আপনার জীবনের চিন্তাভাবনাকে বদলে দিতে পারে এমন ৩০ টি বাণী (বাংলায়)।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
১. যার কথার চেয়ে কাজের পরিমান বেশী, সাফল্য তার কাছেই এসে ধরা দেয়। কারণ, যে নদী যত গভীর তার বয়ে যাওয়ার শব্দ তত কম।
২. ব্যক্তিগত খেয়াল বা আবেগ আর জীবনের লক্ষ্যকে এক করে ফেলবেন না। লক্ষ্যকে যখন সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবেন তখন তা আপনাকে আবেগের ঊর্ধ্বে নিয়ে যাবে।
৩. সুযোগের সাথে জড়িত ঝুঁকি গ্রহনে সাহসী হোন।
৪. যখনই আপনি অনুভব করবেন যে, আপনার শরীরের উপর নিজের নিয়ন্ত্রন রয়েছে, তখনই আপনি সুস্বাস্থ্যের সুপ্রভাতে উপনীত হবেন।
৫. নিরাময়ের জন্যে আপনার প্রথম প্রয়োজন এক প্রশান্ত মন।
৬. ‘সমস্যা’ শব্দটির পরিবর্তে ‘সম্ভাবনা’ শব্দটি বেশি ব্যবহার করুন।
৭. শৃঙ্খলা জীবনকে সমৃদ্ধ করে। লোহা ও চুম্বকের রাসায়নিক উপাদান এক হলেও সুশৃঙ্খল আণবিক বিন্যাসের কারণে চুম্বকের রয়েছে আকর্ষণী শক্তি যা লোহার নেই।
৮. ব্যর্থরা অবচেতনভাবে ব্যর্থতার সঙ্গে নিজেদের সংযুক্ত করে। সচেতনভাবে সাফল্যের সঙ্গে একাত্ম হলে সাফল্যই আপনার দিকে আকৃষ্ট হবে।
৯. সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে ৪ গ্লাস পানি পানের অভ্যাস করুন। এতে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে, সহজে পেটের কোন পীড়া হবে না।
১০. সহপাঠী বা প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্ক আর বন্ধুত্ব এক নয়। চেতনা ও আদর্শের মিল রয়েছে এমন কারো সঙ্গেই বন্ধুত্ব হতে পারে।
১১. কর্মস্থলে প্রতিযোগীকে সবসময় শ্রদ্ধা করুন। শক্তিশালী প্রতিযোগী আপনার মেধার সর্বোত্তম বিকাশে অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে।
১২. শোষিতরা শোষিতের হাতেই সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়। যে কখনো সম্মান পায় নি সে জানে না অন্যকে কিভাবে সম্মান করতে হয়।
১৩. আপনার সময় নেই– এ অজুহাত গ্রহনযোগ্য নয়। কারণ সময় কোন কাজে ব্যয় করবেন তা নির্ধারণের অধিকার আপনার রয়েছে।
১৪. আত্মকেন্দ্রিকতা ও ‘আমারটা আগে’ এ দৃষ্টিভঙ্গি জীবনকে এক ক্লান্তিকর বোঝায় পরিণত করে। আর বিনয়, সহানুভূতি ও উপকার যত ক্ষুদ্রই হোক জীবনকে প্রাণবন্ত ও হাস্যোজ্জ্বল করে তোলে।
১৫. হাসুন! প্রাণ খুলে হাসুন! হো তেই- এর মত করে হাসুন। হো তেই ছিলেন জাপানী সাধক। বুদ্ধের বাণী প্রচার করতেন। তাঁর পুরো শিক্ষাই ছিল হাসি। শুধুমাত্র হাসি। তিনি গ্রাম থেকে গ্রামে; বাজার থেকে বাজারে ঘুরে বেড়াতেন। গ্রামের মাঠে বা বাজারের মাঝখানে দাঁড়াতেন। তারপর হাসতে শুরু করতেন। এই হাসি ছিল তাঁর বাণী। তাঁর হাসি যেমন ছিল প্রাণবন্ত, তেমনি ছোঁয়াচে। হৃদয়ের ভেতর থেকে উঠে আসত এই হাসি। হাসতে হাসতে মাটিতে গড়াগড়ি যেতেন তিনি। তার চারপাশে সমবেত জনতাও হাসতে শুরু করত। সেই হাসি ছড়িয়ে পড়ত চারপাশে। পুরো গ্রাম-জনপদের সবাই যোগ দিত সেই হাসিতে। হাসতে হাসতে গড়াগড়ি যেত তারা।
