জীবনটা এক প্রীতি,
হেসে কাছে ডাকে,
পাশাপাশি থাকে,
আলতো ছোঁয়ায় জীবনটা আঁকে,
এই জীবনের প্রতি বাঁকে বাঁকে,
মা, বাবা ও বোনে,
কতনা স্বজনে,
বানায় প্রেমের ফাঁদ।।
জীবনটা এক গীতি,
সারেগামাপাধা,
সাত স্বরে বাঁধা,
জীবনের সুরে লাগে মনে ধাঁধাঁ,
এই কি পূর্ণ! নাকি মোটে আধা!
স্মৃতিটাকে ঘাটি,
পুরোটাকি খাঁটি?
নেই কি একটু খাঁদ?।।
জীবনটা এক স্মৃতি,
কে-কোথায়-কবে,
কখন-কিভাবে,
দিয়েছিল হাসি-ব্যাথা এই ভবে,
একা একা বসে সেই কথা ভেবে,
কভু হাসি আসে,
কভু ব্যাথা ভাসে,
এই জীবনের স্বাদ।।
জীবনটা ভরা ভীতি,
আছি বেঁচে ভবে,
যাব চলে কবে,
'সহজ মরণ' নিশ্চিত হবে!?
বাঁচার জায়গা কোথায়-এ ভবে?
পৃথিবীতে সেই,
জায়গাতো নেই,
বাঁচার জায়গা চাঁদ!!
জীবনের এই রীতি,
দুঃখ ও সুখ,
সুখের অসুখ
দুঃখী কথা ভেবে ফেটে যায় বুক,
তবুও বন্ধ জনতার মুখ,
কাজ করে খায়,
পথেই ঘুমায়,
আকাশ ওদের ছাদ।।
কবিতাটি মাত্রাবৃত্ত ছন্দে লেখা হয়েছে।
গান হলেও হতে পারে
সবাইকে বাংলা নববর্ষের অগুনিত শুভেচ্ছা।