কবিতায় আমি লিখি বিরহের বিলাপ সন্ধ্যাকাশের তারা
জানিনা কীসের মোহে কোন গ্রহে ভাসছো তুমি অজ্ঞাত এলিয়েন
কোনো কষ্ট নেই বুকে জমা পাহাড়সম
নেই ক্ষোভের পুঞ্জিভূত মেঘ ঠায় দাঁড়িয়ে নি:সঙ্গ আকাশ।
অপ্রাপ্তির মধ্যাকাশে তুমি জেগে আছো শুভ্র ছায়া কবিতায়
ধূলো বালির আবছা আলোয় ¤্রয়িমান ভোর
মলিন তোমার মুখ বিদ্রোহীকেও বিদ্রোহী হতে শেখায় অকালে
দাসত্বের শেকড় যেন উত্তরাধিকারের ভাসমান ফেনা।
তোমার অবনত মস্তক কবিকে ভেঙে পড়তে শেখায় সমূলে
নোনা জলের ফোঁটা যেন একটি একটি ট্রয় যুদ্ধে হেলেন জয়
আর বাঁচতে শেখায় রূপান্তরকামী বীর হয়ে পোড়ামুখোদের দেশে
মানবীর বাঁধ ভাঙা স্তব্ধতায় বিবর্ণ কবিতার পাতা।
সময়ের ঔদার্যে তুমি কালোত্তীর্ণ ঘোরের মাটি
আমার সন্ন্যাস জীবনের সমাপ্তি যেন শেষ প্রহরের নাটিকা
ধ্বংস হয়ে যাওয়া সভ্যতার অনুসন্ধানে বারবার খুঁজে ফেরা অতীত
স্বরূপে তুমি জেগে ওঠো নতুন স্বপ্নে সোনালী প্রাগৈতিহাসকতায়।
এ কোনো ইতিহাস নয় সুচারুরূপে লেখা হেরোডেটাস
উদ্ভট আশায় বিদীর্ণ রক্তাক্ত ক্ষত সারাও বারবার জীবন দেবী হয়ে
তাত্ত্বিকের তত্ত্ব জয় বিভীষণ হয় মরু লু হাওয়ায়
ক্ষয়ে ক্ষয়ে ক্ষীণ হয় ভালবাসার দেয়াল ভরা পূর্ণিমায়।
উৎসর্গ : পাখি আমার পাখি- স্নেহের এঞ্জেলকে যার প্রতিটি আধো আধো বাক্য আমার কানে পবিত্র স্লোক হয়ে ভাসে।