somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্পঃ অসহায় জামিলারা

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অসহায় জামিলারা
শারমিন আক্‌তার
-মা তোর জামাই বুঝি ফির বিয়া করবি ।
-কি কস? বিয়া করবি ক্যা ?
-হ মা সেই তনে তো মোক পাঠালি । ট্যাকা নিবা । বিশ হাজার ট্যাকা নিয়ে গেলে আর করবলাই । বিয়ার তিন বছর হল ডিমেনের ট্যাকাতো পুরা পাই নাই । তাই ট্যাকা নেয়ার তনে মোক পাঠালি । মাঝে মাধ্যি ট্যাকার তনে মার ধরও করে মা । তোক মুই কও নাই মা কষ্ট পাবু বলে । ভাবিছনু মার খায়া যদি ডিমেন শোধ হয় তে হোক । কিন্তু কিছুই হল না মা । চামড়ার ব্যাবসা করবি । তাই ট্যাকা নিয়ে যাবা কছে । না হলি ট্যাকার তনে ফির বিয়া করবি । এক জাগাত বিয়ার কতাও চলোছে । মেলাই গুলা নাকি ট্যাকাও দিবা চাছে । মা মোক বিশ হাজার ট্যাকার ব্যাবস্থা করে দি মা । লোকটা অতটা খারাপ নয় । খালি এ্যানা ট্যাকার লোভ বেশী।
-কোত্তে তোক মুই বিশ হাজার ট্যাকা দিম মা ? যে জমি কোনা তোর বাপের আছলো সেটা তো তোর বিয়ার সময় বিকে তোর বিয়ার খরচ পার করা হলো । জামাইক কিছু ট্যাকাও দেয়া হল । অ্যানা কিছু ট্যাকা আছলো সেটা তোর বাপের চিকিৎসার পাছেই খরচ হয়া গেল মা । মুই তোক একন কোত্তে ট্যাকা দিম ক? কোত্তে ? তোর বাপটা যদি বাঁচে থাকলো হয় তালে হয়তো..।
আর কোন কথা বলতে পারলো না জামিলার মা । কান্নায় ভেঙে পড়লো সে । স্বামীর মৃত্যুর সাথে সাথে সে এত বেশী অসহায় হয়ে পড়েছে যে সংসার রক্ষায় মেয়ার অস্থিরতা দেখেও নির্বাক দর্শক হওয়া ছাড়া আর কিছুই করার নেই তার ।
-তালে কি বিশ হাজার ট্যাকার তনে মোর সংসারটাই ভাঙে যাবি মা ? গরীবের মেয়ের কি কোন অদিকার নাই ? পড়বা চাসনু পড়ান নাই । ট্যাকা নাই । আব্বার অসুখ । দিনেন বিয়া । আর পড়া হলনা । একন সংসার করবা চাছো । সেটাও আর হব লাই । মোর গুছানো সংসার একন অন্য কেউ নিয়ে নিবি মা । মাত্র বিশ হাজার ট্যাকার তনে ....।
গলা ভারী হয়ে এলো জামিলার । কান্নায় ভেঙে পড়লো সে । কান্নায় তার সাথে তার গরীব, অসহায় মাও একাত্বতা ঘোষণা করলো । সমতালে কেঁদে যাচ্ছে ওরা । এ ছাড়া আর কিই বা করার আছে জামিলা ও ওর মায়ের । মেয়ের বিয়ের পর বাড়ির জমিটা বন্ধক রেখে ¯স্বামীর চিকিৎসার খরচ জুগিয়েছে জামিলার মা। তারপরও স্বামীকে বাঁচাতে পারেনি সে । এখন মানুষের বাসায় কাজ করে নিজের কোন মতেপেটের ভাত জোগায় সে ।

