশি নির্ভর করে সামাজিক প্রথা ও স্বাস্থ্যগত বিষয়ের ওপর। বিবাহিত জীবনের স্থায়িত্ব সাধারণত দুটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। এই দুটি বিষয় হলো, কোন বয়সে তাঁরা বিয়ে করছেন এবং কত দিন ধরে জীবনযাপন করছেন।
সাধারণত হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিয়ে বেশি টেকে।
ভারতের উত্তরাঞ্চলের বেশির ভাগ এলাকায় কম বয়সে বিয়ে হয়। তবে এ ধারা ধীরে ধীরে বদলাচ্ছে। জরিপ বলছে, কম বয়সে বিয়ে হলে বিবাহিত জীবন দীর্ঘস্থায়ী হয়। আর ভারতের উত্তরাঞ্চলে বিবাহবিচ্ছেদের হার খুব কম। মাত্র ১ দশমিক ১ শতাংশ। গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বিমল কর টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, ৪০ বছরের বেশি বয়সে বিয়ে করলে তা কম টেকে।
আদমশুমারি বলছে, হরিয়ানায় ২১ শতাংশ লোক ২১ বছর পার হওয়ার আগেই বিয়ে করে। মেঘালয়ে ১১ শতাংশ লোক বিয়ে করে ওই বয়সে। আর হরিয়ানায় ৩১ শতাংশ নারী ১৮ বছরে পৌঁছানোর আগেই বিয়ে করে। অথচ ১৮ বছর না হলে বিয়ে করা আইনসিদ্ধ নয়। তবে মেঘালয়ে এই হার ১৫ শতাংশ। টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইন অবলম্বনে
সূত্র প্রথম আলো- ১৯-জানুয়ারী ২০১৬
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০৬