ছোটবেলায় অনেককেই বলতে শুনেছি বাংলাদেশের মানুষের একটা
বড় সমস্যা হল তারা কখনই হারতে চায় না। প্রথমে নিজেদের কাছে
আনা পাই যা যুক্তি আছে তা ব্যাবহার করবে তারপর পাছা(এর থেকে
উপযুক্ত ভাষা আমার জানা নাই) দিয়ে ঠেলবে। তারপর যখন তাতেও
কাজ হবেনা তখন গালাগালি করবে।
এই পর্যায়ে এসে দেকছি কথাটা ডাহা সত্য কথা ছিল।যাই হোক আজ
যেই কথাগুলু বলব জানি কারই ভাল লাগবে না, কেউ হয়ত আমার সাথে
একমত হবে না, তবুও আমি বলব।
পুরা দেশ আজ দুই ভাগে বিভক্ত একদিকে হেফাজত আরেক দিকে
শাহাবাগিরা। বর্তমানে যেই অবস্থা দেখা যাচ্ছে তাতে শুধু এদের মতের না
এদের জাতের ও অমিল খুজে পাওয়ার মত অবস্থা।
শাহাবাগের আন্দলন আসলে কেন হয়েছিল?সহজ উত্তর যুদ্ধাপরাধীরা
উপযুক্ত সাশ্তি পাইনি তাই। আমিও সেই আন্দলনে ছিলাম। এবং খুব ভাল
ভাবেই ছিলাম। এমনকি কাল যদি আবার কোন অপরাধীর এই রকম
শাস্তি দেওয়া হয় আমি আবারও যাব।এবং সেই আন্দলনে কিছু নাস্তিক ও
ছিল সত্য কথা। তারপর কথা উঠলো শাহাবগের আন্দলন নাস্তিকদের
আন্দলন। বিশেষকরে ফেসবুকে বিপক্ষের লোকজন এইটা ঢালাওভাবে
বলতে লাগল।
কেন এমন হবে? শাহাবাগের আন্দলনে ৭০ বৎসরের যেই বুড়ো
ছিল যে নাস্তিকতার কথা সপ্নেও চিন্তা করতে পারে না।তাদের ভাষ্য মতে
সেও নাস্তিক ।এবং সেইখানের মেয়েদের নিয়েও অনেক খারাপ কথা বলা
হয়েছে। বাড়ির পোষা ককুর যখন তার মুনিব ছাড়া অন্য কাউকে দেখে
তখন সেই লোক ভাল হোক আর খারাপ হোক সে ঘেউ ঘেউ করবেই
অনেকের অবস্থা তখন ঠিক সেই রকমি আমার মনে হয়েছে।
""অনেকেই আমাকে এই পর্যায়ে শাহাবাগের কিট ভাবছেন
প্লিজ পুরুটা পড়ুন""
আমি প্রচণ্ড একজন আস্তিক মানুষ, পৃথিবীতে যাদের কে সবচাইতে
বেশি ঘৃণা করি তার মধ্যে নাস্তিক প্রথম।
তারপর আসল হেফাজতে ইসলাম। তারা নাস্তিকদের বিচার চায়।
তাদের ১৩ দফা দাবি পেশ করল।এক পর্যায়ে সরকার হয়ত চাপে
পড়ে ৪ জন ব্লগার কে আটক করল।
তারপর অনেকেই তাদের মুক্তি চাইলেন। অনেকের
যুক্তি সবারই মুক্ত চিন্তার অধিকার আছে।
""সবারই মুক্ত চিন্তার অধিকার আছে ""
হা আছে তবে সব কিছুরি একটা সীমা আছে।
অনেকেই এইখানে বিভিন্ন যুক্তি দিয়েছেন। আমি সহজ ভাষায়
একটা কথা বলি- ধরুন আমার কাল ইংলিশ পরীক্ষা আর আমি
আমার মুক্ত চিন্তার বিকাশ ঘটিয়ে সব কিছু বাংলায় লিখে দিয়ে আসলাম।
তাহলে কি আমি নাম্বার পাব? না পাব না কারন আমি সীমা অতিক্রম
করেছি।
আজ যখন কোন মিডিয়া মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে তখন আমরা সেই
মিডিয়ার সাংবাদিকদের হলুদ সাংবাদিকতার দায়ে অভিজুক্ত করি।কেন?
আপনারা যখন এত মুক্ত চিন্তায় বিশ্বাসী তাহলে একটা মিডিয়াও তাদের
মুক্ত চিন্তা দিয়ে তাদের ইচ্ছামত খবর প্রকাশ করবে!!
কিন্তু আমরা তা করিনা কোন মিডিয়া করলে হুলুদ মিডিয়া আর কোন মানুষ
করলে সেটা মুক্ত চিন্তা!! ভালই দুমুখু শাপ।
হেফাজতে ইসলামের আসল উদ্দেশ্য কি আমি জানি না কিন্তু
তাদের কয়েকটা দাবি আমি সমর্থন করি । কিন্তু যারা
হেফাজতের বিরুদ্ধে তাদেরকে দেখছি বলতে যে এইগুলা নাকি
মধ্যযুগীয় দাবি!! জানিনা তার তারা কোন জুক্তিতে এই কথা বলেন।
ইদানিং গুরু ভক্তি সবার চরম পর্যায়ে চলে গেছে আমি একজনকে
পছন্দ করতেই পারি তাই বলে কি তার সব কথায় অন্ধভাবে সায় দেব?
এইরকম লোকদের বলছি আজ হয়ত আপনার তথাকথিত গুরুর আদেশে
আরেকজনের প্যান্ট নিয়ে টানাটানি করছেন। একদিন হয়ত গুরুর প্রতি
অতিরিক্ত বিশ্বাস করিয়া আন্ডারওয়ার ছারাই গুরুর কাছে চলে আসবেন
আর সেইদিন গুরু যদি আপনারনার নিজের প্যান্ট ধরেই টান দেয়
তাহলে বুঝেন আপনার কি অবস্থা হবে! তাই সাবধান, অতি ভক্তি
চোরের লক্ষন।
মেয়েদের কে নিয়ে আমি চরম হতাশ। ইসলাম মানেই মনে হয় বর্তমান
মেয়েদের মাথা বেথার কারন।ফেসবুকে অনেক মেয়েকেই লক্ষ্য করলাম
হুজুর মানেই তারা খারাপ , শত্রু।টুপি দারিওয়ালা হুজুর মানেই তাদের
চোখের সামনে বাংলা সিনেমার হুজুরদের চরিত্র ভেসে উঠে।
হুজুরদেরদের মধ্যে কিছু খারাপ আছে তাই বলে ঢালাওভাবে বলব
এইটা কোন ধরনের? মেয়েরাওত পতিতা হয়
তাই বলে কি সব মেয়েই পতিতা!
আসলে আমরা এখন ও সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারিনি।হয়ত বড়
নামি দামি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া লিখা করছি মেধাবি পরিচয়ে
সবার কাছে সমাদৃত হচ্ছি। কিন্তু সেই মেধাকে আমরা সবাই নিজের
স্বার্থে ব্যাবহার করছি। এত জটিল সমীকরণ আমরা চাই না।
চাই জটিলতাবিহীন বাংলাদেশ।