একাত্তরে পাইক্কারা, রেজাকারেরা মসজিদ থেকে আকাম করতো। এমন কি নিজেদের মধ্যে সিগন্যাল বা সংকেত হিসাবে নিজেদের মনমতো সময়ে আযান দিত। এ কাজ বেশি করতো রাতের বেলা। গ্রামের মানুষের তখন ঘড়ি জ্ঞান বা সময় জ্ঞান সহজেই অনুমেয়।
আজও পবিত্র মসজিদের মাইক অ-কাজে, কু-কাজে ব্যাবহার করছে।
১) সাইদীকে চান্দে দেখার ঘোষনা দেওয়া হয় মসজিদের মাইক থেকে। অতপর ৩০ এর মতো নিহত।
২) চিটাগাং এ মসজিদের মাইক থেকে মিথ্যা ঘোষণা দিয়েই আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদে হত্যা করা হয়।
এ সব কাজ ছিল জামাতিদের । এখন দেখছি জামাত বিরোধীরাও হুবহু একই কাজ করছে। জামাত এসব করে দলীয় স্বার্থে। আর জামাত বিরোধীরা করেছে ব্যাক্তি স্বার্থে। ব্যাক্তি স্বার্থে মসজিদের মাইক থেকে ঘোষনা দিয়ে শিক্ষককে কান ধরানো হয়। জামাতি ভাইরাস যে অনেক বেশি শক্তিশালী তা আবারও প্রমানিত হলো । আকাশে বাতাসে, ভাবনায় তারা ভাইরাস ঢুকিয়েছে। তার বিপরীতে “ও আমার দেশের মাটি, তোমার কোলে ঠেকাই মাথা” এ ধরনের গান গাওয়া ছাড়া আমরা তেমন কিছুই করি নাই। তাই নিজের অজান্তেই স্বভাবে ঢুকে বসে আছে জামাতি ক্যারিশিমা।
১) মসজিদের মাইক যত্র তত্র ব্যাবহার বন্ধ করা এখন জরূরী। এর আগে যে সব মসজিদের মাইক মিথ্যা প্রচার, রাজনৈতিক কৌশল-প্রচারণায় ব্যাবহার করেছে অবশ্যই ঐ সব মসজিদ সংশ্লিষ্টদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। মসজিদের পবিত্রতার স্বার্থেই এ কাজ করতে হবে।
২) নারায়নগজ্ঞের ঘটনায় ক্ষমতাশালী যদি বেঁচে যায় তবে এ মসজিদের মাইক আওয়ামী লীগের অনেক বড় ক্ষতির কারণ হবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:০৭