আমি আর কবি নই ছিলাম কোনো এক কালে ভাললাগা বিলক্ষণ
বর্ষার নুয়ে পড়া হেলেঞ্চার মতো দুলে পড়ি মৃত্তিকায়
নদী নেই নীড় নেই স্রোত নেই হাড়ি নেই মুখরিত অপ্রাপ্তি
কদাকার সময় বড় বেশি নষ্ট হয়ে ভেসে চলে বানের জলে।
এখানে প্রেম নেই প্রীতি নেই, নেই জন্ম সৃষ্টির সুবাস
সব কিছু শংকাময় অগোছালো মিথ্যার সংসার
কবিকে দণ্ডিত অপুরুষ বলে তৃপ্তির ঢেকুর তুলেছেন হুমায়ুন আজাদ
আমি কবি নই দিনমজুর- যে সময় বেচে পানির দরে অকাতরে।
তোমাদের নষ্ট নগরে কখনোই নাগরিক হতে পারিনি মুখোশ পরে
কেউ কেউ জ্বলেও জ্বালাতে ভালবাসে বন্ধনের উপহাস
মুকুলে প্রতিফলিত চন্দ্রালোক বড় বেশি অসহায় পাপের মিছিল
হে নিশ্চল দেবদারু আমি আর ছায়া চাইনা ছিন্নমূল হয়ে পরবাস।
আশ্রয় না মৃত্যু পূর্ণ অশরীরী এক অস্বচ্ছ বিলাপ
শত্রুর চেয়ে কত বেশি মরণঘাতী বন্ধু চারপাশ
বিকেলের শেষ নিলীমায় বিবর্ণ আকাশে স্থির শোক
প্রেমিক কাছে গেলে প্রকৃত ভালবাসা উড়ে যায় বনে মাছের শোক।
চাইলেই দিতে পারি উজাড় করে পারবে কী নিতে স্মৃতির বাক্স
হাসি, উপহাস, বিবর্ণতা কিছুই স্থায়ী নয় সময়ের মতো
এবারের সব জ্যোৎস্না ভাসিয়ে দেবো অপূর্ণতার সমুদ্রে
তবু ভাড়া দেবোনা একফোটা দু:খ।
মুখে কী বলবো যখন গল্পের নাম রেখেছি বিষাদ
জানি সব প্রার্থনায় পুণ্য হয়না নিবিড়তাহীন হেটে চলা
নিষ্পেষিত অনালোকে আর কত লুকোবে পোড়া মুখ?
পরাজিতার মতো চলে যাবে তুমি আর যন্ত্রণায় স্তব্ধ হব আমি।
উৎসর্গ : কাউকে নয়।