আজ আবারও প্রতিপক্ষকে একেবারে উড়িযে দিয়ে অস্ট্রেলিয়ানওপেনের সেমিফাইনালে পা রাখলেন সুইস গ্রেট রজার ফেদেরার।প্রতিপক্ষ স্ট্যানিসলেস ওয়ারিনকা নিয়ে আজ খানিকটা ভয় ছিল। কারণ তিনি আরেক কঠিন প্রতিপক্ষ অষ্টম বাছাই আমেরিকান অ্যান্ডি রডিককে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিলেন। কিন্তু সেদিনকার খেলার ছিটেফোটাও আজ ওয়ারিনকার মধ্যে দেখা যায়নি। গতিদানব রডিককে হারানো অনেকটা ফ্লুক ছিল বলা যায়। অপরদিকে ফেদেরারকে প্রথম দিকের খেলাগুলোর চেয়ে এখন অনেক বেশি আগ্রাসী দেখাচ্ছে। আজ ফেদেরারের রুদ্রমুর্তির সামনে দাড়াতেই পারেনি তারই স্বদেশি স্ট্যানিসলেস ওয়ারিনকা।
টসে জয় লাভ করে ফেদেরারেই পছন্দনীয় সাইড বেছে নিয়ে ছিলেন। শৃরৃতেই দ্রুতগিতর এইস মেরে প্রতিপক্ষকে ভড়কে দিয়ে পয়েন্ট প্রাপ্তির সূচনা। এই শুভসূচনাটা ধরে রেখে প্রথম সেট জিতে নেন মাত্র ২৯ মিনিটে ৬-১ ব্যবধানে।
দ্বিতীয় সেটের শুরুতে প্রতিপক্ষ কিছুটা লড়াইয়ের আভাস দেন। এর একপর্যায়ে ৩-০ গেমে এগিয়ে যান। কিন্তু এপর্যন্তই। এর পরই ফেদেরার ভয়ঙ্কর রূপধারণ করে টানা ৬টি গেম জিতে ৪৩ মিনিটের মধ্যে ৬-৩ ব্যবধানে সেট জিতে ২-০ তে এগিয়ে যান।
তৃতীয় সেটেও একই ব্যবধান। কিন্তু এবার সময় আরও কম মাত্র ৩৫ মিনিট। এ নিয়ে টানা ২৮টি গ্র্যান্ডস্নাম টুর্নামেন্টে কোয়ার্টার ফাইনাল কিংবা তার উপরের রাউন্ডে উত্তীর্ণ হলেন। শুধু তাই নয় সেমিফাইনালে উঠার পথে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জেতার রেকর্ড গড়ে পেছনে ফেললেন আরেক কিংবদন্তী জিমি কর্নসকে। এখন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে ফেদেরারের ম্যাচ জয়ের সংখ্যা ৫৮টি।
ম্যাচের কিছু উল্লেখযোগ্য পরিসংখ্যানঃ
ফেদেরারের ৫টি এইসের বিপরীতে তার প্রতিপক্ষ মেরেছেন ১টি। আনফোসর্ড এরর ফেদেরারের ২৪টি, ওয়ারিনকার ৩০টি। ফেদেরারের উইনার ২৯টি, অপরদিকে ওয়ারিনকার ২১টি। ফেদেরারের সার্ভের সর্বোচ্চ গিত ছিল ঘন্টায় ২০৭ কিমি, অপরদিকে তার প্রতিদ্বন্ধীর ছিল ২১৪ কিমি। আশ্চর্যের বিষয় উভয়েই আজ কোন ডাবল ফল্ট করেননি।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৪:০০