মাঝে বিশ কিছু সময় চলে গেছে । জামিলার স্বামী আবার বিয়ে করেছে । এক ¯স্বচ্ছল পরিবারের মেয়েকে ।পঞ্চাশ হাজার টাকা নাকি পণও পেয়েছে তার স্বামী । সতীনের ঘরে ¯^ামীর অবহেলা ও সতীনের হিংসাপনায় টিকতে না পেরে অসহায় মায়ের সংসারেই ফিরতে হল জামিলাকে । আজ কাল কি মেয়ের সংখ্যা বেড়ে গেছে নাকি ? সতীনের ঘরে বাবা মারা যে কিভাবে মেয়ে পাঠায় ? তাও আবার পণ সমেত । হায়রে সৌভাগ্যবান পুর“ষ জাতি ! এই জন্যই হয়তো গ্রামে একটা কথা প্রচলিত আছে- দূর্ভাগার গর“ মরে আর সৌভাগ্যবানের বউ মরে । বিয়ের বাজারে বিপত্নীক পুরুষের কত দাম ! কখনও কখনও বউ না মরলেও ক্ষেত্র বিশেষে দাম থাকে চাঙা । অথচ মেয়েদের দাম গরুর চেয়েও যেন কম ।


মায়ের পাশাপাশি জামিলাও মাঝে মাঝে এর ওর বাড়িতে কাজ করে মায়ের সংসারের চাকা সচল রাখে ।
আজ মন্ডলের বাড়িতে কাজে এসেছে জামিলা । মন্ডল কি কাজে বাড়ির বাইরে গেছে ।মন্ডলের ছেলে মেয়েরা স্কুলে গেছে । তার স্ত্রীও কিছুক্ষণ আগে পাশের গ্রামে মায়ের বাড়ি গেছে । হঠাৎ তার মায়ের অসুস্থতার খবর পেয়েছে ভাইয়ের থেকে একটু আগেই । জামিলার উপর বেশ আস্থা আছে মন্ডলের স্ত্রীর । তাই ঘরে তালা মারলেও বাড়ির দায়িত্ব তার উপর দিয়ে কয়েক ঘন্টার জন্য মায়ের বাড়ি গেছে সে । আপন মনে নিজের কাজ করে যাচ্ছে জামিলা । ধান ভর্তি বড় বড় তিনটি পাতিল চাপানো বিরাটাকায় চুল্লীতে শুকনা খড় ঠেলে দিচ্ছে সে । যেন ছোট খাট কোন বয়লারে ইন্ধন ঠেলছে । হঠাৎ বাসায় ফিরলো মন্ডল । তাকে দেখা মাত্র দ্র“ত কোমরে জড়ানো আঁচল খুলে শরীরটা ঢেকে নিল জামিলা ।
-তোর ভাবী কই?
-ভাবী সোতার পাড়া গেছে । চাচী নাকি হঠাৎ অসুস্থ হইছে ।
-ও হ তোর ভাবী ফোন করে জানাছলো । ভুলেই গেছো । তা তোর খবর কি?
-ভালই ।
-তোর মা তোক ফির বিয়া দিবি না স্বামীর সংসারত ফেরৎ যাবু ?
-জান না ।
বলেই লজ্জা রাঙা মুখে মাথা নীচু করলো জামিলা । মন্ডলের তীক্ষ দৃষ্টি জামিলার প্রতি । জামিলা সংকোচিত হয়ে আবার নিজের কাজে মনোযোগ দিল । আঁচলের কিছুটা টেনে ঘোমটা দেয়ারও চেষ্টা চালালো সে । কিন্তু নিজেকে আড়াল করার সব চেষ্টা যেন ব্যার্থ হয়ে গেল জামিলার । মন্ডল বাড়ির প্রধান দরজায় শিকল উঠিয়ে দিল । ভয়ে সংকিত জামিলা । মন্ডল পেছন থেকে জামিলাকে জাপটে ধরলো । জামিলা নিজেকে ছাড়ানোর অনেক চেষ্টা করলো । কিন্তু পারলো না । শক্ত বাহু যুগল যেন অক্টেপাসের মত আটকে রেখেছে জামলাকে । অভিজ্ঞ প্রেমিকের মত তাকে আন্দোলিত করার চেষ্টা চালালো মন্ডল । জামিলা আর নিজেকে ছাড়াতে পারলো না । মন্ডলের শক্ত হাতের বাঁধন ও কৌশলের কাছে যেন পরাজিত হল সে। পতিহীন জীবনে বহুদিনের বাসনা হয়তো তাকেও অপরাধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে । জামিলাকে পাজাকোলা করে ঘরে নিয়ে গেল মন্ডল । ঘরের দরজা লাগাতে উদ্যত হল সে। এমন সময় তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে এক দৌড়ে সোজা নিজের বাড়িতে পৌছে গেল জামিলা। ধর্মীয় চেতনা নাকি বিবেকের তাড়না তাকে এ যাত্রায় অবৈধ আদিম কাজ থেকে বিরত রাখলো ।

