কেউ কেউ যায় পুরোহিতের কাছে
কেউ কবিতার কাছে
ভবঘুরে যায় বন্ধুর কাছে
দার্শনিক ঈশ্বরের কাছে
আর নেতাতুর চোখ যায় মন মদিরা শুড়িখানায়।
এখন কবিতা লিখলেই হয়ে উঠে বিষাদের উপাখ্যান
আর না বলা কথা মানে নষ্ট স্মৃতির কালো বর্ণামালা
ভোরগুলো হয়ে উঠে খরদুপুর কাঠফাঁটা রোদে শুকায় প্রেম
রাতগুলো নক্ষত্রবাড়ি যেন অনেক দূরে তারকাদের বোবাকান্না।
কাঁদছে নদী, আকাশ, পাখি, নীল প্রজাপতি, দখিনা হাওয়া আর অনাঘ্রাতা ফুল
কেমন হবে যদি আমিও হই তোমার মতো নষ্ট কষ্টে ভ্রষ্ট আকন্ঠ অশ্লীলতা
পুড়ে পুড়ে কাঠ হবো তবুও রাখবোনা সাক্ষী পেছনে লেলিয়ে দেয়া সময়
প্রকাশ করবোনা ক্ষীণকালের পাপ-দু:খ মোড়ানো নিরাবরণ লুকোনো শোকের শ্লোক।
হায় ঈশ্বর কবি কেন এতো নিলর্জ্জ বেজন্মা আবেগে নিজে জ্বলে জ্বালায় বিহঙ্গ
বিলুপ্ত বাসনাগুলো বাঁক নেয় ক্ষয়কালের নির্জনতায়
মনে রেখো যে যায় সে ফিরে আসেনা পুরোনো মোড়কে
এভাবে কষ্টগুলো ভেসে যায় বাতাসে পাতার শব্দে হয় মর্মর আবেশ।
আজ বড় বেশি জানতে ইচ্ছে করে ফুলগুলো কী সত্যিই ভুল ছিলো?
এখনো ভালবাসি তারে যে থাকে হৃদয়ের অতলান্তে দিনমান আসমুদ্র হিমাচল
যে সভ্যতা লুটিয়ে পড়েছে নাম না জানা পুরোনো পাথরের গহ্বরে তার কী ইতিহাস হতে পারে?
কবিতাগুলো চোখের জল হয়ে ঝরে পড়ে শূণ্যতায় যেমন ক্ষুব্ধ মেঘ নেমে আসে মৃত্তিকায় বৃষ্টি হয়ে।
প্রেম মানে না বলা কথার পুঞ্জিভূত ক্ষোভ নয়, নয় নিরাকার মনের সুপ্ত সান্তনা
জলের লেনদেন নৌকার সনে আর অন্ধ আতাতায়ীর অপ্রাপ্তির টানাপোড়েন নাটকের শেষ অঙ্ক
হয়তো একদিন এই জনসমুদ্রের শহরে একাকি একটি কোকিল ডাকবে বসন্ত বাতাসে
থাকবেনা বাউল বিষণ্ন দুপুরে গুনগুন করে গাইবেনা গান কলাপাতার বাশি।
মধ্যরাতে রাজপথের সোডিয়াম লাইটের আলোয় দেখেছি কার মুখে ফিসফাস ভোতা কালচার
সুপ্ত খোলস ভেঙে বেরিয়ে পড়া মায়াবী দিপ্তির সীমানা পেরুনো বিস্ময়গুলো শোকাহত তুমি নেই
এখানে রোজ বসন্ত আসেনা, কালজুড়ে থাকে পিপিলিকার অসুখ বিভীষিকা মারাত্মক
সীমানার চৌকাঠ ডিঙিয়ে ভুমন্ডলের অলিতে গলিতে হাটতে হাটতে একসময় দু:খগুলোও হারিয়ে ফেলেছি
অবশেষে বলার কোনো আশা নেই ভাষা নেই লোভ নেই ক্ষোভ নেই, নেই অভারিত অপেক্ষা তোমার।
উৎসর্গ : জিপসি রমণী সার্গেট ইয়ানকে যে ক্ষণে পরিবর্তিত হয় অজানা সুখের আশায় দোলাচল আমৃত্যু।