১৬. গ্রামের লোকেরা হো তেই-এর জন্যে অপেক্ষা করত। কখন তিনি আসবেন। কারণ তিনি নিয়ে আসতেন হাসি, আনন্দ, উচ্ছলতা, আশীর্বাদ। তাঁর সাথে হাসিতে যোগ দিয়ে দুঃখ-শোক ভুলে যেত, রোগ-ব্যাধি থেকে মুক্ত হত মানুষ। তাই গ্রামের লোক অপেক্ষা করত হো তেই-এর জন্যে।
১৭. নিয়ত বা অভিপ্রায় হচ্ছে মনের লাগাম। নিয়ত মনকে নিয়ন্ত্রন করে, দেহকে সঠিক পথে পরিচালিত করে, দেহ-মনে নতুন বাস্তবতার জন্ম দেয়।
১৮.মুক্ত বিশ্বাস হচ্ছে সকল সাফল্য, সকল অর্জনের ভিত্তি। বিশ্বাসই রোগ নিরাময় করে, মেধাকে বিকশিত করে, যোগ্যতাকে কাজে লাগায়, দক্ষতা সৃষ্টি করে। ব্যর্থতাকে সাফল্যে আর অশান্তিকে প্রশান্তিতে রূপান্তরিত করে।
১৯. সুন্দর প্রত্যাশা ও প্রত্যয় নিয়ে দিন শুরু করুন। ঘুম ভাঙতেই বলুন, শোকর আলহামদুলিল্লাহ/থ্যাঙ্কস গড বা প্রভু ধন্যবাদ, একটি নতুন দিনের জন্যে। দিনের সমাপ্তিও ঘটবে এইভাবে।
২০. সময় পেলেই বুক ফুলিয়ে দম নিন। মেরুদন্ড সোজা রেখে নাক দিয়ে ধীরে ধীরে দম নিন। এক মুহূর্ত থামুন। এরপর ধীরে ধীরে মুখ দিয়ে দম ছাড়ুন। এভাবে প্রতি দফায় ১৫/২০ বার করে দিনে ৫/৭ দফা দম নিন। শরীরের ক্লান্তি-আলস্য-অবসাদ দূর হয়ে যেতে থাকবে।
২১. বদ অভ্যাস মনের এমন একটি জীর্ণ অবস্থা, যা এক সময় নতুন ধারণার মাধ্যমে মুক্তির পথ দেখাতে চেয়েছিল, কিন্তু এখন সে নিজেই পথ হারিয়ে ফেলেছে।
২২.কুৎসা ও কান কথা থেকে দূরে থাকুন।
২৩. রোগ-ব্যধির অনুপস্থিতিই সুস্বাস্থ্য নয়। সুস্বাস্থ্য হচ্ছে ভালো থাকার এক অন্তর্গত অনুভূতি যা আপনাকে সবসময় আনন্দোচ্ছল করে রাখে।
২৪. যা করতে পারবেন না বা করবেন না, সে ব্যাপারে বিনয়ের সাথে প্রথমেই ‘না’ বলুন।
২৫. কাউকে অভিনন্দন জানানোর সুযোগ পেলে আন্তরিকভাবে জানান।
২৬. স্থান-কাল-পাত্র বুঝে হাসিমুখে কথা বলুন। হৃদয়ের আন্তরিকতা মুখের হাসিতে শতগুনে প্রস্ফুটিত হয়।
২৭. প্রস্তুতি ছাড়া যাত্রা পথের কষ্টকে বাড়িয়ে দেয়। স্বপ্ন ও বিশ্বাস পথ চলার সে প্রস্তুতিরই সূচনা করে।
২৮. প্রতিটি কাজ করার আগে অন্তত একবার নিজেকে জিজ্ঞেস করুন কাজটি আপনি কেন করবেন।
২৯. নিজের কাছে নিজ সততা বজায় রাখুন। প্রতিটি কাজে আপনার পক্ষে যা করা সম্ভব, আন্তরিকতার সঙ্গে করুন।
৩০. বুদ্ধিমান সবসময় কথা বা কাজের আগে চিন্তা করে। আর বোকারা চিন্তা করে (পস্তায়) কাজের পরে।
আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।
একবার ঘুরে আসুন এই সাইট থেকে।
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
কমলার জয়ের ক্ষীণ ১টা আলোক রেখা দেখা যাচ্ছে।
এই সপ্তাহের শুরুর দিকের জরীপে ৭টি স্যুইংষ্টেইটের ৫টাই ট্রাম্পের দিকে চলে গেছে; এখনো ট্রাম্পের দিকেই আছে; হিসেব মতো ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কথা ছিলো। আজকে একটু পরিবর্তণ দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন
বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?
সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী
বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন
জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন
=বেলা যে যায় চলে=
রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।
সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন