ঈশ্বরের অস্তিত্বে সুখ বলে কিছু নেই
আগাগোড়া দু:খের বিলাস.....মওলানা জালালুদ্দিন রুমী
অপ্রকাশিত আবেগকে নিস্প্রাণ করে
বেহুলা তুমি শূণ্যে উড়ে বেড়াও অবেলায়
লক্ষ্মীন্দরের জিভের ডগায় তেতো স্বাদ
ভেতর-বাইরে শূন্যতায় বিষন্নতার হোলিখেলা।
দূষিত মগজের ভাঁজে ভাজে না বলা নিসঙ্গতা
বেদনা ছুয়েছে চোখ, আমার বলার কিছু নেই
পেছন থেকে তোমার চলন্ত ছায়ার পিছে ছুটে চলা বিভাগী শেরপা
মর্মর সাগরে হামলে পড়া মৃত্যুদূতের লাশে অভক্তি।
নিষ্ঠুর নির্মম মরুভূমিতে মরুদ্যানের খোঁজে কাটে দিনমান
ছুটছি তোমার সন্ধানে মহাদেশের এপার-ওপার
হাওয়ায় ভাসার ক্ষমতা আমার নেই
তবুও মৃত্তিকায় পড়ে থাকা ছায়া সঙ্গী হই।
আশৈশব পথপ্রান্ত স্তম্ভে লেখা শূন্য পুরাণ
ভুলে যাওয়া ক্লান্ত অতীত
চারিদিকে শূন্যতা শুধুই বিষন্নতার কোলাহল
লজ্জার মাথা খেয়ে বিনম্র মুখোমুখি সখী কী চাই জানা নেই।
বিকল্প ভাবনায় সুখ আছে প্রেম নেই
নষ্টামীর সরলতায় কামিনী হয়ে নির্ঘুম রাত্রীযাপনে সুখের আশা
এখানে ঈশ্বর লড়ে ঈশ্বরের বিরুদ্ধে আর কবি কবির
অত:পর দু:খগুলো বাতাসে ভাসিয়ে বড় করে শ্বাস নেয়ার প্রতারণা।
কত পুড়লে পোড়া বলবে হৃদয় সাগরে একা বসে থাকা
জীবন আমার বিবর্ণ কবিতা আগাগোড়া মিথ্যা মুখোশে ঢাকা
চাইলেই পারো মুছে দিতে ঈষাণ কোণে ঝুলে থাকা এক টুকরা কষ্ট
ষড়যন্ত্রের পাঠশালায় ভালবাসার অংক শিখে পথিক ছুটে পথে উদ্দেশ্যহীন।
উৎসর্গ : তিন বৃত্তে স্বপ্ন দেখা দার্শনিক মানব-মানবীদের।