পিয়াল বেশ অবাক হল, জিতুকে তো পাইলে আমি......। থাক থাক তোমার কিছু করতে হবেনা সে বলেছে তো বলেছে।
তানিশা আর পিয়াল এর সম্পর্ক-এর প্রথম বছরের সামান্য কথোপকথন এটা। দ্বিতীয় বছরে এসে তানিশার কিছু একটা ভাল লাগলনা। পিয়ালকে সে যেরকম মনে করেছে পিয়াল আসলে সেরকম না। অপছন্দ করার সব থেকে বেশি কারন পিয়াল এর অতিরিক্ত আবেগ। সব কিছুতেই সে একটু বেশি বেশি দেখাতে চায়। নিজের ব্যাপারে একদমই সচেতন নয়। এর মধ্যে একটা খবর শুনল তানিশা। পিয়াল নাকি অন্য মেয়েদের সাথেও অনেক ঘুরা-ফিরা করে। বেশ কয়েকজনের সাথেই তাকে দেখা গিয়েছে। সব কিছু মিলেই তানিশার কিছু ভাল লাগল না। পিয়াল এর সাথে তানিয়ার ব্রেক-আপ হয়ে গেল।
পিয়াল তেমন কোনো ঝামেলা করলনা দেখে তানিশাও হাফ ছেড়ে বাঁচল। ব্রেক-আপ হওয়ার ৬ মাস পরে তানিশা’র বিয়ে ঠিক হল। পিয়াল কোথেকে এবার ঠিক ফোন করে ঝামেলা শুরু করল। কিছু একটা বলল যেটা শুনে তানিশা স্থম্ভিত হয়ে গেল।
পিয়াল তানিয়ার রোমান্সের একটা ভিডিও ছিল। খুব বেশিক্ষনের না। ২ মিনিটের। সেটা পিয়ালের কাছে ছিল। পিয়াল সরাসরি তানিশা কে বলে দিয়েছে পিয়ালকে বিয়ে না করলে সেই ভিডিও দুইদিনের মধ্যে নেট এ ছেড়ে দেওয়া হবে। তানিশা এমনিতে শক্ত মেয়ে। কিন্তু নিজের এত বড় সর্বনাশ এ স্বাভাবিক থাকাটা কঠিন। তানিশা অনেকক্ষন ভাবল সে কি করবে। দুই-এক জায়গায় ফোন করার চেস্টা করল কিন্তু বুঝলনা এটা কাউকে বলা ঠিক হবে কিনা। তানিশা চিন্তা করতে লাগল এই ভিডিও কবেকার হতে পারে? তানিশার ল্যাপটপ হটাৎ করে শব্দ হল। একটা মেইল এসেছে। মেইল এ ২ মিনিটের ক্লিপ অ্যাটাচ করে দেওয়া। পিয়ালের মেইল। মেইল এর বাজে ভাষাতে তানিশাকে গালি দিয়ে সম্বোধন করা। পিয়ালকে কালকের মধ্যেই জানাতে হবে। তানিশা ভিডিওটা দেখল। পিয়াল ভিডিওতে তেমন নেই তানিশা আছে। তানিশার বেশ কষ্ট হল। সে চিন্তা করল তার হবু জামাইকে ফোন করে সব বলবে কিনা। নাহ, তা কি করে হয়!! তানিশা ঠিক করল সে সুইসাইড করবে। ফ্যান এর সাথে ওড়না ঝুলান হল। হটাৎ তানিশার মোবাইল বেজে উঠল। জিতু ফোন করেছে।
- হ্যালো তানিশা।
- হা জিতু বল।
- তানিশা তোমাকে একটা কথা বলতে ফোন করেছিলাম আসলে। কংগ্রাচুলেশন। তোমার বিয়ে হচ্ছে খুবি আনন্দের খবর। এখন এই খুশিতে তুমি আমাকে একটা জিনিসের কথা মনে করিয়ে দাও। তোমার কি মনে আছে লাস্ট ইয়ার আমরা ক্লাসমেট সবাই মিলে.........
