অবশেষে ১২ দিন পর এ বছরের ঐতিহাসিক বুয়েট পরীক্ষার রেসাল্ট দিল।আসলেই ঐতিহাসিক , গড়াতে গড়াতে ডিসেম্বরে পরীক্ষা.,গত ৪-৫ মাসের বুয়েট যন্ত্রণা-মন্ত্রণা সবকিছু মিলিয়ে জীবনের স্মরণীয় এটা বছর।পরীক্ষা তেমন ভালো হয় নি,তাই আগেই মোটামুটি বুঝেছিলাম হবে না।
কিন্তু কখনো ভাবি নি-যে বিষয়টি সবসময় ভয় পেয়ে এসেছি তাই আমার ভাগ্যে জুটবে।
সেটা হল ওয়েটিং।না হলে নাই কিন্ত ওয়েটিং এ থাকলে অনুশোচনার পরিমাণ বেড়ে যায় শতগুন।পজিশন ১১২৪।এই পজিশনে থেকে সাধারণত বুয়েটে পড়া যায় না,যদিও কয়েকজন বুয়েটিয়ান ভাই সান্তনা দিয়ে বললেন-আরে হবে টেনশন নিও না।
আবার ও তাই সব কিছু ছাপিয়ে এ্কটা বিষয় ই বার বার মনে হচ্ছে--আর একটু পরিশ্রম,একটু সিরিয়াসনেস থাকলে হয়তবা জীবনে পরিয় টা অন্যরকম হতে পারত।সেই সাথে আমার আম্মার কষ্টবোধটা ও সব কিছু এলোমেলো করে দিচ্ছে।
থ্রি ইডিয়টস ছবির একটা ডায়ালগের সত্যতা আজ হারে হারে টের পেলামবন্ধু খারাপ করলে খারাপ লাগে,কিন্তু বন্ধু যখন সীমাহীন পরিমাণে ভালো করে তখন খারাপ লাগা আরো বেড়ে যায়।এক বন্ধু ঢাক্র বাইরে সব ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনি তে খুব ই ভালো ভাবে টিকল কিন্তু বুয়েট,ডি ইউ আর আই ইউটি তে টিকল না।ওর টিকার কথা ছিল আর একজন জাস্ট ডি ইউ আর বুয়েট দিল।দু জায়গাতেই কোপ।
যাই হোক,জীবনের স্বপ্নগুলোর বড় এটা অংশ আজ মরে গেল,কিন্ত এটা নিয়েই বেচে থাকতে হবে।তাই এ কথাটা মানতে চেষ্টা করি--আ্মার নিয়তি যেখানে আমাকে নিয়ে যাবে,কল্যাণটু্কু সেখান থেকেই খুজে বের করতে হবে।আই ইউ টি তেই যাই তাহলে,দেখি সেখানে কি অপেক্ষা করছে আমার জন্য।
এমনিতে ব্লগে লেখালেখি করার মত আইডিয়া আমার মাথামোটা মাথায় কখনো ই আসে না।তবে নিয়মিত ব্লগ পড়ি। একটা জিনিস বুঝলা্ম...আবেগ জিনিস্ টার আউটপুট বেশ তাতপর্যপূর্ণ।