চলে যাবো বলে বলেও যাওয়া হয়না
থেকে যাই আষ্টেপৃষ্ঠে গাট বেঁধে
অনাগত ভবিষ্যত আর নিরবিচ্ছিন্ন ভাবনাগুলো বড় বেশি বেখেয়ালি
তবু আমিই তোমার কবিতার মেটাফোর হয়ে বেড়ে উঠি প্রজন্মান্তরে।
জানি কাফকা কাপুরুষ আর উদাসীন পুরুষকে সংজ্ঞাহীনভাবে নেতি করে
ভাললাগা মানে লেপ্টে থাকার উপাখ্যান নয় হাতে বোনা জঞ্জাল
নোরা-আদ্রিয়ানো-তান সু আর জ্যা পল সার্ত্র হয়ে অনির্দিষ্ট ব্যাকুলতায় ঘিরে থাকা প্রহসন
অস্তিত্বের সন্ধানে খুঁজে ফেরা বিপথগামী যুবকের নীড়ে ফেরা আত্মসমর্পণ।
চাঁদেরও কলঙ্ক আছে আদি সমাজের স্বামীহীন বিধবার মতো অপয়া
এখানে মাংসের ঢল নেমেছে জানি কোনো বাঁধই তাকে রুখতে পারবেনা
মুখ গোমড়া অসুর সময়ে প্রহসনের মিথগুলো ক্লান্ত হয় অনাদিকাল
বৃত্তের বাইরে আমার পোমড়ামুখের অপেক্ষায় শশ্মাণকালে কী করো বালিকা?
নষ্ট শিকড় নষ্ট জীবন আর নষ্ট সময়ের মুখোমুখি বিহবলতায় ফেরারি প্রহর
অনুভবের ছিন্নমুকুলে প্রণয়ের প্রলম্বিত চুমনের সাক্ষী
স্বপ্নভঙ্গের স্বপ্ন নিয়ে জোড়াতালি দেয়া কৃষককের নোংরা ইতিহাসের পুনর্পাঠ
হৃদয় রাজ্য আজ অনুর্বর শাঁ শাঁ জমি-জেগে উঠো হে ক্লেদাক্ত জীবন।
উতসর্গ : তোমাকে- যে তুমি কবিতা ভালবাসো।