- জিতু কিছু মনে করনা এখন কথা আমার বলতে ইচ্ছা করছেনা।
- আরে দূর। খালি এটা বল কক্সবাজার যাওয়ার ডেট-টা মনে আছে কিনা।
- হা ২৭ সেপ্টেম্বর।
-
আচ্ছা ভাল থাক। তুমি আমাকে দেখতে পারনা তারপরেও যে ফোন রিসিভ করলা এই জন্য ধন্যবাদ।
- জিতু তুমি মাঝেমাঝে সব কিছু নিয়ে এক্সসেস কর সেটাই আমার ভাল লাগেনা। এই যে তুমি...... আচ্ছা একটা কথা সত্যি করে বলতো। খুব বেশি না কিন্তু দুই একজনের মুখে আমি শুনেছি তুমি বল আমি নাকি টেরা ফক্স বা এই জাতীয় কারো মত দেখতে। এটা কে?
- বাদ দাও না। আমার রেপুটেশন যা ছিল তাও চলে যাবে।
- বলতে হইলে বল।
- শুন আই লাভ টেরা ফক্স। সি ইজ এ পর্নস্টার। এখন খুশি হইস? এরপর থেকে তো ফোন ও ধরবানা। রাখলাম বাই। বেয়াদবির জন্য দুঃখিত।
- তোমার সাহস তো কম না। তুমি এই কথা মানুষকে বলে বেড়াইতা।
- বললাম তো সরি। আর খুব বেশিও বলিনাই একজনকেই খালি বলসিলাম তা সেটা তোমার কানে যাবে বুঝিনাই নাই। এখন রাখলাম
জিতু ফোন রাখল। তানিশা কি মনে করে জানি গুগলে টেরা ফক্স লিখে সার্চ দিল। তানিশা স্থম্ভিত হয়ে গেল। জিতুর কথা ঠিক। টেরা ফক্স দেখতে আসলেই তানিশার মত। তানিশা টেরা ফক্স এর প্রোফাইল পড়া শুরু করল। ল্যাটিন আমেরিকার মাক্সিক্যান মেয়ে। হটাৎ তানিশার মাথায় একটা বুদ্ধি আসল। ভিডিও এডিট এর কাজ সে পারে। সে তার নিজের ভিডিও তা এডিট করে টেরা ফক্স এর নাম লিখে দিল। সে নিজেই অনেক ঝক্কি ঝামেলা করে সেটাকে আপলোড করে দিল।
২ দিন এও তানিশার কোন খবর না পেয়ে পিয়াল খ্যাপা কুত্তার মত হয়ে গেল। পরেরদিন সে একটা তানিশার ভিডিওটা তার ১০ টা মেইল অ্যাড্রেস এ সেন্ড করল। কি আজব ব্যাপার কোথা থেকে তেমন একটা রিপ্লাই আসলনা। সে এক বন্ধুকে ফোন দিল। বন্ধুকে জিজ্ঞেশ করল মেইল পাইসে কিনা। বন্ধু বলল, কিরে তুই গাধা নাকি। এই বয়সে পোলাপাইন্না মেইল পাঠাস। তাও টেরা ফক্স এর। টেরা ফক্স কত নাম করা জানসই তো নাকি। ওইগুলা সব দেখা। পিয়াল বলল, কি বলিস এইগুলা। এইটা তানিশা। বন্ধু বল, হ রে দোস্ত এইটা তো সবাই কইত। তানিশার চেহারা সাথে টেরা ফক্স এর চেহারার মিল আসে। এইটা তো কিছহুই না। তোরে আরেকটা ভিডিও দেখামুনে।
কেউই বুঝলনা ঐটা তানিশা’র ভিডিও ছিল। বুঝার উপায় ছিলনা। টেরা ফক্স অনেক নামকরা পর্ণস্টার।
পিয়াল এর তেমন কোনো লাভ হলনা। তানিশার অন্য যায়গায় বিয়ে হল সেই ছেলের কাছে তানিয়া কিছু বলেছে কিনা এই ব্যাপারে জানা যায়নায়। গোপন করাটা হয়ত ঠিক হবেনা কিন্তু বলতে গেলেও বা কি বলবে! যাই হোক ঘটনাটা পুরাই কাল্পনিক।