somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ঘুরে এলাম গান্ধীজির আশ্রম

০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৮:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সময়টা ছিল মে ২০১৮ইং। আমি অফিসের কাজে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ। সেখানে গিয়েই জানতে পারলাম নিকটেই আছে গান্ধী আগ্রম। লোভটা সামলাতে পারলাম না। একদিন অফিসের কাজ শেষ করে আমার সহকর্মী শাহ আলম ভাইকে নিয়ে চলে যাই স্থানটি দেখার জন্য।
নোয়াখালী সদর (মাইজদী কোর্ট) থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার উত্তরে সুনাইমুড়ি উপজেলার জয়াগ বাজারের পূর্ব দিকে গান্ধী আশ্রম ট্রাস্ট অবস্থিত। ১৯৪৭ সালের ২৯ জানুয়ারী মানবতাবাদী মহান নেতা মহাত্মা গান্ধী শান্তি, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও অহিংসা প্রতিষ্ঠার জন্য দাঙ্গা বিক্ষুব্ধ বর্তমান নোয়াখালী জেলার সুনাইমুড়ি উপজেলার জয়াগ গ্রামে আগমন করেন। সেখানে এই মহান নেতা তখনকার জমিদার নোয়াখালীর প্রথম ব্যারিস্টার ও দানবীর হেমন্ত কুমার ঘোষের আমন্ত্রনে তার বাড়িতে উঠেন। মহাত্মা গান্ধীর প্রদর্শিত পথ ধরে হেমন্ত কুমার ঘোষ তার সকল সম্পত্তি জনকল্যাণে দান করেন এবং তারই মহানুভবতায় প্রতিষ্ঠিত হয় ‘গান্ধী আশ্রম ট্রাস্ট’। যা মানবতার সেবায় নিয়োজিত একটি প্রতিষ্ঠান।
বাস থেকে নেমে প্রথমে জয়াগ বাজারের ভিতর ঢুকে গেলাম, লোকদের জিজ্ঞাসা করতেই দেখিয়ে দিল বাজার থেকে সামন্য উত্তর দিকে দু’টি পুকুরের মাঝখান দিয়ে চলে যাওয়া একটি পথটি।



গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টের মূল ফটক
ভিতরে ঢুকতেই চোখে পরে আশ্রমের সংক্ষিপ্ত বিবরণী।


আশ্রমের সংক্ষিপ্ত বিবরণী
আরো ভিতরে ঢুকে দেখতে পেলাম একে একে কুঁটির শিল্প, তাঁত শিল্প প্রদর্শণী ও বিক্রয় কার্যক্রম। এরিয়াটা মোটামুটি বড় হলেও কার্যক্রম ছোট পরিসরেই হচ্ছে। স্থানটির উত্তর ভিটায় দো’তলা একটি ঘর, যেটি ছিল হেমন্ত কুমার ঘোষের থাকার ঘর। সেটি বর্তমানে গান্ধী জাদুঘর হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। গান্ধী জাদুঘরে নোয়াখালীতে অবস্থানকালীন সময়ে গান্ধীজির ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিসপত্র স্থান পেয়েছে। পূর্বদিকে আরও একটি দু’তলা ঘর আছে, যেখানে মূলত: ট্রাস্টের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। ট্রাস্টের কার্যক্রমের মধ্যে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন (Micro Credit) উল্লেখ যোগ্য। তাছাড়া কুঁটির শিল্প, হস্ত শিল্প সহ আরো বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। গান্ধী জাদুঘরের সামনে নির্মিত হচ্ছে নান্দনিক মহাত্মা গান্ধীর ভাস্কর্য।


নির্মাণাধীন মহাত্মা গান্ধী ভাস্কর্যে
পুরো বাড়িটি গাছ-পালায় ভরা। খালি জায়গা চোখেই পরে না। বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রয়েছে সেখানে। যেমন একটি গাছ যায় যার ফল বড় আকারের বেলের মতো দেখতে। ফলগুলোর গায়ে ধারণ করে আছে কিশোর-কিশোরির ভালবাসার ক্ষত চিহ্ন।


পুরো এলাকা জুড়ে রয়েছে মহাত্মা গান্ধীর বিভিন্ন বাণী। যা বাঁশের খুঁটির সাহয্যে বিভিন্ন জায়গায় টানিয়ে দেয়া হয়েছে।


জায়গাটা ঘুরে আসতে পেরে ভাল লাগলো। গান্ধী আশ্রমের ছোট একটি ভিডিও দিলাম।



ধন্যবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:১৭
৪টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শেখ হাসিনার শেষের ঘন্টা ও কিছু কথা!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৩২

এই বৃষ্টি ভেজা রাতে আজ অনেক ঘটনাই মনে পড়ছে, কোনটা রেখে কোনটা লিখি তা নিয়েও ভাবতে হচ্ছে! তবে প্রথম যে ঘটনা লিখতে ইচ্ছা হচ্ছে তা হচ্ছে শেখ হাসিনার পলায়নের শেষের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি নিষিদ্ধ

লিখেছেন আজব লিংকন, ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৪১

আমি নিষিদ্ধ! হইলেও হইতে পারি!
শুনছি নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি মানুষের বেশি আকর্ষণ। দূর থেইক্কা আপনি আমারে দেখেন। টুকটাক আমার লেখালেখি পড়েন। কই কখনো তো আপনারে লাইক কমেন্ট কিংবা খোঁচা মারতে দেখলাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ্‌ সাহেবের ডায়রি।। আমি পদত্যাগ করিনি , ডাইনী করেছে

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৪০

জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানা আপু

লিখেছেন সোহেল ওয়াদুদ, ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৩

শুভ জন্মদিন আপু! আপনার জন্মদিনে সুস্থ দেহ প্রশান্ত মন কর্মব্যস্ত সুখী জীবন কামনা করছি। আমাদের জন্য দোয়া করবেন। আপনি এবং দুলাভাই অনেক প্রজ্ঞাবান মানুষ। দেশের স্বার্থে জাতির স্বার্থে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পদ ত্যাগ না করলেও ছেড়ে যাওয়া পদ কি শেখ হাসিনা আবার গ্রহণ করতে পারবেন?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৯



তিনি ছাত্র-জনতার ধাওয়া খেয়ে পদ ছেড়ে পালিয়ে গিয়ে প্রাণে বেঁচে গেছেন। পদের লোভে তিনি আবার ফিরে এসে ছাত্র-জনতার হাতে ধরাখেলে তিনি প্রাণটাই হারাতে পারেন। ছাত্র-জনতার হাত থেকে রক্ষা পেলেও তাঁর... ...বাকিটুকু পড়ুন

×