সেন্টমার্টিন একটি দ্বীপ এর নাম। প্রবাল দ্বীপ। সেন্ট লুইসও একটি দ্বীপ এর নাম। সেন্ট লুইস ওয়েস্ট ইন্ডিজ এ আর সেন্ট মার্টিন আমার বাংলাদেশে।
স্বর্গ যায়গাটা কেমন হবে তা সেন্ট মার্টিন গেলে কিছুটা আঁচ করা যাইতে পারে। প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখার ক্ষেত্রে তেমন কোন সমস্যা নাই, বাধ্যবাধকতা নাই। সুন্দরী মেয়ে দেখতে গেলে ইভটিজিং এর স্বীকার হওয়ার সংশয় থাকে প্রকৃতির ক্ষেত্রে তেমন কোন ভীতি নাই।
সেন্ট মার্টিন যেতে হয় জাহাজ করে টেকনাফ থেকে এবং সেই যাত্রায় কয়েকবার টাইটানিক এর মত পোজ দিয়ে ছবি তোলার মজাই আলাদা। যাত্রা পথটা দারুন।
সব থেকে কম দামের টিকিট কেটেও দিব্যি ফার্স্ট ক্লাস এ ঘুমিয়ে গেলাম একবার কারন ৩ ঘন্টার যাত্রা পথে কেউ আর নিজের সিট এ বেশিক্ষন থাকে না। ভালকথা জাহাজের টিকিট কিন্তু ঢাকা থেকেই কাটতে হয়।
সমুদ্রের ধারে কাছে গেলেই প্রথম যেটা করতে হয় রংচঙ্গা গোবিন্দ কালারের একটা শার্ট পড়তে হয় সাথে আরো উদ্ভট একটা হাফপ্যান্ট। কক্সবাজারের বিচ এর সাথে সেন্ট মার্টিন বিচ এর পার্থক্য এখানে ঢেউ নাই বলতে গেলে।
উৎপাত একটা অবশ্য আছে। যেহেতু দ্বীপ এর আরেকনাম কোরাল দ্বীপ তাই সে প্রতিনিয়ত তার জানান দিবে আর পা কাটবে। কি যে যন্ত্রনা!! পৃথিবীতে কোথাও ১৬ আনা সুখ নাই।
সেন্ট মার্টিন ২০০ বছর আগে প্রথম বার্মা থেকে ১৬ টা পরিবার এখানে থাকতে আসে। সেই পরিবার গুলার একটা বংশধরদের একজনের সাথে কথা বলে জানলাম। সেন্ট মার্টিন মুলত বার্মাদেরই ছিল ব্রিটিশ শাসন আমলে সেটা বাংলাদেশ এর সাথে আসে।
সেন্ট মার্টিন নামে একজন লোকই ছিল যার নামেই দ্বীপ এর নামকরন হয় এর আগে নাম ছিল জিঞ্জিরা দ্বীপ। নারিকেল জিঞ্জিরা যেভাবে আসল তা হল এখানে প্রচুর নারিকেল গাছ আর একসময় ধারনা করা হত এখানে জ্বিনরা থাকত। মানুষ আসার আগে।
সেন্ট মার্টিন এ চুরি ডাকাতি বলতে গেলে হয়ই না। আসলে চুরি করে পালাবে কই!! চারদিকে তো পানি। ডাব নাকি খুব সস্তা শুনেছিলাম কিন্তু আফসুস সেটা পর্যটকদের জন্য না। ডাব এর দাম ২৫ টাকা। আর সেন্ট মার্টিন এ সব কিছুরই দাম বেশি। যেহেতু এটা ছবি ব্লগ তাই আর কথা বাড়ালাম না। ছবি গুলা সব আমার অনুজপ্রতিম রঞ্জুর তোলা। রঞ্জুর ফ্লিকার এর ঠিকানা (http://www.flickr.com/photos/ujnar)।