আমি সারাজীবন পরীক্ষার আগের রাতের হিরো।
ঐ রাতে আমি মোটামুটি রোম জয় করে ফেলি।
কাল পরীক্ষা রাতে ঝড় তোলার প্রস্তুতি নিয়ে
বসলাম, কিছুক্ষণ পড়ার পর ভাবলাম ১০
মিনিট চোখ বুজে বিশ্রাম নিয়ে লই। কিন্তূ সর্বনাশ
একি চোখ খুলে দেখি সকাল সকাল লাগে।
হায় রে আমার এই কপাল খান কিডা পুড়াইল।
আজ তুমুল ঘাড়ের ব্যামো আমাকে করতে হইব না
হইলে আমি শেষ।হলে গিয়ে দোস্তদের কইলাম
আমারে বাচা। ওরা কইল কি হইছে মামা
প্রেমিকারে পালাইয়া বিয়াতে সাহায্য করতে হইবে
(দুষ্টু পোলাপাইন তো).আমি কইলাম আরে না হালা
আমারে যেমনে হোক পরীক্ষায় পার কইরা নিবি।
যথারীতি প্রশ্ন হাতে পেয়ে দেখি ১৫ কমন!
এখন ৮৫ আমাকে ঘাড় ব্যামের সাহায্যে
অর্জন করিতে হইবে। মনে মনে ভাবলাম দুইজনের
কাছে পার্ট টাইম কাজ করতে হবে।
কিন্তূ গার্ড পড়ছে সেই বাঘা সাইফুল।যার
নাম শুনলেই সবাই প্যান্টের দিকে তাকায় যে কিছু
হইল নাকি। যাই হোক মোটামুটি বিশেষ কৌশলে
কপি মাইরা ৯৫ এনসার কৈরা ফেললাম! সারের দেখি
চোখের দিকে তাকাইতেই
এমন অবস্থা যে একটু পড়েই আমাকে খাইয়া
ফেলবে। পরীক্ষা শেষ হইল। আর যায় হোক হাফ
ছাইরা বাঁচলাম। কিন্তূ একটু পড়েই দপ্তরীর ডাক -
জুবায়ের কে? সাইফুল সার ডাকে।
হায় আল্লাহ্ এইবার কি হবে? লাইব্রিতে যাইবার সময়
দিকে চোখ
বার বার প্যান্টের দিলাম(বলে জায়নাত কি হয়)
সার: ঐ কাছে আয়।
আমি: দূর থাইকাইতো ভাল সার।
সার: যা কই তাই কর।
সার: ভালোইতো পারস।
আমি: সার আইজকাই প্রথম।
সার: একদিনেই এতো এক্সপার্ট!
আমি: হেল্পমেনরা ভাল তাই।
সার:শুনলাম টিপাটিপিতেও তুই দারুন এক্সপার্ট?
আমি: কন কি?(নাউজুবিল্লাহ)
সার: টিপাটিপিতে আবার হেল্পমান লাগে নাকি।
শোন এইসব কাজে নিজে নিজে দক্ষ হতে হয়!
আমি: হায় হায় আমি কি কাম্রুক কাম্রুক্ষার
দেশে আইসা পড়লাম নি(মনে মনে)।
সার: কবে থাইকা ঐ অভ্যাস , বিনোদন, মজা
নেওয়া ভাল তবে অতিরিক্ত পড়ালিখার জন্য
ভালোনা।
আমি: এইগুলা কি কন সার।
সার: আরে আমাদের সময় হাতের কাছে পাইতাম না
কিন্তূ এখন তো অভাব নাই!
আমি: সার আমি জীবনেও এইগুলান করি নাই
সার: মিথ্যা কথা কস সবাই কইল তুই
মোবাইল অনেক ভাল টিপস , আমার রিংটোন বাজে না
কেন ঠিক কৈরা দে তাড়াতাড়ি!!!!