তিন কুতুবের গ্রেফতারের পর ছাগুদের মানষিক অবস্থা স্বাভাবিক থাকার কথা নয়। তাদের মানষিক অবস্থার একটি মনোবৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দাড় করানোর চেষ্টা করছিলাম।
শোকে মানুষের দুরকমের প্রতিক্রিয়া হতে পারে। এক রকম হল শোকে পাথর হয়ে যাওয়া, আরেক রকম হল শোকে নিজের আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা। তখন বিভিন্ন ভাবে আবোল তাবোল বকা।
আসলে সবই মনুষ্য চরিত্র এবং জিন এর খেলা, যদি বৈজ্ঞানিকভাবে দেখি। অনেকটা ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিক্যাল সিনড্রোমও বলতে পারেন। অবশ্য ব্লগের ভাষায় সহজ কথায় বলা যায় আবলামী।
এ যুগের মীরজাফর খুনী রাজাকারদের হেনস্থায় রাজাকার প্রেমীদের দুরকম মানষিক বা সাইকোলজিক্যাল প্রতিক্রিয়া হচ্ছে। এক শ্রেণীর রাজাকারপ্রেমীরা শোকে পাথর হয়ে গেছেন। তারা কথা বলতে পারছেন না অথবা কি বলবেন বুঝতে পারছেন না। এটাকে মেডিক্যালের ভাষায় বলা হয় আফটার শক সিনড্রোম। এটা স্বাভাবিক একটি বিষয়। অনেকটা এক্সিডেন্ট এর পরে যেরকম আমাদের বোধশক্তি লোপ পায় সেরকম।
আরেক শ্রেনীর রাজাকারপ্রেমী আছেন যাদের নার্ভের উপর এত বেশি চাপ পড়েছে যে তারা নিজেকে ঠিক রাখতে পারছেন না। আবার সরাসরি রাজাকারের পক্ষ নিয়েও কিছু বলা মুশকিল। শত হলেও আমরা মানুষ। কিছুটা হলেও বিবেক আছে। পাক বাহিনীর এই দোশরদের পক্ষে বলতে গেলে শত শত বুদ্ধিজীবি হত্যা, ধর্ষণ এসব সামনে চলে আসে। তাই সরাসরি বলা মুশকিল। অবশ্য অনেকে ভয়ও পেতে পারেন। তখন তারা একধরনের ডাইভার্সন খোজেন। যেমন, হাসিনার কুকীর্তির (কুকীর্তি যে নেই তা নয়, অনেক আছে, তবে এই মুহুর্তে সেগুলো জোর গলায় জানাতেই হবে) কথা তুলে ধরা, মুক্তিযোদ্ধারাও যে কিছু কিছু বিহারী মেরেছে সেসব স্মরণ করিয়ে দেয়ার চেষ্টা, আম্বা লীগ কতটা নাস্তিক সেটা জানানোর প্রচেষ্টা, যুদ্ধপরবর্তী মানধিকার লঙ্ঘনের ফিরিস্তি, কেউ কেউ আবার হঠাত করে সরকারের দশ টাকা চাল খাওয়ানো এসবও নিয়ে আসছেন। কেউ কেউ আনছেন মাহমুদুর (ডা আইজুর ভাষায় মাহচুদুর) রহমান ও সংবাদ পত্রের স্বাধীনতার বিশয়। আর তার সাথে একটি বাকশালী তকমাতো ডেজার্ট হিসাবে থাকবেই। এই শেষোক্ত প্রতিক্রিয়াটি আসে অধিকতর কাছের গেলমান জাতীয় রাজাকার প্রেমীদের কাছ থেকে।
বিষয়টা সাইকোলজিক্যালি স্বাভাবিক। এতে দোষের কিছু দেখিনা। বরং এরকম সিনড্রোম থাকলে তাদেরকে মনোবৈজ্ঞানিক উপায়ে সাহায্য করা দরকার। এর মধ্যে আমি একটি বৈজ্ঞানিক নিরীক্ষার কথাও বলতে পারি। বৈজ্ঞানিক নীরিক্ষা মানেই হল সেখানে ইন্দুর থাকতেই হবে। আর তিন কুতুবের চেয়ে আদর্শ ইন্দুর পাওয়াও মুশকিল। যাই হোক, ইন্দুর যখন প্রথম খাচায় ঢোকে তখনও বিপদ টের পায়না। ফাঁদে রক্ষিত খাবার খেতে থাকে। যখনই টের পায় যে সে আটকা পড়েছে তখন আর নিরিবিলিতে খেতে পারেনা। খালি চক্কর মারে আর উথাল পাতাল করে, কি করবে বুঝতে পারে না। আগ্রহীরা এই পরীক্ষাটি স্বল্প খরচে নিজের বাড়িতেই করে দেখতে পারেন।
বিএনপির প্রতিক্রিয়াও শিবিরের মতই হওয়াটা বাঞ্চনীয় ও স্বাভাবিক। কারন লেজ ছাড়া কুকুর কিভাবে নড়বে? আর বিএনপির প্রতিক্রিয়া আসাটা বরং অনেক ভালো কারন প্রতিমুহুর্তে তারা প্রমাণ করে চলেছে তারা কতটা রাজাকার প্রেমী।
কাজেই এই মানষিক সংকটের মুহুর্তে তাদেরকে বেশি হেনস্তা না করে বরং মানষিক সাহায্য করা দরকার। আমার এক আত্মীয়ের মানষিক সমস্যা হবার পরে সাইকিয়াট্রিস্ট বলেছিলেন তাকে বেশি খোচা না দিতে বরং তার সাথে স্বাভাবিক আচরণ করতে।
এ বিষয়ে যুদ্ধাপরাধীর বিচার যারা চাচ্ছেন তাদের সদয় সহানুভুতি আশা করছি।