কোথাও প্রেম নেই বেঁচে থাকা যেন যন্ত্রণা
ভোরের বৃষ্টি ভেজা পাতার মতো বাতাসে দোল খাওয়া বিরহ
নিষ্পাপ শিশু হয়ে হেটে চলি পঙ্কিল পৃথিবীর পথে পথে
নিরাকার মন অভিশপ্ত নগরে অন্ধ অনুকরণ।
স্মৃতিকাতর মৌমাছি আজ ভাবনা শূন্য তোমার মন্দিরে
শেষ রাত্রি যেন গোরখোদকের পানশালার ক্লেদাক্ত অনুভূতি
পচে গেছে বিষাক্ত নদীর স্রোতের মতো বারবনিতা হৃদয়
কোথাও প্রেম নেই, মানুষ নেই, দুঃখ নেই।
হাসি নেই, আনন্দ নেই, জন্মের খবর নেই
নিরেট অনুভূতিশূন্যতায় ধাবমান প্রজাপতি খোলা চুল
অনাচারে অন্ধকার লুকায়িত প্রহরের শেষ খেয়ায় গন্তব্যের তাড়া নেই
বিষাদের নি:শ্বাসে ছেয়ে গেছে দশ দিক চরাচর অচলায়তন।
পচিশের পর বেঁচে থাকাটা অরথহীন, ক্লান্তিকর
বৃ্দ্ধ বট কালের সাক্ষী হয়ে নিশাচর পাখির বিপন্ন আশ্রয়
তালপাতার পাখায় মন জুড়ায় না জৈষ্ঠের তপ্ত রোদ ভরদুপুর
অশত্থুর ছায়ায় ঘুমিয়ে পড়তে ইচ্ছে করে নিত্য উপহাস।
তোমাদের পৃথিবীতে জীবনের কাছে কোনো অভিযোগ নেই
চোখের কোনে ধরে রাখা পানি চিক চিক ভোতা অভিমান অসাড়
তবুও প্রশ্ন থেকে যায় শত সহস্র বিবেকশূণ্য সভ্যতার কাছে
রুবাইয়াতের ওমর খৈয়াম কালে কালে নতুনত্ব হারায় অপাত্রে।
বিমুগ্ধতার শেষ সাক্ষী হয়ে সব পাখি নীড়ে ফেরে
নীল থেকে নীলতর হয় আকাশ বৃষ্টির অপেক্ষায়
পায়ের নিচে এলে মাটির কাছে প্রাথনা নৈশ কান্নার ধুম
এখানে শূধুই মরুভূমি কোথায়ও মরুদ্যান নেই আনমনে ভাললাগা।
উৎসর্ : ইভ ও এডামের আদি পাপকে। যে পাপ শুধু অনুতাপের নয়- সৃষ্টির ইতিহাসেরও।