গত দু-দিন থেকে র্দশনাতে হরিজন সম্প্রদায়ের সাথে ব্যাপক আকারে গেঞ্জাম চলতেছে।
হরিজন বলতে অনেকে আবার বুঝে না। যাকে বলে মেথর/ সুইপার ইত্যাদি।
এরা সাধারণত ইন্ডিয়া থেকে উঠে আসা বাজ্ঞালী ।
যে কারণে এখন হরিজন সম্প্রদায় এখন উতপ্ত- এখানে কিছু মাতব্বর নিয়ম করেছেন যে সুইপার/ মেথর কোন চা এর দোকানে চা খেতে পারবে না ও বসতে পারবে না।
কোন নাপিত এর দোকানে চুল, দাড়ি কাটতে পারবে না।
এটা নিয়ে অনেক দিন ধরে ওই ম্যথর পট্টির লোকজন এর ভিতর ক্ষোভ চেপে আছে।
গত ২ দিন আগে ভ্রাম্যমান আদালত বসে দর্শনাতে ম্যজিস্ট্রেট ফরিদুর রহমানের উপস্থিতিতে। রেল বাজার এ এক নাপিত এর কাছে এক সুইপার দাড়ি কামাতে গেলে আপত্তি জানায়। পরে
ফরিদুর রহমান ঐ নাপিতকে দাড়ি কাটার জন্য নির্দেশ দেন। কিন্তু তাতে আপত্তি জানায়। পরে এভাবে বেশ কিছু নাপিতের দোকানে ভ্রাম্যমান আদালত জরিমানা করে।
এরই মধ্যে বাজার সমিতির ব্যাবসাহিগন রাস্তায় নামেন এবং বিক্ষভ করে।
এটা নিয়ে সারা চুয়াডাঙ্গা জেলা এখন উত্তপ্ত।
যাই হোক আমার তাতে মাথা ব্যাথা না। আজ আমার এক পরিচিত মানুষের একটা কাহিনি মনে পড়ে গেলো।
গত ৪ মাস আগে আমার এক বড় ভাই এর বউ এর বাচ্চা ডেলিভারি ছিলো।
ও নেগেটিভ রক্তের দরকার পড়ে। আমি তখন রক্ত ম্যানেজ করে দিয়েছিলাম।
যেহুতু ও নেগেটিভ রক্ত, সো রেয়ার টপিক্স। আমি ওনাকে রক্ত ম্যানেজ করে দেই কিন্তু কে রক্ত দিচ্ছে বা দিবে এটা বলিনি সে দিন। আমাকে যখন জিজ্ঞেস করেছিলেন
আমি বলেছিলাম কে দিয়েছে এটা বলা যাবে না। সমস্যা আছে তার যে দিবে। ওনি নিষেধ করেছেন। আসলে সেদিন কথাটা আমিই মিথ্যা বলেছিলাম। কারণ সেদিন
রক্ত দিয়েছিলো একজন ম্যথর। নোংড়া ভাষায় বলি একটু- ম্যাথর মানে যে পায়খানার মল পরিষ্কার করেন। হুম সেই ম্যথর ই সেদিন রক্ত দিয়েছিলেন।
আর একজন ম্যথর দিচ্ছে এটা শুনতে কেমন জানি লাগে। সো সেদিন চেপে ছিলাম বিষয়টা।
আজ যখন খবরের কাগজ হাতে নিয়ে পড়ছিলাম , বড় ভাই কাগজটা টেনে নিয়ে পড়তে লাগলেন।
কিছুক্ষণ পর বলতে লাগলেন - শালার ম্যাথর -ট্যাতর এর জন্য শান্তি নাই। শালার বাইঞ্চত গুলাও সমান অধিকার চাই। গু ঘাইটা আইসা চার দোকানে চা চোদাইবো।
আমি মুখের দিকে তাকিয়ে ছিলাম হা হয়ে।
পরে বললাম ভাই ভাবির ডেলিভারিতে কয়ব্যাগ রক্ত আমি দিছিলাম মনে আছে?
- হুম । কেন?
না মানে সে দিন যে রক্ত টা দিয়েছিলেন ওনি কিন্তু ম্যাথর ছিলেন। ওই দর্শনা ম্যাথর পট্টিরই একজন।
- ধুর ফাজলামি করিস না।
- আমার মায়ের দুধের কসম ভাই সত্যি।
ঠিক ঐ মুর্হুতে ভাইয়ের মুখটা কেমন হয়েছিলো সেটা না দেখানো ছাড়া বোঝা যাবে না।
বললাম- ভাই , সেই ম্যাথর এর রক্ত এখন ভাবির শরিরে । আর সেই ম্যাথর এর রক্ত যার গায়ে সেই বউ নিয়া রাতে ঘুমান। সমস্য হয় না?
বললেন বেশি বুঝিস তুই !
আবার বললাম , বউরে নিয়ে যদি সমস্য না হয় তবে এদের নিয়ে কেন?
এদের ঠোট লাগানো কাপে চা খেতে ঘেন্না লাগে????
কেন ভাবির ঠোট যখন চুশেন তখন খারাপ লাগে?
কোন উত্তর ছিলো না তখন।
ছুপ থেকে চলে গেছিলেন।
হয়ত এর পর থেকে ওনার সাথে সম্পর্ক থাকবে না।
তবুও -
হরিজন সম্প্রদায়ের মানুষ গুলো এরাও মানুষ।
আমার ও শরিরের গঠন যা ওদের ও তাই।
ওদের রক্তের রঙ ফিকে হলুদ বা কালো নয় , যে ওদেরকে ছোট করে দেখবেন।
এদেরও সমান অধিকার দেওয়া আমার আপনার কর্তব্য।