আমি ভাড়াটিয়া এ নগরের বা দেশের
আমার অস্তিত্বের অর্জন, বর্জন -সাধন
সব কিছুই ভাড়ায় পাওয়া মালিকানাহীন।
গায়ের সাহেবি কোর্তা, লুবান থেকে শুরু করে
নাকের ডগায় ঝুলানো চকচকা চশমার ফ্রেম,
চুক্তিহীন দখল নিয়েছি বহু আগেই,
লিখিত -অলিখিত প্রভুদের অন্দরমহল থেকে।
সিজদা শেষে তৃপ্তির অজিফা,
প্রত্যুষের বর্ণমালার সবক
সবই রাতের গভীরে ভাড়ায় পেয়েছি
অনেক শত নদী- লোহিত সাগরের পশ্চিম বা পূর্ব থেকে।
ভাড়া করা আকিদা তরজমাহীন তোলে দিয়েছি ছেলের হাতে,
নানা স্কোয়ার এ অকশনে পাওয়া কোমল; কর্কশ তাবিজ,
ধারা উপ-ধারায় ঝুলিয়েছি মেয়ের গলায় অপরুপ মানানসই
কন্যা আমারই , আমিই পিতা, অবয়ব আমার নয়।
আমি এ নগরের ভাড়াটিয়া , আমার দৃষ্টিও ভাড়ায় ভংগিতে পাওয়া যায় ।
উঁচু -নিচু বিভেদে পেরেশান সমতল এক টুকরো আবাস,
মহারাজা মার্ক্স – লেলিনের হিমঘর থেকে
ভাড়া করে আমিই নিয়েছি বহুকাল আগে,
মেয়াদ উত্তীর্ণের কাল পুনঃ নির্মাণ ছাড়াই বসবাস
মালিকানাহীন আমিই ভাড়াটে ।
অফুরান শান্তির নীড় বানাতে চৌহদ্দির আর্চ , মিম্বার বা মিনার গড়তে;
মেডিভাল গ্রীক, নুরসি বা মুরসির কাছে হাত পেতে
পেয়েছি কয়েক খন্ড আবাস যার কিছুই আমার না
আমি এক ভাড়াটিয়া মনের বা মগজের।
গভীর ঘুমের নাক ডাকার শব্দ আমারই বিছানা আমার না
আমি এ নগরের ভাড়াটিয়া ,
ভাড়ায় পাওয়া দক্ষিণের বারান্দার বাতাসের অনুভুতি আমারই
বাতাসটা আমার না , আমি এক মালিকানাহীন ভাড়াটিয়া
২৯।১০।২০১৯