স্বপ্নের চাকরি পেতে সবাই বিষয়ভিত্তিক পড়াশোনা করে। স্বপ্নের চাকরিটা পেতেও চেষ্টা চালিয়ে যায় সবাই, তবে ক'জন স্বপ্নকে সত্যি করতে পারে? এই প্রশ্নটা কিন্তু থেকেই যাচ্ছে। তবু স্বপ্নের চাকরি পেতে মানুষ বিষয়ভিত্তিক পড়াশোনা করে ঠিকই, তবে স্বপ্নকে ধরতে পারে না তাদের ভাবনা ও ব্যক্তিগত কিছু অভাবের কারণে। এ অভাবগুলো এতটাই তীব্র হয় যে, পুরোপুরি বিকল করে দেয় ২০-২৫ বছর ধরে পুষে রাখা স্বপ্নের চাকরিটা পেতে। অনাকাঙ্ক্ষিত এসব অভাবকে জয় করেই আমাদের স্বপ্নের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে হবে। ভালো ক্যারিয়ার গড়তে এ ধরনের অনেক বিষয়ই বিবেচ্য। এসব বিষয়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ইতিবাচক মনোভাব : সবাই জানি, নেতিবাচকের চেয়ে ইতিবাচক কর্মকাণ্ড ও মনোভাব সবার কাছেই গ্রহণযোগ্য। সফলভাবে ক্যারিয়ার গড়তেও ইতিবাচক মনোভাবের বিকল্প নেই। সত্যিকার অর্থে প্রতিটি কাজেই ইতিবাচক চিন্তা ও কাজের প্রাধান্য বেশি। আমরা সবাই এটি ভালো করেই জানি, উপদেশ দেওয়া সহজ কিন্তু তা পালন করাই কঠিন। পাশাপাশি আমরা এটাও জানি, ইতিবাচক অবস্থান একজন মানুষকে কোলাহল, উত্তেজনা, উগ্রতা, দুশ্চিন্তা থেকে দূরে রাখে। বোঝাপড়াটাও ভালো হবে। মনকে প্রফুল্ল্ল রাখতে পারলে শুধু স্বপ্নের চাকরিই নয়, যে কোনো কাজেই সফলতা পেতে পারি।
নিজেকে চেনা : হরহামেশাই দেখা যায় ভালো বেতনের চাকরিকে সবাই প্রাধান্য দেয়। বেশি বেতনের চাকরি করলে সমাজেও কদরটা একটু বেশি পায়। তাই সবাই ঝুঁকে পড়ে বেশি বেতনের চাকরির দিকে। তবে এমন না হয়ে যদি নিজের আকাঙ্ক্ষা ও ইচ্ছাকে প্রাধান্য দেয়া হতো, তাহলে ব্যাপারটা ঈর্ষণীয় হতো। তাই আগে জানতে হবে কোন পেশার সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারব। আসল কথা হচ্ছে, অন্যের পেশাকে দেখে আমার লাভ নেই। তাই নিজেকে জিজ্ঞাসার মাধ্যমে নির্ধারণ করতে হবে কোন পেশা আমি বেছে নেব। মোটকথা, মনের তৃপ্তিই সাফল্যের পথে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
ব্যক্তিত্ব ও দক্ষতা : ব্যক্তিত্ব নিরূপণ করার জন্য আপনি নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন তৈরি করে নিতে পারেন। অথবা কারও তৈরি করা প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়ে নিজেকে যাচাই করে নিতে পারেন। মায়ারস ব্রিগস টাইপ ইন্ডিকেটর (এমবিটিআই) নামের পরীক্ষা দিয়ে বুদ্ধিমত্তা ও ব্যক্তিগত দৃঢ়তা নিরূপণ করে নিতে পারেন। কোনো কাজই জোরপূর্বক করা যায় না। আর জোরপূর্বক করলেও পরবর্তীতে এর কুফল ভোগ করতেই হয়। তাই উগ্রতায় নয়, নমনীয়তায় জীবন গড়াই বেশি যৌক্তিক।
জিজ্ঞাসা ও সহিষ্ণুতা; আপনি যদি কর্মক্ষেত্রে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ না করেন তাহলে কিন্তু সমস্যার সম্মুখীন হবেন। তখন সম্ভব হবে না স্কুলে ফিরে গিয়ে পড়াশোনা করে অন্য ক্ষেত্রে সফল হওয়ার। তাই আপনার উচিত সঠিক কোনো ক্যারিয়ার কলেজ বা ট্রেনিং সেন্টার খুঁজে বের করা। নিজেও ক্যারিয়ার জিজ্ঞাসার মাধ্যমে আপনার নানা সমস্যার সমাধান করে নিতে পারেন। নতুন নতুন সব আইডিয়া তৈরি করে তার ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমেও ক্যারিয়ারে সফলতা পাওয়া সম্ভব। প্রবাদ আছে, 'ভালো জিনিস একটু দেরিতেই আসে'। মনে রাখতে হবে, কোনো কাজেই তাড়াহুড়ো করা ভালো নয়।