ট্রাইব্রেকারে মেসির বাঁ পায়ের শট যখন জালে জড়ালো তখন ইয়াসিনের চিৎকার ঢাকা পড়ে গেল বারান্দায় হামলে পড়া রকেটের গর্জনে। শিশু সন্তান কোলেসহ তার মার শরীরটা মুহুর্তের মধ্যে ইট পাথরের সাথে মিশে গেল। রক্ত মাখা ছোট শরীরটা বয়ে নিয়ে যখন তার বাবা হাসপাতালের জরুরী বিভাগে হাজির হলেন, তখন সেখানে এলেমেলো হয়ে অযত্নে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে আরও অনেকগুলো অথর শরীর। এদের মধ্যে অনেক বেশিরভাগই শিশু কিশোর। তাদের আর্ত চিৎকারে কেঁপে কেঁপে উঠছে হাসপাতালের দেয়ালগুলো।
সকালে ইয়াসিনের যখন জ্ঞান ফিরল, তার বেডের সামনে দাঁড়িয়ে পাশ্চাত্যের নামকরা এক পত্রিকার ফটো সাংবাদিক। গাজাতে নতুন করে ইসরাইলের আক্রমণ শুরু হয়েছে, হতাহতদের বেশিরভাগই শিশু কিশোর। বিশ্বকাপ নিয়ে পৃথিবীবাসি ব্যস্ত, এখন গাজার খবর নেবার সময় কারও নেই।
ইয়াসিন অস্ফুট স্বরে জানতে চাইল, আর্জেন্টিনা কি জিতেছে? মেসি কি ফাইনালে খেলবে?
সাংবাদিক সাহেব কিছু বলতে গিয়েও থমকে গেলেন। ইয়াসিনের বাবার চোখদুটো ভাবলেশহীন।
ইয়াসিনের বাঁ পা-টি কেটে ফেলে দেওয়া হয়েছে। নামকরা আন্তর্জাতিক পত্রিকায় মেসির বাঁ পায়ের জাদুর খবরের পাশাপাশি শিশু ইয়াসিনের বাঁ পায়ের মুল্য বড়ই নগণ্য।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:২৭