রাতের ট্রেনের শেষ কামরায় নি:সঙ্গ পথিক
হেটে চলে অজানায় নিরুপায় বাসনা নৈ:শব্দ প্রান্তর
চোখের নদী হতে বৃষ্টি ঝরে অবিরত চে গুয়েভারা বিপ্লবী
দক্ষিণা জানালায় উকি দেয় চাঁদ অপারগ ব্যাকুলতায় নির্ঘুম রাত।
মায়াবী প্রহর কেড়ে নেয় স্বপ্ন এখানে কালবৈশাখী ঝড় অবেলায়
রুপালী রাত কারো কারো দু:খজাগানিয়া পলাশীর প্রান্তর
অমাবস্যার অন্ধকার অসহায় জীবনানন্দ বনলতার খোঁজে
যমুনার তীরে তাজমহলের ভীড়ে শত দু:খমহল ভেঙে পড়ে অগোছরে।
বিমর্ষ্ প্রত্যুষা মরুভূমির কোলে গভীর নিস্নেহে ক্লান্ত সংগ্রাম
এসো উল্লাস করি মহুয়ায় রক্তস্নাত ব্যবিলনের ব্যর্থ্ সভ্যতা
আমার মাঝে আমি নেই উদাসীন কবিতায় অপ্রাপ্তির আহ্বান
তবু নগ্ন দাঁতে অট্টহাসি দাতাল শুয়োর নিয়ন আলো।
ঝাঁকালো কন্ঠে কূল হারা বাউল গেয়ে চলে, ‘ভালবেসে চলে যেওনা
ভালবেসে চলে যেতে নেই ‘
মুখে মুখে প্রেম- প্রজন্ম হারায় ঠিকানা অকাতর অনটন মুখরা রমণী
তারার বাঁধনে আঁধার লুকায় আর অাধখানা চাঁদ লুটোপুটি খায় জলে।
উৎসর্গ : এথেন্সের ব্যস্ত নগরীর মুখরা রমণী অক্টোভাকে- যে সঞ্জীবণী ছাড়াই মাতাল হয়।