গ্রামের লোভী পুরুষদের হাত থেকে বাচাঁর জন্য শহরে তথা ঢাকায় চলে এল জামিলা । সে শুদ্ধভাবে বাঁচতে চায় । গার্মেন্টসে কাজের ব্যাবস্থাও হয়ে গেছে তার । তাদের পাশের গ্রামের এক শিক্ষিত, চাকুরীজীবী মেয়ের মাধ্যমে গার্মেন্টসে কাজ পেয়েছে সে । মেয়েটিও গার্মেন্টসে কাজ করে । তবে বড় পদে আছে । সহকারী ম্যানেজার সে । এখন সেই মেয়েটির বাসাতেই থাকছে জামিলা। মেয়েটি বেশ দরদী । প্রায়ই সে তার এলাকার অসহায় মেয়েদের জন্য গার্মেন্টসে কাজের ব্যাবস্থা করে দেয়। এমনকি প্রথম মাসের বেতন না পাওয়া পরযন্ত অনেককে নিজের বাসায় থাকার অনুমতিও দিয়ে দেয় বিনা বাক্য ব্যায়ে ।
জামিলা লায়লার কিচেনে সবজী কাঁটছে ।এমন সময় লায়লা এসে জামিলাকে বলল
-জামিলা আমাকে এক কাপ চা করে দিতে পারবা?
-ক্যান পারুম না আপা ? আপনি যে কি কন ? এখনি দেছি । আল্লায় আপনার অনেক ভাল করবি আপা ।
আপনে যে আমার কি উপকার করছেন আপা ।
-থাক কি যে বল । তুমি আমার এলাকার বোন । তোমার জন্য এইটুকু করা আমার দয়িত্ব । আর মেয়েদেরকে আত্বনির্ভরশীল হতে হয় । বুঝতে পেরেছো । না হলে এই পুরুষ শাসিত সমাজে মেয়েদের কোন মূল্য নাই । সবাই চুষে খাবে । চারিদিকে সব শকুনের দল ।
-ঠিকই কইছেন আপা । মাইয়া মানুষরা অনেক অসহায় আপা । নিজের বাপ, স্বামী, ভাই কেউ তাদেরকে মূল্য দেয় না । মাইয়া বলে সবাই অবহেলা করে । আর গরীবের মেয়েরা তো আরও অবহেলা পায় । ট্যাকার অভাবে স্বামীও থাকেনা । আপনে না থাকলে যে আমার কি হইতো আপা ! আল্লায় আপনার অনেক ভাল করবি আপা।
-ঠিক আছে । আমাকে এক কাপ চা একটু ঘরে দিয়ে আসো না । প্লিজ..
-ঠিক আছে । দিয়ে অসুছি আপা । আপনে যান । আমি অসুছি ।

