somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বানসাই দেশ - বাংলাদেশ।

২৬ শে মার্চ, ২০১২ ভোর ৪:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হটাৎ করে বাংলাদেশের জাতীয় দিবসে এটা আবার কি লেখা?

এটা হুট করে কোনো লেখা না, এটা আমার জীবনের কথা

বাংলাদেশের পত্র-পত্রিকায় প্রায়ই দেখি দেশের স্কুলের ছাত্রদের পিটিয়ে হাসপাতাল, ভূ-পাতালে, নরকে, স্বর্গে পাঠানো হয়, বাংলা সমাজে অতি সম্মানিত করা শিক্ষক নামের এক দল মানুষ নামধারী জীবিত বিষয়ের মাধ্যমে।

স্কুলের ছেলেদের চুল ধরে কাটা, পেটানো হয় বেয়াদবি, বোকা, অ-মেধাবী বলে। অপমান করা হয় কারণে অকারণে। স্কেলের বাড়ি, বেতের বাড়ি - এসব তো কোনো ব্যাপারই নয়। (১৯৮০, ১৯৯০, ২০০০, ২০১২ সাল)। কিন্তু আমরা যারা বড় হয়ে গিয়েছি, বাংলা ব্লগ লিখি, আমরা কেন বাস্তবে কিছু করছি না?

আরও অনেক রকমের বিষয় যা কিনা বাংলা ভাষার পাঠক মাত্রই অবগত। অনেক বছর কেটে গেছে। বাংলার কোনো পরিবর্তন হয়নি।

এসব শিক্ষককে দোষ দেয়া যায় না, কারণ এরা অ-শিক্ষিত, অ-সভ্য। সভ্যতা আলো এদের মাঝে পৌছেনি। এদেরকে সভ্য করতে হবে। আমার এ জন্মে পারবো কিনা, জানি না। জ্বি, এটা আমার স্বপ্ন।

দেশে থাকাকালীন সময় জানতাম, বাচ্চাদের আদর করতে হয় ছেলে মানুষী বিষয় নিয়ে। এই যেমন, এই বাবু (এটা বলেই গালে একটা চিমটি নরম মারা), শিশু সুলভ আচরন করা শিশুদের সাথে। তাদেরকে খাইয়ে দেয়া, তাদেরকে পোষাক পরিয়ে দেয়া - ইত্যাদি।

আমার জানা মতে, দেশে কমপক্ষে ঢাকায় গার্হস্হ্য বিজ্গান (!) কলেজ আছে, এরা কি করে জানি না।

বানসাই হলো গাছকে বড় হতে না দেয়া। গাছের সাইজকে ছোট করে রাখা।
[link|এখানে দেখুন কি সুন্দর

সৌভাগ্য না দূর্ভাগ্য - জানি না, এলাম বিভূইয়ে। বাংলা শব্দ বিভূয়ে হয়ে গেলো বেখাপ্পা। বিভূয়ে হয়ে গেলো স্ব-ভূয়ে। বিজন হলো স্বজন, আর স্বজন হলো বিজন। এটা আমার লেখা 'মানুষ কেনো দেশ ছাড়ে' লেখাটা পড়লেই বুঝতে পারবেন।

প্রথম সন্তানের পিতা হবার পর, বংগ সন্তান তার চির সত্য 'বানসাই' চর্চা করতে গিয়েই খেলাম ধরা এ বিভূইয়ে, ভিনদেশীদের কাছে। সেই কি ধরা! তাতে আমার হলো সরা।

আমার চার পাশ থেকে এ (বিভূয়ে) সমাজ ঘিরে ফেললো এই বলে যে, তুমি এমন ব্যবহার কেন করছো তার সাথে? এ' শিশু হলেও তিনি একজন মানুষ। {আমি ভাবি এ কি লেকচার রে বাবা! আমার পোলা, যেমনে খুশি তেমনে কথা কমু, কার বাপের কি!}

পুত মোর ৩ বৎসর। কি ট্রেনিং, জানেন? সকাল বেলা নিজে নিজে ঘুম থেকে উঠে, নিজে পটিতে বসে কাজ সেরে ধোয়া মোছা করে পটি ধুয়ে, ঘুমের কাপড় পরিবর্তন করে, রান্না ঘরে যেয়ে শুকনো খাবার খায়। নিজের বিছানা নিজে খুলে, সকাল বেলায় নিজে নিজে তুলে। বাইরে বেড়াতে যাবার সময় নিজে নিজে কাপড় পরে, আর নিজের কাপড় নিজে খুলে। কাপড় ময়লা হলে জমিয়ে নিজে নিজে ওয়াশিং মেশিনে ভরে সুইচ টিপে। আমার মনে হয় এ লেখা পড়ে, আপনি ভাবছেন, আমি গাল গপ্প করছি?

