আমার বিশ্বকাপ ক্রিকেট স্মৃতিচারণ-১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
তখন বাংলাদেশে ক্রিকেটের খুব একটা প্রসার হয়নি। আর গ্রামে কিংবা মফস্বলের কথা না হয় বাদই দিলাম। এর মাঝে আমাদের গ্রামটি ব্যতিক্রমই ছিল বলতে হবে। কারণ আমাদের জাগরণ ক্লাব তখন পুরোদস্তর ক্রিকেট ক্লাব। সেই ১৯৯০ সালে তখন ক্রিকেটের আধুনিক সব সরঞ্জাম নিয়ে তারা নিয়মিত ক্রিকেট খেলে। আমি তখন ক্লাস ফাইভের ছাত্র। স্কুল ছুটির পর মাঠে বসে তাদের খেলা দেখতাম। আর ভাবতাম আমি কবে খেলব। না খুব বেশিদিন ক্লাবটি ঠিকতে পরেনি। নোংরা গ্রাম্য রাজনীতি আর নিজেদের অর্ন্তদ্বন্ধে কয়েক বছরের মধ্যেই ক্লাবটির অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যায়। কিন্তু সেই বয়সেই বড় ভাইদের খেলা দেখে দেখে খেলাটির নিয়ম-কানুন শিখে গিয়েছিলাম এবং সেই সাথে খেলাটির প্রতি ব্যাপক আগ্রহ জন্ম নিয়েছিল।
কখন যে ৯২ বিশ্বকাপ চলে আসল সেটা টেরই পাইনি। কারণ তখন এখনকার মতো উম্মাদনা ছিল না। নীরবে আসতো নীরবেই চলে যেত। হার্ডকোর ক্রিকেটপ্রেমী ছাড়া তেমন কেউ খেলা দেখতোনা। আর তখন টেলিভিশন ছিল হাতেগোনা। জাগরণ ক্লাবে দেখতাম কিছু বড় ভাই খেলা দেখে। আমি ভয়ে ভয়ে, কিছুটা সংকোচ নিয়ে তাদের পাশে গিয়ে দাড়াতাম ওনারা আদর করে বসতে দিতেন। কারণ আমার বয়সী আর কেউ খেলা দেখার জন্য সেখানে যেতনা। মাঝে মাঝে বন্ধু জুনায়েদ আমার সাথে যেত। সেই ম্যাচগুলোর স্মৃতি খুব একটা মনে নেই। দুটো সেমিফাইনাল আর ফাইনালের স্মৃতি বেশ মনে আছে।
প্রথম সেমিফাইনাল হয়েছিল পাকিস্থান এবং নিউজিল্যান্ডের মধ্যে। নিউজিল্যান্ড প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২৬২ রান করেছিল। ক্যাপ্টেন মার্টিন ক্রো বড় একটা ইনিংস খেলেছিলেন। কত করেছিলেন তা মনে নেই। অবশ্য এটুকু মনে আছে যে তিনি টুর্ণামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন। পরে ব্যাট করে পাকিস্থান জিতেছিল। তরুণ ইনজামামুল হক আক্রমণাত্মক একটি ইনিংস খেলেছিলেন। একটু পরপর চার মারছিলেন।
দ্বিতীয় সেমিফাইনাল হয়েছিল ইংল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে। এই ম্যাচের স্মৃতি খুব একটা মনে নেই। এটুকু মনে আছে খেলার শেষদিকে বৃষ্টি হানা দিয়েছিল। আর দক্ষিণ আফ্রিকার খেলোয়াড়েরা মনখারাপ করে মাঠ ছেড়েছিলেন। অদ্ভুত বৃষ্টি আইনে ওদের টুর্ণামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল। যা এখন অনেকেরই জানা।
ফাইনাল ম্যাচ ছিল উত্তেজনাপূর্ণ। পাকিস্তান প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২৪৯ রান করেছিল। জবাবে ইংল্যান্ড ২২৭ রানে অলআউট হয়েছিল। ওয়াসিম আকরাম পরপর দুইবলে দুজনকে বোল্ড করেছিলেন। তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচও নির্বাচিত হয়েছিলেন।
ক্রিকেট খেলা নিয়ে আগের সেই আগ্রহ এখন আর নেই। আরও স্পষ্ট করে বললে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে ম্যাচের আগ্রহ খুব কম। এর মধ্যে টি-টোয়েন্টি কে আমার কাছে ক্রিকেট নামের তামাশা মনে হয়। তবে টেস্ট ম্যাচের প্রতি এখনও আমার বিপুল আকর্ষণ। প্রায় প্রতিটা ম্যাচই দেখার চেষ্টা করি।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
কমলার জয়ের ক্ষীণ ১টা আলোক রেখা দেখা যাচ্ছে।
এই সপ্তাহের শুরুর দিকের জরীপে ৭টি স্যুইংষ্টেইটের ৫টাই ট্রাম্পের দিকে চলে গেছে; এখনো ট্রাম্পের দিকেই আছে; হিসেব মতো ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কথা ছিলো। আজকে একটু পরিবর্তণ দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন
বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?
সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী
বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন
জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন
=বেলা যে যায় চলে=
রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।
সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন