সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এখন জনপ্রিয়তার তুঙ্গে। ব্যাবহারকারীর সংখ্যা সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। নানা কাজে ব্যাবহারিত হচ্ছে এই মাধ্যম। সোশ্যাল নেটওয়ারকিং এর পাশাপাশি ব্যবসা বানিজ্যের প্রচারনা চলছে ধুমসে। রাজনৈতিক নেতাদের শোডাউনে ফেসবুক এখন মুখরিত। জীবিত মানুষের পাশাপাশি মৃত মানুষ ও পিছিয়ে নেই ফেসবুক ব্যাবহারে।
সম্প্রতি দেখলাম মহানবী "মোহাম্মদ"এর নামে ও চলছে একটি ফেসবুক একাউন্ট । নানা হাদীস ও ইসলামের গাল গল্পে ভরপুর এর ওয়াল। অন্যর ধর্ম কে ছোট করে ইসলামকে বড় বানানোর প্রানান্তকার চেষ্টা। ইসলামে প্রানী বা মানুষের ছবি অঙ্কন বা তার ব্যবহার নিষিদ্ধ (মতান্তর আছে) থাকলেও এ ওয়ালে নানা ধরনের ছবি পোসটিং করা হয় নিয়মিত।
একজন সচেতন মানুষ মাত্রই বুঝবেন যে ইসলামের মহত্ত্ব প্রমান করতে গিয়ে এমন সব কুলাঙার রা কেমন করে ইসলামকে হাস্যকর ধর্মে পরিনত করছে।
ইসলাম যখন নিজেই নিজের মহত্ব ঘোষনা করে,তখন কেন এমন হাস্যকর প্রচেষটা?
মোহাম্মদের সুখ্যাতি যখন সর্বত্র তখন কেন এত বিজ্ঞাপন?
আরবীতে ইসলাম শব্দের মাদ্দাহ হল 'শিন' -'লাম' -'মিম' যার অর্থ হল "শান্তি"।
শান্তির ধর্মের মহত্ত্ব রক্ষার্থে চাপাতির আগায় রক্ত কেন?
কতিপয় প্রশ্ন মগজে বিদ্ধ হয়ে আছে।
আল্লাহ কি এত তুচ্ছ যে নাস্তিকের সামান্য কথায় তার অস্তিত্ব বিলীন হওয়ার আশংকা থাকে !
সাধারন মানুষকে এখনই সচেতন হতে হবে।
চাপাতি চর্চা কে সামাজিক ভাবে প্রতিহত করতে হবে ।
চাপাতিবাজরা আর যাইহোক প্রকৃত মুসলমান নয়। নামাজের সময়ে নামাজ না পড়ে যারা মানুষ হত্যার মত জঘন্য কাজে লিপ্ত হয় তাদের ধর্ম বিশ্বাস নিয়ে শংশয় জাগে।
বাংলাদেশকে আফগানিস্তান বা সিরিয়া বানানোর পায়তারা।
এদের ব্যাপারে সামাজিক সচেতনতা না বাড়ালে আখেরে অনেক মূল্য দিতে হবে।
সেলিম মাহমুদ