আরেক ইমন, ব্লগার রাগ ইমনের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে জানতে পারি ইমন জুবায়ের ভাই আর নেই। তখন সবে সকালের নাশতা শেষে মোবাইল থেকে ফেবুতে ঢুঁ দিয়েছি। গ্রামে এসেছিলাম কাজিনের বিয়েতে। সোফায় বসে আছি, কাজিনদের সঙ্গে আড্ডা হচ্ছিল। আড্ডার ফাঁকে এই খবর পড়ে আমি বিমূঢ় হয়ে গেলাম! শক্ড!
রাগ ইমনের ওখানে শক্ড হওয়ার কথাটা জানানো ছাড়া আর কিচ্ছু লিখতে পারলাম না। এখানে ল্যাপটপ আনিনি, মোবাইল থেকেই সামুতে ঢোকার চেষ্টা করলাম, পারলাম না। সার্ভার ডাউন বা এ জাতীয় কিছু সমস্যা। এমন দুঃখ চেপে রাখা যায় না। তাই ব্লগের সাথে সম্পূর্ণ অসম্পৃক্ত কাজিনদের সাথে শেয়ার করলাম খবরটা। এরপর নিতান্ত অবধারিতভাবে বিয়ের কাজে জড়িয়ে পড়লাম। কিন্তু মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল দুঃসংবাদটা।
রাতে বিয়ের কাজ শেষে এক জ্যাঠাতো ভাই থেকে নোটবুক জোগাড় করলাম। তার জিপি মডমে আবার এমবি নেই, আমার সিম ঢুকিয়ে নেট অ্যাকটিভ করে এটা লিখছি। কিন্তু কি লিখব বুঝতে পারছি না!
ইমন জুবায়ের ভাইয়ের সঙ্গে আমার খুব একটা স্মৃতি নেই যে স্মৃতিচারণ করবো। ক্লিশে কথাগুলোও আর বলবার প্রয়োজন নেই। "ব্লগার ইমন জুবায়ের" এটাই আমার কাছে সবচেয়ে কথা, সবচেয়ে বড় স্মৃতি। সহস্র ব্লগারের মাঝে ব্লগার ইমন জুবায়েরকে আমার মনে থাকবে আজীবন। মনে না রেখে উপায় আছে? আমাদের সাক্ষাৎ কোন মিথস্ক্রিয়া নেই তবু শ্রদ্ধা করি, এমন শ্রদ্ধা আদায় করতে পারে কয়জন?
লেখকের সাথে পাঠকের যোগাযোগটা হয় লেখকের লেখা দিয়ে। আলাদা করে লেখককে কথা না বললেও চলে। তাই ইমন ভাইয়ের সঙ্গে আমার যোগাযোগ হবে, কথা হবে- এটা নিশ্চিত করেই বলতে পারছি। কারণ নশ্বর জীবন চলে গেলেও স্রষ্টা তার সৃষ্টির মাঝেই থেকে যায়। ইমন ভাইয়ের লেখাতেই আমরা ইমন ভাইকে খুঁজে পাব, বারবার খুঁজে পেতে চাই।
একজন সৃষ্টিশীল মানুষ ব্লগিংয়ে সুপরিচিত দেখে তিনি শুধু ব্লগের মানুষ না, তিনি জাতীয় সম্পদ। ইমন ভাইকে পরম স্রষ্টা শান্তির আশ্রয় দিক, আমাদেরকে দিক সঠিক সময়ে গুণীজন মূল্যায়নের সক্ষমতা।