হাবুয়া রসায়নে ক-অক্ষর ছাগমাংস হলেও কষায়ণে পিএচডি। কার কাছে শুনছে ইউরিনে ইউরিয়া থাকে, এরপর থিকাই সাইড এফেক্টের চিন্তাভাবনা জলাঞ্জলি দিয়া বেটা কঞ্জুসের কঞ্জুস নিজে তো নিজে পুরা ফ্যামিলিরই ইউরিন সংরক্ষণের জন্য বিরাট এক ড্রাম কিনে আনছে। সবাই মোতে আর হাবুয়া গিয়া সেই মুত ধান ক্ষেতে ছিটায়। তার ইউরিয়া কেনার খরচ বেঁচে যায়।
তবে হাবুয়া আবার ধান্দুস মানে মহাধান্দুস। সে এই মহা আবিষ্কার আবার পাড়া প্রতিবেশীকে জানতে দিতে চায় না। তাই ধানক্ষেতে ইউরিয়ার পরিবর্তে ইউরিন ছিটানোর কাজটা সে রাতের বেলায়ই সারে।
একদিন রাতের বেলা ইউরিন ছিটাইতে গেছে। আন্ধার রাত। দুই হাত দূরের জিনিস ঠাহর করা যায় না। সঞ্চিত ইউরিন ছিটানো প্রায় শেষ। এর মধ্যে তার নিজেরই আবার বেগ চাপলো। ভাবলো, এই জিনিস বাড়ি বয়ে নিয়ে গিয়ে লাভ নেই, ধানক্ষেতেই ছেড়ে যাই। সে ছ্যার ছ্যার করে ছেড়ে দিলো।
কিন্তু কপাল মন্দ। সেই ধানক্ষেতে বাস করতো এক কালা ধানীভূত। নিরীহ প্রকৃতির ভূত। মানুষ গরু খায় না। শুধু ধানক্ষেতের মাঁজরা পোকা খায়। আর ধান পাঁকলে যখন ইঁদুরের উৎপাত বাড়ে তখন ইঁদুর ধরে ধরে খায়। তার গায়ের উপরে ইউরিন ত্যাগ করায় স্বভাবতই সে বিলা হইলো। বিশাল এক হালুম চিৎকার দিয়া ভয়ঙ্কর ভয়ের মূর্তি ধারন করিলো। হাবুয়ার মত পোড় খাওয়া মানুষও সে চিৎকারে ডর খাইয়া বেহুশ হইয়া গেল।
কালা ধানীভূত নিরীহ হইলেও তার কিছু বদভ্যাস ছিলো। বিশেষ করে, গত কয়েকবছর চাঁটগা এলাকায় থাকার ফলেই তার ওপর এই বদভ্যাস ভর করেছে। বেহুশ হাবুয়াকে দেখে তার মন খুশীতে নেচে উঠলো। অনেকদিন পরে আবার হবে রে। সে উত্তেজনায় লোল ফেলে, জিহবা চাটে।
সমস্যা হইলো গিয়া, হাবুয়া এমনই কঞ্জুস ছিলো যে, বাথরুম সেরে পানি খরচ করতো না। পানির অপচয় নাকি পরিবেশের ভীষণ ক্ষতি। ফলে গন্ধের চোটে কালা ধানীভূতের উত্তেজনায় অল্পতেই ভাটা পড়িলো। বমি করিতে করিতে সে হাবুয়াকে ছেড়ে পালাইলো।
হাবুয়া ভোর বেলা হুশ ফিরে দেখে সে যেমন ছিলো তেমনই আছে। মনে মনে আল্লাহকে অনেক শুকরিয়া জানালো। মানীর মান আল্লায়ই রাখে।
(পোস্টটি হড়ড়গ্রুপে প্রকাশিত)