জেসন বর্ণঃ
আমার সবচেয়ে প্রিয় একশন ক্যারেক্টার।জেসন বর্ণ হচ্ছে রবার্ট লুডলামের তৈরী সেই দুরন্ত পথিক।যে চলে তার পথের শেষ খোঁজার জন্য,কিন্তু পেয়েও পায় না।সব মরীচিকা হয়ে বারবার হারিয়ে যায় বিস্মৃতির অতলে।মুভিতে জেসন বর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন ম্যাট ডেমন।আপনি খেয়াল করলে দেখতে পাবেন,মুভির দ্বিতীয় ও তৃ্তীয় পর্বে বর্ণকে কখনো হাসতে দেখে না।টান টান উত্তেজনায় ভরা বর্ণ ছবিগুলোয় কিঞ্চিত আবেগের ছোয়া ছবিগুলোকে আরো উপভোগ্য করে তোলে সব সময়ের জন্য।
জেমস বন্ডঃ
জেমস বন্ড না জেসন বর্ণ-এই বিতর্কে যদি যেতে হয় তাহলে আমার সব সময়ের পছন্দ জেসন বর্ণ।তবে জেমস বন্ডকে পর্দায় দেখতে সব সময়ি একজন সত্যিকারের পুরুষের মতই লাগে।আমার প্রথম দেখা জেমস বন্ড প্রিয়ার্স ব্রস্ন্যান,সেই থেকে জেমস বন্ড মানেই আমার কাছে প্রিয়ার্স ব্রসন্যান।তাকে পর্দায় দেখলে সব সময়ই ফিরে যাই স্কুলের দিনগুলোতে ,মনে হয় এইতো লুকিয়ে লুকিয়ে মাসুদ রানা পড়ছি ক্লাসে বসে,কেউ আমাকে দেখছেই না।তবে রজার মুর,শন ক্যানরিদের জেমস বন্ডগুলো না দেখলে একশন থ্রিলিং মুভি দেখা সব সময় অসম্পূর্ণই থেকে যাবে।
কিলবিলঃদ্যা ব্রাইডঃ
শুধু হলিউড নয়,সব জায়গায়ই একশন ক্যারেক্টারে অভিনয়ের ক্ষেত্রে নারীরা পুরুষদের থেকে পিছিয়ে আছে শতগুণ।নারী একশন হিরোইনের কথা বলতে গেলে এই মুহূর্তে কিল্বিল ছবির উমা থ্যারম্যান অভিনীত দ্যা ব্রাইড চরিত্রটির চেয়ে ভালো উধাহরণ আর মাথায় আসছে না।কিলবিলের দুটি পর্ব,এটি মুলত ব্রাইডের প্রতিশোধের কাহিনী।জেসন বর্ণের মত ব্রাইডও চায় সাধারণ জীবণে ফিরে আস্তে কিন্তু পারে না।তার বিয়ের দিন তাকে সহ ঐ বিয়ের অনুষ্ঠানের সবাইকে খুন করে বিল।ছবির বিল চরিত্রটিও আমার কাছে দারুণ লাগে।এই ক্লাসিক একশন থ্রিলারটি একটি মাস্টার পিসে পরিণত হয়েছে কোয়ারিন টরেন্টোর অনবদ্য ডিরেকশনে ।
জ্যাক স্পেরোঃ
পাইরেটস অব দ্যা ক্যারিবিয়ানের কুয়াশায় ভরাধোয়াটে রাজ্যের সেই জলদস্যু সর্দার।মাথায় লাল কাপড়;জটালো চুল আর জলদস্যুর সাজে মোড়া জনি ডেপকে দেখলে মনে পড়ে যায় ট্রেজার আইল্যান্ড এর লঙ জন সিল্ভার এর কথা।আরো মনে পড়ে তিন গোয়েন্দার জলদস্যুর দ্বীপ বই্টির কথা।এই ছবি দেখার সময় অতিরিক্ত স্বপ্নবিলাসীরা একটি জাহাজ নিয়ে দূর সমদ্রে ভেসে যাওয়ার স্বপ্ন দেখতেই পারেন।আর স্বপ্নই তো আমাদের বেঁচে থাকার প্রেরণা যোগায়।
জ্যাকি চানঃ
পর্দার কোন ক্যারেক্টার নয়,বাস্তব জ্যাকি চানি আমার কাছে এক বিস্ময়।তার সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নেই।ক্লান্ত অবসন্ন মনকে চাঙ্গা করার জন্য একটি জ্যাকি চান মুভিই যথেস্ট।অনেকে বলে যে জ্যাকি চান হচ্ছেন দ্বিতীয় ব্রুস লি।আমার তা মনে হয় না।আমার মতে জ্যাকি চান শুধুই জ্যাকি-প্রথম ও একমাত্র জ্যাকি। চানের বয়স এখন ৫৬।এই বয়সেও পর্দায় তার পারফরমেন্স অবাক করার মত।তবে রাস আওয়ার,ড্রাঙ্কেন মাস্টার,প্রোজেক্ট এ কিংবা পুলিশ স্টরির সেই তরুণ জ্যাকিকে এখন মিস করি প্রচুর।সামনে আসছে জ্যাকি চানের আর্মর অফ গড সিরিজের ৩য় পর্বঃচাইনিজ জুডিক।
জন র্যাম্বোঃ
ইউ এস আমেরিকার ট্রাবল্ড সোলজার জন র্যাম্বোর প্রথম আত্নপ্রকাশ ঘটে ফার্স্ট ব্লাড বইটির মধ্য দিয়ে।র্যাম্বোর ছবিগুলো আগাগোড়া সিলভেস্টার স্ট্যালনের মুভি।আর সিলভেস্টার স্ট্যালন আর র্যাম্বো যেন একে অন্যের বাস্তব প্রতিচ্ছবি।ওয়ান ম্যানস ফাইটধর্মী বিষয়ক ছবির মধ্যে র্যাম্বো আর জেসন বর্ণ ই আমার কাছে শ্রেষ্ঠ।আর এই দুটি ক্যারেক্টারের পূর্ণ স্ফুরন ঘটেছে স্ট্যালন আর ম্যাট ডেমনের কারণে।সামনে আসছে সিল্ভেস্টার স্ট্যালনের নতুন মুভিঃদ্যা এক্সপেন্ডেবলস।
এসকল ক্যারেক্টারগুলো আমার কাছে এজন্যই ভালো লাগে কারণ যখন এদের দেখি,তখন এদের জীবন ,আমার জীবন সম্পর্কে আমি ভাবি,আমি স্বপ্ন দেখি,ফিরে যাই আমার স্কুলের দিনগুলোতে।বাস্তবতাকে অস্বিকারের উপায় আমার জানা নেই,কিন্তু ক্ষণিকের ছুটি হিসেবে কল্পনায় ডুবে থাকার মাঝেও ক্ষতির কিছু নেই।
---------------------------------------------------------------
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জুন, ২০১০ দুপুর ২:১৪