ভেবোনা আমি পড়ে গেলেও ওঠে দাঁড়াবো না
তাহলে ভুল ভাববে হে প্লেটোনিক প্রজন্ম
উত্তরের বায়ু বেশি বয় দক্ষিণার চেয়ে
কালো বিড়ালের মদির শরীর যেন আদিম কবিতা।
অতি পুলকে অস্তিত্বের শরীর যায় পুড়ে
আমার কাছে ঘর মানেই বড় জানালা বিলাস
যে নারী বন্ধনের কিনারা থেকে দূরে তার কাছে পাখির গান অর্থহীন
উদ্ধত তরবারি খোলার আগেই খুঁজে ফিরি জলপাই পাতা।
পড়ন্ত নীহারিকা দেখে মুচকি হেসো না
রাতের নিরবতা ভেঙে খান খান হবে
কালে কালে খন্ডিত মানচিত্রের হৃদয়ে বিষফোড়া
আদমের পাজরের হাড়ে হাওয়ার হয় পূর্ণ মানবী।
ত্যাগী দার্শনিকের কন্ঠে ঝরে পড়ে হারানোর সুর
কেউ কানে কানে বলে যায়, ‘মানুষ বড় অভিমানী প্রাণী’
নাগরিক কবির প্রশান্ত আকাশে জমে আনবিক বোমার ধোঁয়া
মেঘ দেখে উৎফুল্ল হই, সম্বিৎ ফিরে বুঝি মেঘ নয় আকাশে দু:খ জমেছে।
উৎসর্গ : দুপুরের অভিমানী হরিণকে।