উত্তরা যাচ্ছিলাম। এই রোযার সময় আধা ঘন্টা রোদে রোস্ট হয়ে একটা বাস দেখলাম। কিন্তু বাসের জানালা দিয়ে নিতম্ব বের করিয়া ঝুলিয়া থাকা যাত্রী দূর থেকেই হেলেদুলে জানান দিচ্ছে বাসে জায়গা নাই। কিন্তু বাস তো ঠিকই থামল সামনে, দিলাম ঠেলা। আমার ঠেলা খেয়ে সামনের লোক ঠেলা দিল ওই ঝুলন্ত নিতম্ব ওয়ালা রে। আর পরিনামে ঝুলে থাকা নিতম্বের ভারে লোক বে সামাল। লোক নিতম্ব জানালার ভিতরে ঢুকাইয়াই শুরু করল এলোপাথাড়ি গালি, উহা কার গায়ে লাগল উনিই জানেন। আমি দরজায় দাড়াইয়া বাতাস খাইতে লাগলাম।
এমইএস এর কাছে বাস একটু জ্যাম এ আটকালো আর আমি ফ্লাইওভার এর গাড়ি যাওয়া দেখতেছি হা করে। অনুভব করিলাম কে যেন পায়ে গুতাচ্ছে। নিচে তাকায়ে দেখি এক ললনা আমার পায়ে গুতায়ে পা সরানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। কি তার চুল!! নিচে তাকিয়ে আমার পায়ে আঘাত করে একটু জায়গা করে নেয়ার কি চেষ্টা, কিন্তু চুলে তার মুখ দেখা যাচ্ছে না। শার্ট আর জিন্স, ব্যপার না। কি ললনা। কান ফুটো করে সুতা ঢুকানো। দুল পড়লে কি হতরে ললনা। যাই হোক এই জালিম দুনিয়া এর জালিম বাসের ভিড়ে কেমনে উঠতে দেই তোমারে। বললাম,
- আপু জায়গা নেই। উইঠেন না।
উনি আমার দিকে চাহিল। ব্যস,তার মুখে থাকা ফ্রেঞ্চকাট দাড়ি আমার বুকে চাইনিজ কাট মারল। আর জোরালো পুরুষ কন্ঠে বলল
- ভাই আপনার সমস্যা কি? আমাকে আপু বলতেছেন কেন? আমাক মেয়ে মনে হয়? আমার.......
আর কি কি যেন বলতেছিল, শোনার আগেই নিজেরে এলিয়ে দিলাম মানুষের ভীড়ে আর আমার কিছু করা লাগে নাই, তারাই ঠেইলা পাঠায়ে দিল শেষ মাথায়। হিউম্যান এস্কিকিলেটর বলে কথা :৩।