এ ফাসির রায় হলো, এতে খুশি হওয়ার কিছু নেই। এরশাদেরও ১৫০ বছর জেল হয়েছিলো -আপনারা ভুলে গেছেন। এরশাদ সেই বাংলাদেশের এম।পি। মাঝে মধ্যে আবার কথাও বলে!!! ফাসিটা না হওয়া পর্যন্ত আমরা এবং শহিদদের আত্মা শান্তি পাবে না। কখন যে কি হয়ে যায়, -কে জানে ! আমি শেখ হাসিনার জীবনের নিরাপত্তা চাই।ধর্মীয় ফানাটিজম ভয়ংকর ব্যাপার। পড়াশুনা করা ছেলে-মেয়েদেরও দেখি ব্রেইন ওয়াশ হয়ে গেছে কারও কারও। তার কারণ অর্থনৈতিক- আরব দেশের সহায়তায় ব্যাংক, শিল্প প্রতিষ্ঠান দেশে গড়ে তুলেছে ইসলামী রাষ্ট্র গড়ে তোলার জন্যে। স্বাধীনতার পর, আলজেরিয়াতে আরব দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা বংগবন্ধুকে তাচ্ছিল্য করে বলেছিলো, ইসলামী রাষ্ট্র ঘোষনা করো, সাহায্য দেব। (ওরা আমাদের আজ মিসকিন বলে ডাকে) কিন্তু তিনি ছিলেন অটল। ১৯৭১-রে বাংলাদেশের মানুষ তো প্রান দিয়েছে আরেকটা পাকিস্তান বানানোর জন্যে না, বাংগালীর বাংগালীত্ত রক্ষা করার জন্য। বাংগালী হলো হিন্দু, মুসলিম, খৃষ্টান সমিলিত জাতি। জহির রায়হানের সময়ের প্রয়োজনে'' গল্পে লেখা, 'দেশ তো ভূ-গোলের ব্যাপার, হাজার বছরে হাজারবার তার সীমানা পালটায়'। দেশের নাম পাল্টায়, ভাষা, মাটি ও মানুষ থেকে যায়। আমরা ধৱম নির্ভর জাতি নই, ভাষা, কৃষ্টি ও ঐতিহ্য নির্ভর জাতি। যাদের এসব নেই বা ছিলো না, তারা সময়ের মহাসাগরে বেচে থাকার অবলম্বন হিসেবে ধর্মকে আকড়ে থাকে। ভেড়ার পাল সব সময় নিজের দলকে সংখ্যায় বাড়াতে চায়, হিংস্র প্রানীর খাদ্য সংস্থানের জন্যে। এখানেও তাই। (কাকতালীয়ভাবে বাংলার দামাল ছেলেরা বাংলায় ওদেরকে ভেড়া না বলে বলছে ছাগু- {তার কারণ বাংলাদেশের মানুষ ভেড়ার চেয়ে ছাগলের মাংসটাই বেশী খায় কিনা! তাই ছাগল ভেড়ার ঊপর বাংলায় বিজয়ী। })মজার বিষয় হলো, এরা বলে কোরআন পড়তে আরবী ভাষায়, মাতৃভাষায় নয়। জানেন কেনও? তাহলে মানুষ বুঝবে না আল্লাহর বাণী, এতে করে ভেড়ার দল নিয়ন্ত্রনে সহজ হবে। আল- কোরআন নাযিল হয়েছে সহজ সরল ভাষায় সকল সাধারণ মানুষের কল্যানের জন্যে। সবার জন্যে। এই জন্য আলেম-মাওলানা হওয়ার দরকার নেই। নবী করীমের মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তা তা পাঠিয়েছেন। এটাও পেশাগত ব্যাপার - কোরআন বুঝানোর নাম করে হাতিয়ে নেয়া সাধারন মানুষের পুজি, রক্ত পানি করা টাকা। দাড়ির আড়ালে ধূর্ত শেয়াল। মানুষ নিজে নিজে আল-কোরআন বুঝে ফেললে তো আর লালসালু ব্যবসা হবেক না। ১৯৭১-রে মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের স্বাধীনতা এনেছিলো, ২০১৩তে নতুন মুক্তিযোদ্ধারা সেই গল্পের সমাপ্তি টানছেন। যুব শক্তির মৃত্যু নেই - আছে রুপান্তর। এ যে আনবিক শক্তি। আইন অনুযায়ী কবে ফাসি হবে - দয়া করে জানুন এবং আমাদের জানান। আমাদের বাংলার বাগানে শেকড়সহ আগাছা তুলে, পুড়ে ফেলতে হবে। আর আ-গাছা চাই না। এই আগাছারা আমাদের উন্নয়নের সব শক্তি, নির্যাস খেয়ে ফেলেছে।
সাবাস বাঙ্গালী – সাবাস!
এই ঊপমহাদেশে তুমিই এক মাত্র জাতি – যে যুদ্ধ করে একটা দেশ বানিয়েছে, নিজের মাতৃভাষা রক্ষা করেছে, এমন জাতি এই পৃ্থিবীতে দু-টো নাই- একটাই, আর সেটা
= বাংগালী=।
তাই প্রতিবেশী বিদগ্ধজনেরা হিংসায় মরে। কি ভারত? কি পাকিস্হান(!), নেপাল, ভূটান, বার্মা? স্রীলংকা? উত্তর -
বাংলাদেশ।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৬