প্রতিবেশী দেশ জার্মানি এবং ফ্রান্সের মধ্যে বিরোধের ইতিহাস অনেক বছরের। সেই মধ্যযুগ থেকে এই দুই জাতির মধ্যে সংঘটিত হয়েছে অসংখ্য যুদ্ধ। উভয় বিশ্বযুদ্ধের শুরুতে যেমন জার্মানি প্রথম সুযোগেই ফ্রান্স দখল করে নিয়েছে, তেমনি যুদ্ধের পর এখনও জার্মানির অনেকাংশ ফ্রান্সের দখলে। দুই জাতির বিরোধের চিত্র ফুটে উঠেছে খেলার মাঠেও।
১৯৫৮ সালে সুইডেনে বিশ্বকাপের তৃতীয় স্থান নির্ধারনী খেলায় প্রথমবারের মোকাবেলায় ফ্রান্স জাস্ট ফন্টেইনের হ্যাট্রিকে জার্মানিকে হারিয়েছিল ৬-৩ গোলে।
২৪ বছর পর, ১৯৮২ সালে স্পেনের বিশ্বকাপে জার্মানি বনাম ফ্রান্সের খেলা বিখ্যাত হয়ে আছে জার্মান গোলরক্ষক টনি শুমাখারের ফাউলের কারণে। খেলার ৫০ মিনিটে ইচ্ছাকৃত ভাবে পেনাল্টি বক্সের ঠিক বাইরে প্যাট্রিক বাটিস্টনের উপর ঝাপিয়ে পড়ে টনি। পরের কয়েক মিনিট অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকে প্যাট্রিক মাটিতে। রেফারী অবশ্য ফাউলও ডাকলেন না। প্যাট্রিককে সরাসরি হাসপাতালে নেয়া হল, তিনি দুইটি দাঁত হারালেন এই ধাক্কা থেকে।
প্যাট্রিক অচেতন অবস্থায় মাঠে পড়ে আছেন।
টনিই শেষ হাসি হাসলেন ট্রাইব্রেকারে দলকে জিতিয়ে।
চার বছর পর ১৯৮৬ সালে প্যাট্রিক এবং টনি আবার মুখোমুখি হলেন মেক্সিকোর বিশ্বকাপে। এইবার অবশ্য সেইরকম কোন ফাউল না হলেও জার্মানি ২-০ তে হারালো ফ্রান্সকে।
মিশেল প্লাতিনি, ফ্রান্সের সর্বকালের সেরা ফুটবলারদের একজন। জার্মানির কাছে হেরে যাবার পরই তাঁর বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়।
১৯৮৭ সাল থেকে ২৬ বছর পর্যন্ত জার্মানি ফ্রান্সের বিরুদ্ধে কোন ম্যাচ জিততে পারেনি। এই সময়ে জিদানের ফ্রান্স ৬ বারের মোকাবেলায় ৫ বার জার্মানিকে হারায়, একটি খেলা ড্র হয়।
অবশেষে ২০১২ তে প্যারিসে ফ্রেন্ডলি ম্যাচে ফ্রান্সের মাটিতে ফ্রান্সকে ২-১ গোলে হারালো জার্মানি।
দুই দলের মোকাবেলায় সামান্য এগিয়ে আছে জার্মানরা।
আদনান সাদেক
http://bsaagweb.de/germany-france
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০১