অতঃপর ফ্যামিলি এর সাথে ঈদ শপিং করার সৌভাগ্য হল -_- । ফ্যামিলি বলতে শুধু আমাদের ছোট্ট ফ্যামিলি না , পুরো গোষ্ঠী । ফ্যামিলি এর কিছু মহিলা অংশ দোকান ঘুরতেছে ,আপেক্ষিকভাবে ছোট মহিলা অংশ পাখি ড্রেস , বোঝে না সে বোঝে না দেখতেছে ।। ফ্যামিলি এর সবচেয়ে ছোট ক্যাটাগরির মহিলা(পিচ্চি কাজিন) নিয়ে দাঁড়ায়ে আছি আর রেলিং এ হেলান দিয়ে হা হুতাশ করতেছি । সামনের দোকানদার এমন দৃষ্টিতে চেয়ে আছে যে আমি হেলান দিয়ে রেলিং ভেঙ্গে নিচে পড়ে যাব ।অবশ্য পড়লেও মন্দ হত না । বোঝে না রে দোকানদার বোঝে না ।
মধ্যম ক্যাটাগরির মহিলা দুইজন, আমার বোন আর আরেকটা কাজিন দৌড়ায়ে আসল আমার দিকে । নিশ্চয়ই কিছু পছন্দ হইছে । আল্লাহ বাচাইছে । একদলের তো শেষ হইল । কিন্তু কাজিন ওর হেয়ার ব্যান্ড খুলে আমার হাতে দিয়ে দুইজনই যে বেগ এ আসছিল সেই বেগ এই ব্যাক গেল আর হারিয়ে গেল কিরণমালার দুনিয়ায় । আর এর মধ্যে পিচ্চিটা আমার জামা টানতেছে ,
-কি হইল রে পিচ্চি ?
-হেয়ার ব্যান্ড কিনব ।
-খালামনিরা আসলে কিনিস।
-নাহ এখনই ।
-এখন পারব না ।
- কিনে না দিলে আমি কিন্তু বলে দিব
-কি বলবি ?
-তুমি যে ফেসবুকে খারাপ খারাপ ছবি দেখ
ওহে নাইলা নাইম ,খাইলি মোরে । বুঝছি এখন থেকে 0.fb চালাইতে হইব ।
-আচ্ছা মাফ কর , চল ।
সামনেই এক দোকানে ঢুকলাম , অনেকগুলো ব্যান্ড দেখাল দোকানদার কিন্তু পিচ্চির পছন্দ হয় না ।ধমক দিয়ে বললাম আমি যেটা ঠিক করব ওটাই নিবি ।পিচ্চি রাজি । পরে এক স্তূপ ব্যান্ড এর ভিতর থেকে একটা খুজে বের করলাম ,ভালই লাগল ব্যান্ডটা ,কোথায় যেন দেখছিলাম ।দোকানদার তো আবেগে আপ্লুত ,
- জি জি ভাই ,এটাই নিন এটা অনেক ভাল মাল । এটা যতই বাকা করেন ভাঙবে না । এই দেখেন ।
বাকা করার একটু পরেই পট !! ব্যান্ড দু টুকরা ! আমি তো হাসতে হাসতে গড়াগড়ি দোকানদার এর চেহারা দেখে । হয়ত দুয়া করতেছে , “হে মাটি ফাক হইয়া যা,আমি ঢুকে পড়ি তোর ভিতর ”। পিছন থেকে বোন আর আরেক কাজিন আসল । কাজিন এসে বলে
-ভাইয়া আমার ব্যান্ড কই ?
বুকের ভিতর চড়াক করে উঠল ।।এখন মনে পড়ল কোথায় দেখছিলাম ব্যান্ডটা ।
-এই দেখ এখানেই আছে ,আমি যাই একটু ঘুরে আসি ।
বের হয়ে একটু পড়ে চিল্লানির আওয়াজ শুনলাম , “ভাইইইয়য়য়া.....................”
তারপর ,তারপর আর কি ধুপধাপ ।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:৫৬