গার্মেন্টস থেকে ফিরে আজ খুব তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়লো জামিলা । কিচেনের পাশেই একটা ছোট ঘরে থাকে সে। হঠাৎ দরজায় কলিং বেল বাজার শব্দে ঘুম ভেঙে গেল জামিলার । বিছানা থেকে গাঁ টা তুললো সে । মোবাইলে সময় দেখলো । রাত দেড়টা বাজে । এত রাতে কে এসেছে ? জামিলা নিজের ঘরের দরজা না খুলে জানালার পাশে দাড়ালো । বন্ধ দরজার দিকে কিছুটা ভীত দৃষ্টিতে তাকালো সে । এমন সময় লায়লা ঘর থেকে বের হয়ে এল । । বেশ হাসি খুশী ভাব নিয়ে দরজা খুলে দিল সে। তারপর একটা লোকের হাত ধরে তাকে নিয়ে নিজের ঘরে ঢুকলো । খুব যত্ন দিয়ে ঘরের দরজা আঁটকে দিল । জামিলার বুকটা ছ্যাঁৎ করে উঠলো । সহজ সরল জামিলারও বুঝতে আর কিছুই বাকি রইলো না । সে ভাবতে লাগলো । আপাকে না কত্ত ভাল মানুষ মনে হইছিল । সেই এমনে ? গরীবের মেয়ে ঘরের অসহায়তার কারণে অনেকে সুযোগ খোঁজে । তাদের লোভী নজর থেকে কেউ নিজেক বাঁচপা পারে । কেউ পারে না । কিন্তু লায়লা আপা তো অসহায় নয় । সে কি করে এর শিকার হছে ? নোংরামীটাক ভালবাসা ভাবে বিয়ার আগে বিছানায় যাছে ! কি করে ? ছিঃ ছিঃ
আবহমান কাল থেকেই মেয়েরা সমাজে অবহেলিত । মেয়েদের এমন অবস্থার সুবাদে ক্ষমতার অপব্যাবহারের এই যুগে সমাজের লোভী, জঘন্য মানুষগুলো তাদের আদিম চাওয়া পূরণের জন্য নানা কায়দায় মেয়েদেরকে ব্যবহার করে আসছে । কখনও মেয়েরা অবহেলিত বলে অবহেলা পাচ্ছে । আবার কখনও উন্নয়ন ও আধূনিকতার নামে চলে অবহেলার আর এক নতুন মহড়া । সেটা আধুনিক মেয়েরা হয়তো বুঝতেই পারেনা । আর কখনও তা বুঝতে পারলেও বেশ দেরী হয়ে যায় । তখন আর কিছুই করার থাকে না । সমাজে মেয়েদের অবস্থান কি এরকমই রবে আজীবন ? এ থেকে মুক্তির কি কোন পথ নেই ?
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শীঘ্রই হাসিনার ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৩৮


পেক্ষার প্রহর শেষ। আর দুই থেকে তিন মাস বাকি। বিশ্ব মানবতার কন্যা, বিশ্ব নেত্রী, মমতাময়ী জননী, শেখ মুজিবের সুয়োগ্য কন্যা, আপোসহীন নেত্রী হযরত শেখ হাসিনা শীগ্রই ক্ষমতার নরম তুলতুলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাছে থেকে আমির হোসেন আমুকে দেখা একদিন....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৪৬

আমির হোসেন আমুকে দেখা একদিন....

২০০১ সালের কথা। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একটা আন্তর্জাতিক দরপত্রে অংশ গ্রহণ করে আমার কোম্পানি টেকনিক্যাল অফারে উত্তীর্ণ হয়ে কমার্শিয়াল অফারেও লোয়েস্ট হয়েছে। সেকেন্ড লোয়েস্টের সাথে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সংস্কারের জন্য টাকার অভাব হবে না, ড. ইউনূসকে ইইউ

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:২৪



বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত ইইউর রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার এবং সফররত এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের এশিয়া ও প্যাসিফিক বিভাগের পরিচালক পাওলা... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নারী বুকের খাতায় লিখে রাখে তার জয়ী হওয়ার গল্প (জীবন গদ্য)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৩২



বুকে উচ্ছাস নিয়ে বাঁচতে গিয়ে দেখি! চারদিকে কাঁটায় ঘেরা পথ, হাঁটতে গেলেই বাঁধা, চলতে গেলেই হোঁচট, নারীদের ইচ্ছেগুলো ডিমের ভিতর কুসুম যেমন! কেউ ভেঙ্গে দিয়ে স্বপ্ন, মন ঢেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিশ্রী ও কুশ্রী পদাবলির ব্লগারদের টার্গেট আমি

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৫



আমাকে জেনারেল করা হয়েছে ১টি কমেন্টের জন্য; আমার ষ্টেটাস অনুযায়ী, আমি কমেন্ট করতে পারার কথা; সেটাও বন্ধ করে রাখা হয়েছে; এখন বসে বসে ব্লগের গার্বেজ পড়ছি।

সম্প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×