প্রথমেই এই ছবিটা এটা হল বগা লেকের পাড়। শোনা গিয়েছিল এ পথে যখনি আমি যাই, মাঝে মাঝে একটা বান্দর দেখতে পাই- কিন্তু বাস্তবে এখানে কোন বান্দর পাওয়া যায় না। ব্যাপারটা খুব দুঃখ ময়।
এই জায়গার নাম মেঘ-ভেদ। এইটা দেখিয়াই রবি ঠাকুর বলেছিলেন মেঘের কোলে রোদ এসেছে বাদল গেছে টুটি, সেই মেঘ দেখিয়া বান্দর গেছে ফুটি। তাই এই যাত্রাতেও রঞ্জুর বান্দর দেখা হয় নায়।
জায়গার নাম বগালেক। একসময় মগা নামক এক বান্দর নাকি এইখানে থাকত কিন্তু জগা নামের এক বান্দরের ভালবাসায় এই জায়গায় সে এখন আর থাকেনা।
বগালেকের পাড়ে আর্মি ক্যাম্প। বান্দর থাকার প্রশ্নই আসেনা।
জায়গার নাম নীলগিরি। নীল রঙ্গের বান্দর গিরি-পাহাড় এ চইড়া এখানে আসছিল। কিন্তু ছবিতে দেখা যাইতেসে মেঘের ঘনঘটা। মেঘ দেখিয়া নীল বান্দর পগাড় পার।
এইটা শংখ নদী। বান্দর না পাইয়া রঞ্জু এইখানে কুমীর তোর জলে নেমেছি খেলতে গেসিলো। কিন্তু আফসুস। কুমীরও নাই এইখানে।
বাইচ্চা পোলাইপাইনদের দায়িত্ব দেওয়া হইসিল বান্দর খুঁইজা দিতে কিন্তু বেরাট আফসুস তারা অবাক হইয়া অন্য কিছু দেখছিল।
বান্দর দেখতে গিয়া কত কষ্টই না করল তাও যদি একখান বান্দরের দেখা পাওয়া যেত!!
ঝিরিপথের এই ছবি অবশ্য রঞ্জু তুলেনাই। অরুপ তুলেছে। আজ ঝিরি ঝিরি মুখরো বান্দরো দিনে, চিনি রে, চিনিরে বান্দর তুই আসবি কনে?
চাইয়া থাক। তোরা চাইয়া থাক আর মজা দেখ। নাহ রঞ্জুর ভাগ্যে বান্দর দেখা নাই।
এইটাই এই ছবি ব্লগের শেষ ছবি। শেষ বিকেলের আলোয়, বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যায় তোলা ছবি। চলতে চলতে আজ মনে কত প্রশ্ন জাগে!! আর কতকাল বান্দর খুঁজব তোমায়!!
ছবি ব্লগ শেষ। রঞ্জু ২৫০০ ছবি তুলেছিল এত ছবি দেখতে গেলেও আউলায় যাইতাম তাই কয়েকটা দিলাম। বান্দরবানে আসলে বান্দর নাই। তবে আমি ২০০১ এ অবশ্য দেখেছিলাম। সেটা বান্দরবান এর কোন একটা জায়গায় চিড়িয়াখানার মত কিছু আছে সেখানে। বান্দরবান গিইয়ে বান্দর দেখেছি এর থেকে বড় ব্যাপার আর কি হতে পারে (!)। খিক খিক।
আরো ছবি দেখতে হলে ফেসবুকের এ্যালবাম এ যান।