গত সোমবারে আমার স্বাধের নোকিয়া মোবাইলটি পকেটমাররা নিয়ে গেছিলো। খুব কষ্ট পেয়েছিলাম। কতশত নাম্বার হারিয়ে ফেলেছি। কারো কারো নাম্বার হয়তোবা কোনদিনও পাওয়া হবেনা। নাম্বারগুলোর কষ্ট এখনো এ-খো-নো আমাকে পোড়ায়। মনে পড়ে মোবাইলটি নেওয়ার ১ বা ২ মিনিট আগেও দেখিছি পকেটেই আছে।
আজকে ঐ জায়গা পার হওয়ার সময় ঐদিনের কথা মনে হওয়ার সাথে সাথেই মোবাইলটি হাতে নিয়ে নিলাম। লম্বা মানিব্যাগটি পিছনের পকেট থেকে সাইটের পকেটে নিয়ে আসলাম। ভীরের মাঝে আমার সামনের লোকগুলোকে বারবার সাবধান করছিলাম পকেটমার থেকে সাবধান। ২ মিনিটে ভীর ঠেলে সামনে এসে পকেটে হাত দিয়ে দেখি মানিব্যাগ নাই
৪১১০ টাকা + ইন্টারন্যাশনাল ভিসা কার্ড + স্ট্যান্ডার চার্টার্ড ব্যাংকের ডেভিড কার্ড + স্ট্যান্ডার চার্টার্ড ব্যাংকের প্লাটিনাম ক্রেডিট কার্ড + পান্চ করে অফিসে ঢোকার কার্ড + এয়ারটেলের ৫০ টাকার ১ টি কার্ড + অনেকের ভিজিটিং কার্ড
ছোট ভাই বদরুলকে ফোন করে বললাম ঘটনার কথা। সে বলতেছে তুমারে চিইন্যা ফেলছে। রাগে আমার পিত্তি জ্বলে গেলো স্ট্যান্ডার চার্টার্ড ব্যাংকে কল সেন্টারে ফোন দেই ধরেনা। মেজাজ গরম হইলো। বদরুল তারাতারি ব্যাংকে গেলো। ব্যাংক বন্ধ হয়ে গেছে। ঐখানকার এক লোকের কাছ থেকে আরেকটা নাম্বার নিয়া আমাকে দিলে ঐ নাম্বারে ফোন দিই।
স্ট্যান্ডার চার্টার্ড ব্যাংকের একজন ফোন রিসিভ করলে বলি আমার ডেভিড এন্ড ক্রেডিট কার্ডটা বন্ধ করে দেওয়ার জন্য তারাতারি। আমার পকেটমারিং হয়েছে। উনি আমার সাথে আলাপ জুড়ে দিলো। কি কি হারাইলাম? কাউকে সন্দেহ করছি কিনা? মেজাজটা খারাপ হইলো বললাম যে আমি জিডি করার জন্য ফোন দেই নাই ভাই। আমার কার্ড গুলো ইনএ্যাক্টিভ করতে হবে ইমারজেন্সি। শেষে ৯ মিনিট ৩ সেকেন্ড লাগিয়ে আমার কার্ডগুলো এনএ্যাক্টিভ হইলো।