এবারের HSC তে খারাপ রেজাল্টের পর সুইসাইড করা স্টুডেন্ট গুলোর কথা মনে আছে? দুটো সুইসাইড নোট ভাইরাল হয়েছিল মে বি। নোটগুলো পড়লে বুঝতে পারবেন ওগুলো সুইসাইড ছিলো না মোটেও। ছিল নির্মম হত্যা!
অবাক হচ্ছেন!
খুনি কে জানেন?
খুনি এই আমরা। প্রতিবেশী-এলাকাবাসীরা, প্রাণের বন্ধুরা, আত্মীয়-স্বজনেরা।
আর অস্ত্র?
যে অস্ত্র অদৃশ্য কিন্তু অব্যর্থ, কান দিয়ে প্রবেশ করে মস্তিষ্কের গ্রন্থিগুলোকে ওলট-পালট করে দেয়, ছারখার করে দেয় মানুষের অন্তরাত্মা--- আমাদের মুখ নিঃসৃত বানী।
এই তরুন তাজা প্রাণ গুলোর আত্মাহুতির দায় এড়াতে পারবে কি কেউ?! আমরা পারবো?
কেউ পারবেনা দায় এড়াতে।
"কাউকে নিয়ে ব্যঙ্গ/বিদ্রুপ করবে না, টিটকারি দিবে না, উপহাস/নিন্দা করবে না" – আল কুরআন (৪৯:১১)
"আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে প্রশ্ন করা হলোঃ সবচেয়ে ভাল মুসলিম কে? তিনি বললেনঃ যে ব্যক্তির জিহ্বা (কথাবার্তা) ও হাত (কাজ) হতে মুসলিমগণ নির্বিঘ্ন থাকে।
সহীহঃ বুখারী, মুসলিম। জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ২৫০৪
কুমিল্লা বোর্ডের মৃত ১১জনের মধ্যে একজনের সুইসাইড নোটঃ
"আগামি বছর আবার পরীক্ষা দিবো।মা, বাবাকে বুঝাইছি। সবাই স্বাভাবিক ছিলো, আমিও।
কিন্তু একের পর এক প্রতিবেশী সহপাঠীরা মিষ্টি আর কথার খোঁচা নিয়ে হাজির হতে লাগলো। আমার মায়ের মাথা খারাপ হয়ে গেলো।। বাবা ও আমাকে গালিগালাজ করলো।
যে মা বাবা গতকাল আমার মাথায় হাত রেখে বলছিলো চিন্তা করিস না, বুড়ো হয়ে যাস নাই। সামনের বার আবার পরীক্ষা দিস, বছর যাইতে কয়দিন।
অথচ, প্রতিবেশীদের মিষ্টি পেয়ে সেই বাবা মা আমাকে জুতা দিয়ে পিটলো, শুধু তাই নয়, আমার উপর রাগ করে বাবা পাতের ভাত লাথি মেরে ফেলে দিলো।
অনেক চেষ্টা করেছি লুকিয়ে থাকার, পারলাম না।
প্রতিবেশীরা এক হাত জিহ্ববা বের করে অনুশোচনা করলো, শুধু অনুশোচনা নয়, আমার জন্য নাকি আমার মা দায়ী। মায়ের আস্কারা পেয়ে আমি নষ্ট হয়ে গেছি।
তাদের কৈফিয়ত পেয়ে আমার বাবা মা কে উঠানে প্রচুর মেরেছে। মা এখনো বেহুঁশ।
মার জ্ঞান ফিরার আগেই পৃথিবীকে বিদায় জানালাম।
ভালো থাকবেন প্রতিবেশীরা
ভালো থেকো সহপাঠী বন্ধুরা।"
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৪৮