১। আশা করো না, অপেক্ষা কোরো না যে তোমার সন্তান তোমার মতনই হবে, যেমনটা তুমি চাও। তাকে সাহায্য কর, তাকে তার মত গড়ে উঠতে।
২। তোমার সন্তান তোমার সম্পত্তি নয়, এই সন্তান -খোদার।
৩। তুমি তার কাছ থেকে কোনো কিছু ফেরৎ আশা কোরো না, যা তুমি তার জন্যে করেছো, তাকে জন্ম দিয়েছো। এ দায় সে কি ভাবে শোধ করবে? তা অসম্ভব। তুমি যদি তা আশা কর, সেটা ব্যাবসা। সন্তানের সাথে ব্যবসা কোরো না। তার দায়িত্ব তার সন্তানের জন্ম দিয়ে পৃথিবীকে আরো সুন্দর করা। এটাই কৃতগ্গতার আইন।
৪। নিজের রাগ, অভিমান, হিংসা সন্তানের উপর ফেলো না, আশা কোরো না যে, তোমার বৃদ্ধ বয়সে সে বাধ্য তোমার সেবা করবে। এ আশা করলে, তুমি তাকে হারাবে।
৫। সবার সমস্যাই প্রবল। এবং তা সবার সমস্যা তার প্রকৃতি প্পদত্ত শক্তি অনুযায়ীই।
৬। সন্তানকে অপমান করো না। ধিক্কার দিও না, সে হয়ত তার জন্মের পর অসুস্হ ছিলো, রাত জেগে ছিলে, ঠিক মতো ঘুমাতে পারোনি, পকেটে করে তার মল -মূত্র ল্যাবটরীতে নিয়ে গিয়ছো। সে দোষী নয়, এ বলে তাকে সারা জীবন গালি-গালাজ কোরো না।
৭। শিশুদের সাথে স্বাভাবিক আচরণ করো। তারাও মানুষ। বাংলাদেশে পিতা-মাতারা ভালোবাসার নামে সন্তানকে 'বানসাই' করে রাখে। টু টু টু, ও লা লা, গালে টু মারা - এসব করা কোনোভাবেই গ্রহনযোগ্য না। তাদের সাথে শিশু সুলভ আচরণ কর না।
৮। শিক্ষক- খোদা নয়, - মানুষ। শিশুর গায়ে হাত দেয়ার অধিকার এ পৃথিবীতে কারোই নেই।বাংলাদেশে মানসিকভাবে অসুস্হ মানুষেরা শিশুদের উপর নির্যাতন করে, নিজেদের জিবনের অসফলতা, অদক্ষতার ঝাল ঝাড়ে।
৯। যদি সন্তানের জন্য কোনো কিছু করা অসম্ভব হয়, দু:খ কোরো না।আর সন্তান যদি কাদে, ষেটা তোমার মন মেজাজ খারাপ করার জন্য নয়, তার কোনো সমষ্যা আছে, তাকে সাহায্য কর। তাকে হেয় কোরো না।
১০। নিজের সন্তানের সাথে যেমন বয়ভার কর, অপরের সন্তানের সাথেও তেমন বয়ভার কর। সন্তান অতি বুদ্ঢিমান নয়, চালাক চতুর নয়, - এই ভেবে দু:খ কোরো না।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জুন, ২০১২ রাত ৮:১১