না।

এখানকার (বিভূইয়ে) ২য় , ৩য় শ্রেনীর বালক বালিকারা নিজেরাই পোষাক পড়ে, ফ্লাটের চাবি নিয়ে স্কুলে যায়। পাঠ শেষে নিজেরাই বাড়ী ফেরে। কারণ পিতা মাতা দাদা দাদী -সবাই কর্মরত। এটা নিশ্চয়ই অবিশষ্য , তাই না?

ব্লগে, আমাদের এই জাতীয় দিবসে, এই বিষয়ে লিখছি বিশেষ কারণে। আমরা বাংলাদেশে
১। বাবার কাধে সারা পরিবার বসে বসে খাই, আর এ সপ্তাহের নাটক দেখি।
২। ১০ বছরের বাবুকে (!) হাতে করে তুলে খাওয়ানো হয়।
৩। অর্ধেক মহিলা জনগন ঘরে বসে থাকে।
৪। মানসিক ভাবে ১০০% প্রতিবন্ধি, কারণ, ছেলেরা মেয়েদের সাথে মিশতে পারে না।(ভয়- তারা যৌন কাজে লিপ্ত হবে।) দেশের অর্ধেক মানুষ বাকী অর্ধেক মানুষের খবর জানে না। ইভ-টিজিং জিনিসটা খুব একটা বুঝি না, (তবে এটা অশ্লীল উত্তাক্ত বিপরিত লিংগের প্রতি - এটকুই বুঝি) -এসবের উৎসই হলো, ছেলেমেয়েদের কে বোঝাতে হবে, বাংলাদেশে সবাই মানুষ। মেয়েরাও ভাত খায়, মেয়েরাও সাইকেল চালাতে পারে, কসমসে রকেটে করে যেতে পারে।
৫। বাংলাদেশের মানুষ ভাবে না কবে তাদের অর্থনৈতিক মুক্তি হবে, তারা দুই বেটি আর কে হবে পরবর্তী রাজ (ফেইসবুকে ভোট চলে!!) পুত। {জয় তারেক হ য ব র ল }{দেশে বিনোদনের অভাব, তাই এসব নিয়েই আমাদের দিন রাত্রি।
৬। বানসাই রাষ্ট্রের লিলিপুটি মনোভাব গড়ে উঠে ছোট বেলা থেকেই, যা কিনা আমরা একটা কারখানার মধ্যে রিসাইকেল হচ্ছি অনবরত।

তাই, দয়া করে, বাচ্চাদের সাথে স্বাভাবিক আচরণ করুন, শিশু সুলভ আচরণ করে তাদের (এবং আমাদের গোটা বাংলাদেশের) ভবিষ্যত নষ্ট করবেন না।

ইউরোপে তাই সবাই স্বাবলম্বী। নিজের বিষয় নিজেই সমাধান করতে পারে। আমি এখন বুঝতে পারি বলেই, আপনাদের বলছি।

আমার ছেলের নাম প্রহর। মেয়ের না বেলা।

ওদের জন্যে দোয়া করবেন।

ওরাই আমার বাংলাদেশ।



http://www.banglarussia.narod.ru
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে মার্চ, ২০১২ দুপুর ২:১৩
৩টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কমলার জয়ের ক্ষীণ ১টা আলোক রেখা দেখা যাচ্ছে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৮



এই সপ্তাহের শুরুর দিকের জরীপে ৭টি স্যুইংষ্টেইটের ৫টাই ট্রাম্পের দিকে চলে গেছে; এখনো ট্রাম্পের দিকেই আছে; হিসেব মতো ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কথা ছিলো। আজকে একটু পরিবর্তণ দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×