ঠিক কতবার আমি আত্মহত্যা করতে চেয়েছি এই মূহুর্তে নির্দিষ্ট করে তা বলতে না পারলেও মাই লর্ড, এটা বললে পারি জীবনকে আমি আপনার চেয়ে কম ভালবাসিনা, চিরন্তন সত্য
অযাচিত অপবাদগুলো বড় বেশি বিদ্রোহী হয় দেহতত্ত্বের স্পর্শে।
জীবনতো জীবনের মতোই সুন্দর জেনেছি ঝুনা ঠাকুরের পাঠশালায়
অনাদিকাল ধরে জীবনের খোঁজে কত বীর ঢাকা পড়েছে ইতিহাসের নির্মম মলাটে; খোঁজ দিয়েছেন কাহ্ন পা।
জীবন সুন্দর তার চেয়ে বেশি সুন্দর কাগজের টাকা নষ্ট সময়
আবেগ দিয়ে পণ্য মেলেনা যতটা মেলে টাকায় প্রাচীন সত্য
এবার বর্ষায় দু:খগুলো সব বৃষ্টিতে ধুয়ে মুক্ত করবো পুরোনো ঋণ।
‘কে না জানে যুদ্ধ মানে শত্রু শত্রু খেলা- যুদ্ধ মানে তোমার কাছে আমার অবহেলা’-
তবু যুদ্ধই সত্য যুদ্ধই শ্বাশ্বত অন্যায় জায়েজ বৈধ মৃত্তিকায়
ঈষাণ কোণে কাঁশবন বৈশাখী হাওয়ায় তপ্ত রোদ কোথাও প্রেম নেই।
উত্তরাধুনিক তুমি পণ্য লোভে বিহ্বল নিদ্রাহীন রাত জোনাকির ঘুম
আবেশে মুদে আসে চোখ স্বপ্নময় বর্তমান দূরের তারা ক্লান্ত পথ
গাইতে গাইতে গায়েন হয়ে যে যায় লঙ্কা সে হয় রাবণ।
হায় প্রেম তুমি নিষ্ঠুর কামের মতই বিভাসিত অহম রুগ্ন সকাল
ক্ষোভ জমে মেঘ হয় নিরামিশ আবেগ শূন্যে ভাসে পরকাল চিন্তায়
রিক্ত বেদনারা উল্লাস করে মহাকাব্যের অশ্লীল উর্বশীয় ভারী নিতম্বের উদ্দামতায়।
অস্থির দেবদূত উপনিবেশিক নারী হয়ে খোঁজে নান্দনিকতাহীন যৌবন
গিটারের ছয়টি তারে লুকিয়ে থাকে বাউলের ছয় রকমের কষ্ট অনি:শেষ
এবার আষাঢ় আসুক মুখোমুখি হবো বিবর্ণ তারুণ্যের সমাপ্তি অপ্রাপ্তির।
মহাজাগতিক মুসাফির হয়ে জানি, ‘উৎসর্গেই জীবনের পূর্ণতা অশেষ’
নাটিকার শেষ পটে নায়কের জয়সর্বস্বতার অপর নাম নষ্টামী
তুমি ছিলেনা কখনো আমার যেমন ছিলোনা রাম সীতার বলেছি বলবো বারবার।
উৎসর্গ : যুদ্ধের দামামায় সর্বস্ব হারানো ফিলিস্তিনি কিশোরী আইয়াদা মাসাভিরার অশ্রু শুন্য চোখকে- সব হারিয়েও যে চোখ স্বপ্ন দেখতে জানে।