মানুষ বঙ্গবন্ধুর ওপর এতোই ত্যক্তবিরক্ত যে আজকাল অনেকেই অনেক কথা বলছে বা বলার সাহস পাচ্ছে। এর জন্য আম্লিগ ও হাসিনাই দায়ী। যেমন- বঙ্গবন্ধু কলেজ, বঙ্গবন্ধু স্কুল (হাজারের কাছাকাছি), বঙ্গবন্ধু বন্দর, বঙ্গবন্ধু টানেল, বঙ্গবন্ধু টাকা, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, বঙ্গবন্ধু জাদুঘর, বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু অডিটরিয়াম, বঙ্গবন্ধু রোড, বঙ্গবন্ধু ধান, বঙ্গবন্ধু সেতু, বঙ্গবন্ধু কালভার্ট, বঙ্গবন্ধু হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু জাহাজ, বঙ্গবন্ধু যুদ্ধ জাহাজ, বঙ্গবন্ধু মেরিটাইম কলেজ, বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম, বঙ্গবন্ধু ফ্লাইওভার ইত্যাদী ইত্যাদী ইত্যাদী ইত্যাদী। এছাড়াও তাদের পরিবারের নামে কয়েকশত প্রতিষ্ঠান।
তারপর কিছু দালাল শ্রেণি বঙ্গবন্ধুর নামে কয়েক হাজার বই লিখেছে যেগুলো একেবারেই অখাদ্য লেখা। এইসব অখাদ্য বই লিখে আখের গুছিয়ে। আওয়ামীলীগ বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এমন অবস্থা সৃষ্টি করেছিল যে বঙ্গবন্ধু ছাড়া পুরো পৃথিবীতে আর কোন নেতা নেই বঙ্গবন্ধুই একমাত্র বিশ্বসেরা নেতা। অর্থাৎ আমরা যদি মুসলিম না হতাম তাহলে বঙ্গবন্ধুকে এতো দিনে ভগবান না হয় ইশ্বর বানিয়ে ফেলতো। এসব কর্মকান্ডই মানুষের মনে তিক্ততার সৃষ্টি হয়েছে, মানুষ অত্যান্ত ক্ষুব্ধ এসব কর্মকান্ডে। যারফলে অনেকেই অনেক কথা বলছে।
আম্লিগ জাতিকে বিভক্ত করেছিল; মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি এবং মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি। তাদের মতের বিরদ্ধে গেলে বা তাদের স্বার্থে আঘাত লাগলেই তারা মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি, রাজাকার, আলবদর, আলশামস ইত্যাদি ট্যাগ লাগাতো। তারা মুক্তিযুদ্ধে চেতনা ধারী পরিচয় দিত এবং যে যতবড় চেতনাবাজ ছিল সে তত বড় দেশের ক্ষতি করেছে, লুটপাট করেছে চেতনাকে সামনে রেখে। চেতনা ছিল তাদের অপকর্ম ঢাকার হাতিয়া।
তবে একটা কথা সত্য কিছু কিছু বিষয়ে জাতিকে অবশ্যই এক হতে হবে সেখানে বিরোধিতা করার কোন সুযোগ নেই। বঙ্গবন্ধুকে চিরভাস্বর রাখার জন্য তার নামে কোন বড় একটি প্রতিষ্ঠান রেখে বাকি সব জায়গা থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম এবং হাসিনা মাসিনার নাম মুছে ফেলতে হবে তাহলে হয়তো মানুষের মনের ক্ষোভ কমবে এবং বঙ্গবন্ধু চিরঅম্লান হয়ে থাকবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১০:৫২