কবিতায় দু:খ আজ তোমায় দেবো ছুটি
বিষন্নতার বেড়াজালে বিমর্ষ পথভোলা পথিক
আবেগের নিকষ অন্ধকার কুটেকুটে খায় দিনরাত
অসহ্য মধ্যরাত- আমার খোলা জানালায় আলোর দেখা নেই।
ও রাত আর কত কালো হলো তুই অমাবস্যা বলবি?
আর কত অশ্রু ঝরলে তুই বৃষ্টি হবি আমার রুক্ষ্ম ধরণী
তোর-আমার যোজন-যোজন দূরত্ব শুধুই অভিশাপের দেয়াল
বিচ্ছিন্নতায় জানি হবে না লেখা কোনো নতুন ইতিহাস।
অতপর শুধু মৃত স্মৃতি হাতড়ে ফেরা বন্ধ্যা সময় মিথ্যা আশা
বারবার বিশ্ব সংসার তন্ন তন্ন করেও পাইনি একটি গোলাপ
উড়ে যায় পাখি আর দূরে বসে বাজায় বাঁশি কালের শকুনি
কত অপ্রাপ্তি মিলে একটি স্বপ্নের অপমৃত্যু হয় বলেনি কেউ।
বেমানান মোহে একদিন দেরিউসও হয় পরাজিত বীর
শব্দহীন বোবা কান্নার অর্থ অনর্থ হয় অগোচরে
কত সাধনায় এক সমুদ্র জল হয় এক ফোটা চোখের নদী
এখানে প্রেম নেই-প্রীতি নেই, শুধুই বিবর্ণ ভাললাগা।
প্লেটোর কল্পিত রাষ্ট্রে কবি নিষিদ্ধ ছিল
কবির অপরাধ কবি প্রেম বোঝে-প্রেম খোঁজে
যুগ ব্যবধানে আজ প্লেটো নেই কবি আছে
প্রেম আছে রাষ্ট্র আছে-আছে কবির কবিতা শান্তির বারতা।
একদিন শকুন-শকুনিরাও থাকেনা থাকে প্রেম
তোমার আমার রসায়ন থাকে কালোত্তীর্ণ প্রজন্মজুড়ে
কত নীল দংশনে লক্ষ্মীন্দর ভেলায় ওঠে বেহুলা হয় কালজয়ী
এভাবে হয় একটি নতুন পৃথিবী জেতানোর নির্মেদ মহাকাব্য।
আমার বাঁধ ভাঙা অভিমানের দিনে কে তুমি মিহি কন্ঠে গেয়ে ওঠো
‘যেনো দু:খই ঈশ্বর যেন দু:খই মুক্তি পরস্পর-
বিশ্বাস রেখো বন্ধু সারাটা জীবনভর’
বিশ্বাসের দেয়াল আজ জীবাণুর দখলে-যেন পোকামাকড়ের ঘর বসতি।
ধীর পায়ে হেটে চলা নিরাশ প্রতিভা বিষপাণে ধ্বংস খোঁজে
হঠাৎ কেনো মায়াবী রাতে সূর্য উঁকি দেয় শূণ্যতার কোলে
আর লালন একতারা হাতে মস্তিষ্কে অনুরণন তোলে মুগ্ধতায়
‘সময় গেলে সাধন হবেনা’।
উৎসর্গ : তোমাকে-যে তুমি স্ববিরোধী তিলোত্তমা কালে কালে দু:খবিলাসী।