ঈদের আর বেশী বাকি নেই।অন্যসময় বনানী এলাকা গরু-ছাগলে ভরে যায়।এবার চতুষ্পদ জন্তুর দেখা নাই।আপনি কি পশু কিনেছেন ?আগের কোরবানির ঈদ আর এখনকার ঈদে কিছু ফারাক আছে------------------
আগে কেউ ১০ হাজার টাকায় হয়ত গরু কিনছে,দাম জিঞ্জেস করলে বলত"উম্ ২৫ হাজার"।মানে যে যত দামে গরু কিনতে পারে তার ততো ভাব।
এখন কেইস উল্টা।যে যত কম দামে ভাল গরু কিনতে পারে তার ডিমান্ড ততো বেশি।
আমার এক চাচা আছে,সবকিছু বেশি বেশি বলে। আমার সেই চাচা আমাদের সবার গরু কিনে দিত এবং তার বাসায় সব গরু রাখা হতো।তো চাচাকে ফোন দিলাম-"চাচা গরু কেমন হইছে এবার?"
চাচা:"ভাতিজা এবার তো গরু কিনতে পারি নাই ,একটা বাচ্চা হাতি কিনছি তোমার চাচির চেয়ে এক সাইজ ছোট।
গরু দেখতে গেলাম।সব গরু মাটির উপর খাড়া দাড়িয়ে আছে।খালি আমাদের টা দেয়ালে হেলান দেওয়া।গরুদের মহলে ঐটা র্যাম্প মডেল।
বন্ধুর সাথে কথা হচ্ছিল ঈদ নিয়ে-তোমরা কোরবানির গোশত ভাগাভাগি কর কিভাবে?
-সবাই যেভাবে করে।
-এটার কিন্তু নিয়ম আছে।তিন ভাগের এক ভাগ গোশত নিজের জন্য,এক ভাগ আত্মীয়-প্রতিবেশীর জন্য আর এক ভাগ গরিবদের জন্য এভাবে।
-অনেকেই এটা মানে না।
-মানে মানে।গোশত টা নিজের জন্য,চর্বি আত্মিয়দের জন্য আর হাড্ডি গরিবদের জন্য।একটু মডিফায়েড করে মানে ।
-আমারে তুমি কি দিবা?চর্বি?তুমি যেমন মানুষ।
-না,তোমাকে আমি হাড্ডি দিব।
-তুমি আমাকে কি মনে কর?
-আমি তোমাকে ফকির-মিসকিন মনে করি।
ঈদের দিন এক কসাই এর সাথে দেখা।হাফ প্যান্ট পরা উপরে এপ্রন পরা । হাতে চাপাতি,ছুরি।জিঞ্জেস করলাম" ভাই আপনি আবার কি করম কসাই"।উত্তর আসলো---"আমি আসলে কসাই না। ঢাকা মেডিকেলের সার্জন।কাটাকুটির কাজ তো একই রকম তাই অফটাইমে কোপাকুপি করি।"
ঈদে টিভিতে প্রচুর প্রোগাম যায়।এ্যাড এর জন্য কোনটাই দেখা হয়না। তার উপর আছে হিণ্দি সিরিজ।কিছুদিন আগে কলাকাতা গিয়েছিলাম এয়ারপোর্টে দেখি বিরাট ভিড়,মানুষের জটলা।শুনলাম হিন্দি সিরিয়ালের অভিনেতা আসছে।গেলাম দেখতে--দেখি একটা অচেনা একটা লোক,চিনি না।জিঞ্জেস করলাম "ভাই উনি কোন সিরিয়ালে অভিনয় করে?"
----"উনি সিরিয়ালে অভিনয় করে না,ঢোলে বাড়ি দেয়।দেখেন না সিরিয়াল চলার সময় "ডি ডি ডি ডি ডি ডিস্ " শব্দ হয়?বিয়ে, জন্মদিন,বা কেউ মারা গেলে তাকে ভাড়া করা হয়।উনি ঢোলে বারি মারে;মানুষজন ফিলিংস পায়।"