বাংলাদেশের জন্যে বাঁকবদলের মতো একটা বড় ঘটনা ঘটে গেলো - শুধুতে শক এবং অবিশ্বাস কাজ করেছে সবার মাঝে। মোটামুটি বাংলাদেশের সকল নাগরিক একটা ট্রমার মধ্যে আছে - যে কনো ঘটনার পর সবাই তাদের মতো করে বিষয়টাকে ব্যাখ্যা করে - তার বিচার বিশ্লেষন করে। বাংলাদেশের মানুষের পক্ষে এই সময়ে কোন সঠিক বিবেচনার সময় আসে নাই। কারন মিডিয়াগুলো সব বিটিকে প্রতিস্থাপন করতে উঠেপড়ে লেগেছে। সবাই দেখানো চেষ্টা করছে কে কত বড় ইউনুসবাদী। সেইটাই স্বাভাবিক। এই ঘোর কেঁটে গেলে অনেকেই বুঝতে পারবে কেন এবং কিভাবে কারা এই ঘটনাটা ঘটলো - তবে অধিকাংল মানুষই যেহেতু দৈনন্দিন জীবনযাপন নিয়েই বেশী বেশী চিন্তিত তাদের জন্যে কে কেন কি ইত্যাদি প্রশ্ন অবান্তর। কিন্তু ইতিহাস কখনওই মিথ্যাকে ধারন করে না।
যাই হোক - কোটা আন্দোলনের একটা যৌক্তিক দাবীতে গড়ে উঠা আন্দোলনকে প্রায় সবাই সমর্থন দিয়েছিলো - লক্ষ্য করলে দেখা যাবে - আন্দোলনকারীদের মুল লক্ষ্য কিন্তু কোটা ছিলো না - তারা আরো একটা কঠিন লক্ষ্যের দিকে যাচ্ছিলো - তার জন্যে দরকার একটা বড় ধাক্কা - সেইটার জন্যে দরকার ভায়োলেন্স এবং শক। সেইটা হয়েছে - হাত লাগিয়েছে ৭১ এর পরাজিত শক্তি - তাদের ২০২১ সালের অসমাপ্ত কাজটা সমাপ্ত করেছে পরিকল্পনাকে পরিবর্তন করে। এইটা অর্জিত হলো সাধারন মানুষের ক্রোধকে কাজে লাগিয়ে - তারপর আসলো আসল ধাপ - দুইদিন ধরে বৈঠক করেও যখন সরকার ঠিক করা যাচ্ছিলোনা - তখন ইউনুসের আর্বিভাব - এইটাই ছিলো আন্দোলনের মুল টার্গেট।
তাই আর্ঝিত হয়েছে - একটা অনির্বাচিত অগনতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হলো আমেরিকার তৈরী এক পুতুলকে বসিয়ে - যাকে দীর্ঘদিন যাবত তৈরী করা হয়েছে - শুধু তাকে নয় - একদল সুশীল নামের লোকজকের আমেরিকার তৈরী রেখেছিলো এ্ই সময়ের জন্যে। তারা ক্ষমতা নিলো। বস্তুত আমেরিকার তার পুর্ন নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্টা করলো বাংলাদেশের উপর - যা ৭১ এর হারিয়ে ৭৫ এ অইরে পেয়েছিলো - এবং শেখ হাসিনার কারনে ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছিলো - তা পুনোদ্ধার জরুরী ছিলো - বিশেষ করে রাশিয়া আর চীনের কর্তৃত্বকে থামানোর জন্যে। আর ভারতকে চাপে রাখার জন্যে বাংলাদেশ তাদের একান্ত দরকার হয়েছে পড়েছে - বিশেষ করে ইউক্রন যুদ্ধের পরে ভারতকে আমেরিকার পাশে না পাওয়ায় আমেরিকার মুল উদ্দেশ্য রাশিয়াকে অর্থনৈতিক ভাবে পংগু করার পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ার জন্যে।
১৫ আগষ্ট পর্যন্ত আমিও কিছুটা আশাবাদী ছিলাম - হয়তো ইউনুস ক্ষমতা নিয়েছে দেশের ভালর জন্যে - সেই আশা আর নাই - কারন যা দেখেছি - একটা বাড়ি পুড়িয়ে তার সামনের ডিজে ড্যান্স বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার সম্ভাবনাকে কবর দিয়েছে ইউনুস সরকার। সেই প্রসংগ ভিন্ন।
তাইলে ভবিষ্যতে কি হচ্ছে - এই বিষয়ে পরে লিখার আশা আছে - তবে রেফারেন্স হিসাবে ইউক্রেনের অরেঞ্জ রেভুলিশ বা মিশরের আর স্প্রীং বিষয়ে পড়াশুনা করা যেতে পারে - কারন বাংলাদেশের এই তথাকথিক বিপ্লব বা আন্দোলনের মাধ্যেম সরকার পরিবর্তন এই প্লেবুক অনুসরন করা হয়েছে। পরিনতি হয়তো ইউক্রেস বা মিশরের মতো - বা লিবিয়ার মতো হয়েত পারে।