তিনবার 'কবুল' বললেই কি একটা মানুষের সাথে সারাজীবন থাকার মত অবস্থা সৃষ্টি হয়ে যায়? তাহলে এদের মধ্যে একসময় ড়িভোর্স হয় কেন? 'তুমি আর আগের মত নেই' টাইপের ছোট ছোট অভিযোগ নিশ্চয় ড়িভোর্সের জন্য উপযুক্ত না...
.
সম্পর্কের শুরু কোথায়? আমার বাবা-মা'র মধ্যে রক্তের সম্পর্ক ছিলনা অথচ তারা সারাজীবন একসাথে দেয়ালঘড়ির কাটা গুনতে গুনতে কাটিয়ে দিয়েছে...এটা কখন সম্ভব?
.
শহরের রাস্তায় রিকশার হুডে যে সম্পর্কগুলো লেগে থাকে এরা একসময় মুছে যায়। সেখানে অন্য কারো হাতের ছাপ পড়ে। আমি দেখেছি রিকশার হুডে লেগে থাকা সম্পর্কগুলো নামহীন হয়। এদের বেশিরভাগেরই তিনবার কবুল বলার সৌভাগ্য হয়ে ওঠেনা..
.
একটা সময় আমাদের মনে হয় অনেক কথা জমে আছে, কাউকে বলা দরকার। ঠিক তখন থেকে আমরা বিপরীত লিঙ্গের কাউকে খুঁজতে আরম্ভ করি। হয়তো জানিনা সে কে, তবু মনে মনে একটা ছবি এঁকে নিই। সেই ছবির মেয়েটার মাথায় লম্বা চুল থাকে, তার শরীর থেকে বেলী ফুলের গন্ধ বেরোয় এবং মেয়েটা টিপ পড়তে জানে।
.
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কিন্তু বাস্তবে এরকম হয়না...
বব কাট চুলের, কড়া পারফিউম মাখানো কাউকে দেখে মনে হয়, একেই তো খুঁজছিলাম। রিকশার হুড তোলে দেওয়া হয়, আবার স্বপ্ন দেখা শুরু হয়। এবার স্বপ্নের ধরণ থাকে আলাদা।
দুই রুমের একটা বাসা, অবশ্যই লম্বা বারান্দা থাকবে, বারান্দায় গোলাপের, না না,গাঁদা ফুলের টব থাকবে....
.
এক স্বপ্ন বারবার দেখা যায়না। রুম ডেটের পর স্বপ্নগুলো পাল্টে যায়। সেখানে অন্য কেউ থাকে। লম্বা চুলের কেউ, যার গায়ে বেলী ফুলের গন্ধ....
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:১৪