ডয়চে ভেলের সেরা অনলাইন অ্যাক্টিভিজম পুরস্কার দ্য বব্স-এ বাংলা সেরা অনুসরণযোগ্য বিভাগে বিজয়ী হওয়ার পর প্রতিক্রিয়ায় ডয়চে ভেলেকে যা বলেছি:-
ধন্যবাদ ... ইমেইলে সংবাদটি জানানোর জন্য।
প্রথমেই আমি ডয়চে ভেলের ‘দ্য বব্স ২০১৩’ বিজয়ীদের সবাইকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। ধন্যবাদ জানাচ্ছি সেই সব পাঠক, বন্ধু, শুভাকাঙ্ক্ষী ও সহব্লগারদেরকে যারা সেরা অনুসরণযোগ্য বাংলা বিভাগে আমাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করেছেন। স্বীকৃতি পেতে কার না ভালো লাগে বলুন? স্বীকৃতি সবসময় নতুন কিছু সূচনা করার প্রেরণা যোগায়। আশা করছি এই প্রাইজ বিজয়ের আনন্দ আমার লেখালেখিতে নতুন মাত্রা যোগ করবে।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সরকার কর্তৃক লেখক-ব্লগার-সাংবাদিকদের ওপর যে দমন-নিপীড়ন চালানো হচ্ছে ডয়চে ভেলের মাধ্যমে আমি তার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একজন লেখককে তার ব্যক্তিগত মত প্রকাশের জন্য আটক করা হবে, রিমান্ডে নেয়া হবে- এটা কি ধরণের কথা? যেখানে বড় বড় চোর-ডাকাত-দুর্নীতিবাজরা পাজেরো গাড়িতে ঘুরে বেড়ায় সেখানে লেখকদেরকে রিমান্ডে নেয়াটা হাস্যকর। লেখকরা দুর্নীতিবাজ নয় যে তাদেরকে রিমান্ডে নিয়ে যাবতীয় 'গোপন কথা' বের করা হবে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে আইন-আদালত অনুসারে ব্যবস্থা নেয়াটা অন্য কথা- কিন্তু যে আইন অফলাইনে প্রচলিত নেই অনলাইনে সেই আইন জারি করাটা দুরভিসন্ধিমূলক। সরকারগুলো একদিকে জনগণের তথ্য জানার অধিকারের কথা বলবে অন্যদিকে স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াবে- এটা ভণ্ডামি ছাড়া আর কিছু না। যে দেশে চোর-ডাকাত-দুর্নীতিবাজরা দিনের আলোয় ঘুরে বেড়ায়, সে দেশে আজকাল লেখক-ব্লগার-সাংবাদিকরা শান্তিতে ঘুমাতে পারে না। এটা একটি দেশের জন্য চরম লজ্জাজনক বিষয়। অন্যদিকে মত প্রকাশের স্বাধীনতার মানে এই না যে আমি যা খুশি তাই বলব। যে কোন মত প্রকাশের ক্ষেত্রে একটা আত্মনিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা বোধের প্রয়োজন আছে। আশা করি ডয়চে ভেলে সবসময় সেই সব লেখক-ব্লগার-সাংবাদিকদের কণ্ঠ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিবে যাদের আওয়াজ মূলধারার মিডিয়ায় শোনা যায় না।
ধন্যবাদ,
সাইফ সামির
http://www.saifsamir.com
_______
পূর্বের সংশ্লিষ্ট পোস্ট: ডয়চে ভেলের সেরা অনলাইন অ্যাক্টিভিজম প্রতিযোগিতায় আমি মনোনীত!